ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের এক জরিপে অংশ নেওয়া দুই-তৃতীয়াংশের বেশি (৬৮ শতাংশ) অর্থনীতিবিদ এমন শঙ্কার কথা জানিয়েছেন। এর মধ্যে ১৮ শতাংশ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, মন্দা তীব্র আকার ধারণ করতে পারে। সোমবার ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের বার্ষিক সভার এক সেশনে সেন্টার ফর দ্য নিউ ইকোনমি অ্যান্ড সোসাইটির 'প্রধান অর্থনীতিবিদদের দৃষ্টিভঙ্গি' বিষয়ক প্রকাশনায় এমন শঙ্কার কথা তুলে ধরা হয়েছে। সুইজারল্যান্ডের দাভোসে এ সভা হচ্ছে। ৮৬ শতাংশ অর্থনীতিবিদ বলেছেন, সম্ভাব্য মন্দার কারণে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো ব্যয় সংকোচন নীতি নেবে। কর্মী ছাঁটাই হবে বলে মত দিয়েছেন ৭৮ শতাংশ অর্থনীতিবিদ। অনেকের মত, ভূরাজনীতির পটপরিবর্তনের কারণে জ্বালানি সংকট হবে। সার্বিক মন্দার বিষয়ে অনেক অর্থনীতিবিদের মধ্যে মতৈক্য দেখা গেলেও তীব্র মন্দার আশঙ্কা কমেছে। গত বছরের সেপ্টেম্বরে তীব্র মন্দার শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেছিলেন ৩৫ শতাংশের বেশি অর্থনীতিবিদ। অর্থাৎ নানা পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে অনেক অর্থনীতিবিদ তাঁদের মত বদলেছেন। এখনও এক-তৃতীয়াংশ অর্থনীতিবিদ মনে করেন, এ বছর মন্দা হবে না।
বেশিরভাগ অর্থনীতিবিদের মতে, এ বছর অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে যে ঝড় বয়ে যাবে, তাতে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলো টিকে থাকার স্বার্থে নানা পর্যায়ে ব্যয় সংকোচনমুখী নীতি অবলম্বনে বাধ্য হবে। মূলত বৈশ্বিক রাজনীতি থেকে সৃষ্ট উত্তেজনাই বৈশ্বিক অর্থনীতির ধরন পাল্টে দেবে বলে মত দেন তাঁরা। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপ অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে আরও বেশি কড়াকড়ি আরোপ করবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1951571914.jpg[/IMG]
প্রকাশনায় আরও বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে বৈশ্বিক, বিশেষত ইউরোপ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ। জরিপে অংশ নেওয়া সব শীর্ষ অর্থনীতিবিদ ২০২৩ সালে ইউরোপে দুর্বল প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ করেছেন। ৯১ শতাংশ অর্থনীতিবিদ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দুর্বল প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করছেন। ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির প্রক্ষেপণ নিয়ে অর্থনীতিবিদরা এক মত হলেও চীনের ব্যাপারে তাঁরা অনেকটা দুই মেরুতে বিভক্ত হয়ে পড়েছেন। কেউ মনে করেন, এ বছর চীনও মন্দার কবলে পড়বে। আবার অন্যরা মনে করছেন, প্রবৃদ্ধি হবে।
ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদিয়া জায়েদি বলেন, বিশ্বনেতাদের বর্তমান সংকটের বাইরে নজর দিতে হবে। বিশেষত খাদ্য ও শক্তির উদ্ভাবন, শিক্ষা ও দক্ষতা উন্নয়ন এবং আগামী দিনের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে বিনিয়োগ বাড়াতে মনোযোগী হতে হবে।