[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1755735633.jpg[/IMG]
জার্মানির কারখানায় প্রথমবারের মতো সপ্তাহে তিন হাজার গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করেছে টেসলা। তবে পরিকল্পনার অন্তত দুই মাস পর বার্লিন ও টেক্সাসের অস্টিন কারখানায় গাড়ি উৎপাদনের এ মাইলফলক অর্জন করেছে মার্কিন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। একটি মেমোর বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে বার্লিনে এবং নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে অস্টিনের কারখানায় সপ্তাহে তিন হাজার গাড়ি উৎপাদনের লক্ষ্য নেয়া হয়েছিল। তবে সাপ্তাহিক এ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা স্পর্শ করতে অনেক সময় নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গত বৃহস্পতিবার শেষ হওয়া সপ্তাহে অস্টিন এবং রোববার শেষ হওয়া সপ্তাহে বার্লিনে এ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছেছে টেসলা। বিষয়টি নিয়ে রয়টার্সের মন্তব্যের অনুরোধে সংস্থাটি কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।
টেসলা ও সংস্থাটির প্রধান নির্বাহী ইলোন মাস্ক প্রায়ই উচ্চাভিলাষী লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা এবং সেটা পূরণে বিলম্বও করে। এর আগে গত এপ্রিলে ইলোন মাস্ক বলেছিলেন, চলতি বছর টেসলার গাড়ি সরবরাহ ৬০ শতাংশ বাড়তে পারে। জুলাইয়ে সেই লক্ষ্যমাত্রা ৫০ শতাংশে নামিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। বছরের শেষ তিন মাসে অটোমোবাইল শিল্পের উৎপাদন নিয়ে আরো হতাশাজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। জীবনযাত্রার উচ্চব্যয়ের কারণে ভোক্তারা ব্যয় কমিয়ে দেয়ায় গাড়ির চাহিদায় পতন দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় চতুর্থ প্রান্তিকে গাড়ি উৎপাদন খুব বেশি বাড়ার আশা দেখছেন না খাতসংশ্লিষ্টরা। এমনকি টেসলার গুরুত্বপূর্ণ উৎপাদন কেন্দ্র সাংহাইয়ে মজুদ বেড়ে যাওয়ার মতো প্রতিবন্ধকতা দেখা দিয়েছে। ডিসেম্বরে কারখানাটিতে মডেল ওয়াই গাড়ির উৎপাদন ২০ শতাংশ কমানোর পরিকল্পনাও করা হয়েছে। টেসলার কারখানা থাকা অঞ্চল বার্লিনের ব্র্যান্ডেনবার্গ র আঞ্চলিক অর্থমন্ত্রী জর্জ স্টাইনবাখ বলেন, টেসলা গাড়ি উৎপাদন আরো বাড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে। এ লক্ষ্যে সংস্থাটি চলতি বছরের শেষ নাগাদ তিন শিফটে গাড়ি উৎপাদন করবে বলেও জানান তিনি।
এদিকে মেক্সিকোর উত্তর-পশ্চিমের শিল্প এলাকায় একটি সংযোজন কারখানা তৈরি করার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছে টেসলা। চলতি সপ্তাহেই এ-সংক্রান্ত ঘোষণা দিতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। মেক্সিকোর নুয়েভো লিওনের রাজধানী মনটেরি শহরের সান্টা ক্যাটারিনায় কারখানাটি স্থাপন করা হবে বলে জানা গিয়েছে। তবে চূড়ান্তভাবে সবকিছু নির্ধারণের বিষয়ে এখনো কাজ চলছে। আবার মেক্সিকোর কারখানাটিতে কোন মডেলের গাড়ি তৈরি করা হবে এবং কবে নাগাদ কারখানাটি উৎপাদনে যাবে তা এখনো পরিষ্কার নয়।