[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/54797202.jpg[/IMG]
কভিড-১৯ সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা শিথিল করায় জাপানে বিদেশী ও অভ্যন্তরীণ ভ্রমণকারীদের খরচের প্রবণতা বেড়েছে। সীমান্ত নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় বাইরে থেকে দেশটিতে আসা ভ্রমণকারী বিশেষ করে ধনী সফরকারীদের সংখ্যা বেড়েছে। কিছু ডিপার্টমেন্ট স্টোরে ডিসেম্বরে শুল্কমুক্ত বিক্রি গত বছরের এ সময়ের অবস্থাকে ছাড়িয়ে গিয়েছে। ডিসেম্বরে দেশটির অনেক আবাসিক হোটেলের দৈনিক ভাড়া হার মহামারীপূর্ব পর্যায়কে ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করা হচ্ছে। গত ১১ অক্টোবর থেকে দেশের বাইরে থেকে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য নিষেধাজ্ঞা তুলে দেয় জাপান। তাছাড়া বেশকিছু দেশ থেকে ভিসামুক্ত প্রবেশের অনুমতি দেয়ায় অক্টোবরেই ভ্রমণকারীর সংখ্যা আগের মাসের তুলনায় ২ দশমিক ৪ গুণ বেড়ে ৪ লাখ ৯০ হাজারে দাঁড়িয়েছে বলে জানিয়েছে জাপানের ন্যাশনাল ট্যুরিজম অর্গানাইজেশন (জেএনটিও)। যদিও অক্টোবরে সংখ্যাটা ২০১৯ সালের অক্টোবরের তুলনায় মাত্র ২০ শতাংশ ছিল। এ সময়ে দক্ষিণ কোরিয়া থেকে পর্যটক আগমনের হার ফিরে এসেছে প্রায় ৬০ শতাংশ। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের পর্যটকের সংখ্যাও এ সময়ে বেড়েছে।
তাছাড়া ডলারের বিপরীতে ইয়েনের মান কমে যাওয়ায় বিদেশী পর্যটকদের বেশি মূল্যের পণ্য কেনাও এ সময়ে বেড়েছে। জাপান ডিপার্টমেন্ট স্টোরস অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য বলছে, নভেম্বরে তাকাশিমায়া এবং অন্য চারটি বড় ডিপার্টমেন্ট স্টোরে শুল্কমুক্ত সুবিধার কারণে ২০১৯ সালের তুলনায় বিক্রি বেড়েছে ৫০ থেকে ৯০ শতাংশ।
টোকিও মেট্রোপলিটন এলাকায় শুল্কমুক্ত বিক্রির সুবিধা থাকা দোকানগুলোয় ৪ শতাংশ বিক্রি বৃদ্ধির কথা জানিয়েছে ইসেটান মিতসুকোশি হোল্ডিংস। ২০১৯ সালের তুলনায় এ বছর ডিসেম্বরের প্রথম দুই সপ্তাহে এ বৃদ্ধি দেখেছে তারা। বেশকিছু বেশি মূল্যের পণ্য যেমন বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ঘড়িতে শুল্কমুক্ত সুবিধার বেশ চাহিদা রয়েছে। বিদেশী পর্যটকরা অক্টোবরে গড়ে ১ লাখ ৯২ হাজার ইয়েন বা ১ হাজার ৪১১ ডলার খরচ করেছে। ২০১৯ সালের একই মাসের তুলনায় সংখ্যাটা তিন গুণ বেশি, সেই সময়ে বেচাকেনা হয়েছিল ৬৫ হাজার ইয়েনের।
টোকিওর মাতসুয়া গিনজা ডিপার্টমেন্ট স্টোরে বিলাসবহুল পণ্য যেগুলোর দাম ৫ লাখ ইয়েনের আশপাশে সেগুলো খুব দ্রুত বিক্রি হয়ে গেছে বলে জানান সেখানকার সেলস ম্যানেজার। ডিসেম্বরের প্রথম ১৫ দিনে শুল্কমুক্ত বিক্রি ২০১৯ সালের তুলনায় ৫ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়ে শীর্ষস্থানে পৌঁছেছে। এ সময়ে মূল ভূমি চীন, হংকং, ম্যাকাও এবং তাইওয়ান থেকে অনেক বেশি ভ্রমণকারী এসেছে।
দ্য ম্যানেজারের তথ্য বলছে, পুরো ডিসেম্বর পেরোলে বিক্রি বেড়ে দাঁড়াবে করোনা-মহামারীপূর্ব অবস্থায়। যদিও ভিন্ন দেশ থেকে আসা ভ্রমণকারীদের দ্বারা বিভিন্ন খাতের ভিত্তিতে ব্যয়ে পার্থক্য দেখা যায়। তবে ওষুধ বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান এবং মধ্যবর্তী ব্যবসার ক্ষেত্রে এখনো পুরনো অবস্থায় ফিরে আসা বাকি রয়েছে। কারণ চীনের সফরকারীরা মোট বিদেশী পর্যটকের ৩০ শতাংশ এবং তারা বিভিন্ন প্রসাধনী ও দৈনন্দিন পণ্যের বড় ক্রেতা। তারাই এখনো নতুন করে ভ্রমণজগতে ফিরে আসেনি।