ফিলিপাইনের মূল্যস্ফীতির ক্রমবর্ধমান প্রবণতা অব্যাহত রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে দেশটির মূল্যস্ফীতি ২০০৮ সালের পর সর্বোচ্চ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে। বিশেষ করে খাদ্য ও জ্বালানি পণ্যের দামের ঊর্ধ্বগতি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশটির মূল্যস্ফীতি বাড়াতে ভূমিকা রেখেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, ফিলিপাইনে মূল্যস্ফীতির ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা কেন্দ্রীয় ব্যাংককে সুদের হার আরো বাড়াতে প্ররোচিত করছে। গত মাসে দেশটির বছরওয়ারি মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। নভেম্বরেও এ হার ৮ শতাংশে ছিল। তবে মূল্যস্ফীতির এ পরিসংখ্যান বিশ্লেষকদের পূর্বাভাসের নিচে রয়েছে। রয়টার্সের জরিপে বিশ্লেষকরা ৮ দশমিক ২ শতাংশ মূল্যস্ফীতির প্রাক্কলন দিয়েছিলেন। তবে এটি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রাক্কলন ৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ৮ দশমিক ৬ শতাংশের মধ্যে রয়েছে। তবে গত মাসে মূল্যস্ফীতি শীর্ষ পর্যায়ে উন্নীত হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ফলে চলতি বছর মূল্যস্ফীতির চাপ ধীর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আর্থিক পরিষেবা প্রতিষ্ঠান আইএনজির একজন জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ নিকোলাস মাপা বলেন, মূল্যস্ফীতির চাপ বিস্তৃত আকারে ছড়িয়ে পড়েছে। ২০২৩ সালে এটি ধীর হবে বলে মনে হচ্ছে। দেশটির পরিসংখ্যান সংস্থা জানিয়েছে, বাজারে খুব বেশি দাম ওঠানামা করা খাদ্য ও জ্বালানির দাম বাদ দিয়ে হিসাব করা কোর মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে ৬ দশমিক ৯ শতাংশে পৌঁছেছে। নভেম্বরে এ হার ছিল ৬ দশমিক ৫ শতাংশে। গত মাসে খাদ্য মূল্যস্ফীতি নভেম্বরের ১০ দশমিক ৩ শতাংশের তুলনায় ডিসেম্বরে ১০ দশমিক ৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। আবহাওয়া বিপর্যয়ের কারণে চিনি ও চালের উচ্চমূল্য এবং ছুটির মৌসুমে চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় মূল্যস্ফীতি ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে। ফিলিপাইনের পরিসংখ্যান কর্তৃপক্ষের প্রধান ডেনিস মাপা বলেন, মাসভিত্তিক হিসাবে মূল্যস্ফীতি ধীর হয়েছে। যদিও এক বছর আগের তুলনায় ডিসেম্বরে মূল্যস্ফীতি রেকর্ড স্পর্শ করেছে। বিশেষ করে খাদ্যপণ্য মূল্যস্ফীতির চাপ বাড়িয়ে তুলেছে। তবে আমরা আশা করছি শিগগিরই মূল্যস্ফীতির হার ধীর হওয়া শুরু হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/778318514.jpg[/IMG]