ইন্দোনেশিয়ার মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কভিডের আগের পরিস্থিতিতে ফিরেছে। কভিডজনিত কারণে ভ্রমণসহ অন্যান্য বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পরই দেশটির অর্থনীতি চাঙ্গা হয়েছে। গতকাল দেশটির সরকারের দেয়া তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক ৩১ শতাংশ, যা ২০২১ সালে ছিল ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। এর আগেই দেশটির প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো বলেছিলেন, ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়া জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫ দশমিক ২ থেকে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ থাকতে পারে। সোমবার প্রকাশিত ওই অর্থনৈতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২২ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে দেশটির মোট দেশজ উৎপাদন প্রবৃদ্ধি কিছুটা কমে এসেছে। চতুর্থ প্রান্তিকে প্রবৃদ্ধি ছিল ৫ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ, যা তৃতীয় প্রান্তিকে ছিল ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/583541228.jpg[/IMG]
২০২১ সালের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৪ দশমিক ৫ থেকে ৫ দশমিক ৩ শতাংশ হতে পারে বলে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছে ব্যাংক ইন্দোনেশিয়া। তবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল গত জানুয়ারিতে এক পূর্বাভাসে জানিয়েছিল, ২০২৩ সালে ইন্দোনেশিয়ায় জিডিপি হতে পারে ৪ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থনীতিবিদরা বলছেন, বৈশ্বিক মন্দা ও মুদ্রাস্ফীতির কারণে জিডিপি আরো কমে আসতে পারে। ইন্দোনেশিয়াভিত্ত ক ব্যাংক পারামাতার অর্থনীতিবিদ জসুয়া পারদেদে বলেন, ‘**বিশ্ব অর্থনীতির কারণে বিনিয়োগ কমে আসতে পারে। অবকাঠামো নির্মাণের বাইরে অন্যান্য খাতেও বিনিয়োগ কমতে পারে। একই সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতির কারণেও জিডিপি কমতে পারে।’ ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। সে কারণে চতুর্থ প্রান্তিকে বিদেশী বিনিয়োগ কমে আসতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।