নতুন বছরে বিশ্ব অর্থনীতিতে মন্দা আরো তীব্র হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। অন্যদিকে চীনে প্রতিদিনই কভিড-১৯ সংক্রমণ শনাক্তের হার বাড়ছে রেকর্ড উচ্চতায়। এ পরিস্থিতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের বৈশ্বিক চাহিদা প্রবৃদ্ধি হুমকির মুখে পড়েছে। ফলে ২০২৩ সালে জ্বালানির বাজার নিম্নমুখী থাকবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। সম্প্রতি বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক সমীক্ষায় এ তথ্য উঠে এসেছে। রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞাজনিত কারণে বিশ্ববাজারে সরবরাহ ঘাটতির উদ্বেগ বাড়ছে। বিশেষ করে ফেব্রুয়ারিতে দেশটির ওপর পরিশোধিত জ্বালানি পণ্যের ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হলে ঘাটতি চরম আকার ধারণ করতে পারে। এমন অবস্থায় জ্বালানিটির দাম বাড়ার বদলে কমবে। কারণ অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের শীর্ষ আমদানিকারক ও ব্যবহারকারী দেশ চীনে পণ্যটির চাহিদা প্রবৃদ্ধির গতি অব্যাহত কমছে। অর্থনৈতিক শ্লথগতির প্রভাবে অন্যান্য দেশের চাহিদায়ও একই প্রবণতা দেখা দিয়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/187001233.jpg[/IMG]
রয়টার্স ৩০ জন অর্থনীতিবিদ ও বিশ্লেষকের ওপর একটি সমীক্ষা চালিয়েছে। সমীক্ষার পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি বছর অপরিশোধিত জ্বালানি তেলের আন্তর্জাতিক বাজার আদর্শ ব্রেন্টের গড় দাম ব্যারেলপ্রতি ৮৯ ডলার ৩৭ সেন্টে দাঁড়াবে। নভেম্বরে পরিচালিত সমীক্ষার পূর্বাভাসের তুলনায় যা ৪ দশমিক ৬ শতাংশ কম। গত বছর বৈশ্বিক বাজার আদর্শের গড় দাম ছিল ব্যারেলপ্রতি ৯৯ ডলার। অন্যদিকে মার্কিন বাজার আদর্শ ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের গড় দাম দাঁড়াতে পারে ব্যারেলপ্রতি ৮৪ ডলার ৮৪ সেন্টে। আগের পূর্বাভাসে যা ছিল ৮৭ ডলার ৮০ সেন্ট।
ক্যাপিটাল ইকোনমিকসের সহকারী অর্থনীতিবিদ ব্র্যাডলি সান্ড্রাস বলেন, আমরা মনে করছি, ২০২৩ সালের প্রথম কয়েক মাসের মধ্যে বিশ্ব অর্থনীতি মন্দার মধ্যে পড়তে পারে। কারণ উচ্চ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো সুদের হার বাড়াচ্ছে।
গত নভেম্বরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ব্রেন্টের দাম ১৫ শতাংশেরও বেশি কমেছে। সবশেষ শুক্রবার বাজার আদর্শটি লেনদেন হয়েছে ব্যারেলপ্রতি ৮৪ ডলারে।