বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চিত অবস্থা ও চতুর্থ প্রান্তিকে মন্দা হলেও ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি নয় বছরের সর্বোচ্চে পৌঁছেছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও কভিড-১৯-সংক্রান্ত বিধিনিষেধ শিথিলে এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত তথ্য সূত্রে এটি জানা গেছে। কভিড-১৯ সংক্রমণের সময় ইন্দোনেশিয়া মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২০২০ সালে দেশটির রফতানি ও পর্যটন খাত বেশি আক্রান্ত হয়। জিডিপি ২ দশমিক ৭ শতাংশ সংকুচিত হয়। ১৯৯৭ সালের এশিয়ান আর্থিক সংকটের পর এটি প্রথম মন্দা। এরপর থেকে দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে। স্ট্যাটিসটিকস ইন্দোনেশিয়ার প্রধান মার্গো ইউওনো বলেন, ‘*পরিসংখ্যানের তথ্যানুযায়ী এটি পরিষ্কার ২০২২ সালে ইন্দোনেশিয়ার অর্থনীতি ভালো প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। উচ্চ রফতানি মূল্যের পাশাপাশি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করায় এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। এছাড়া মার্চে কোয়ারেন্টিনের বাধ্যবাধকতা শিথিল করায় ব্যবসায়িক কার্যক্রমের সঙ্গে পর্যটকদের আনাগোনাও বেড়েছে।’
ইউওনো বলেন, ‘*আন্তর্জাতিক পর্যায়ে প্রায় সব বিমানবন্দর খুলে দেয়ায় মানুষের অর্থনৈতিক কার্যক্রম বেড়েছে। ২০২২ সালের প্রথমার্ধে দেশটি ৭ লাখ ৪০ হাজারের বেশি পর্যটকদের স্বাগত জানিয়েছে, যা বছরওয়ারি হিসেবে ৯০০ শতাংশ বেশি। জুলাই-সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে শক্তিশালী প্রবৃদ্ধির পর শেষ প্রান্তিকে পুনরায় ধস নামে। তার পরও বার্ষিক প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। অক্টোবর-ডিসেম্বরে দেশটির অর্থনীতি ৫ দশমিক ১ শতাংশ বেড়েছে, যা আগের ত্রৈমাসিকের ৫ দশমিক ৭২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির তুলনায় কম।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/163437795.jpg[/IMG]