ক্রমবর্ধমান মূল্যস্ফীতির মধ্যেও ২০২২ সালে জাপানে মূল বেতন-ভাতা দশমিক ৯ শতাংশ কমেছে। ৭ ফেব্রুয়ারি দেশটির সরকার প্রকাশিত তথ্যসূত্রে এটি জানা গেছে। অন্যদিকে কভিড-১৯ মহামারীর সময় যে পারিবারিক ব্যয় ছিল তা ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশেষত খাদ্যদ্রব্য, জ্বালানি ও অন্যান্য পণ্যের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির কারণে বেতন-ভাতায় যে পরিবর্তন আনা হয়েছে সেটি এর প্রতিফলন। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা ইতিবাচক প্রবৃদ্ধির জন্য মূল্যস্ফীতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেতন বাড়ানোর আহ্বান জানানোর পরও এ ঘটনা ঘটল।
প্রাথমিক প্রতিবেদনে জাপানের স্বাস্থ্য, শ্রম ও কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানায়, নামমাত্র মজুরি, বেস এবং ওভারটাইম বেতনসহ এক মাসে প্রতি কর্মীর গড় মোট আয় ২ দশমিক ১ শতাংশ বেড়ে ৩ লাখ ২৬ হাজার ১৫৭ ইয়েন বা ২ হাজার ৪০০ ডলারে পৌঁছেছে। এ নিয়ে টানা দুই বছর বেতন বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে এবং ৩১ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুত। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে নয় মাসে প্রথমবারের মতো গড় প্রকৃত মজুরি বেড়েছে। মূল্যস্ফীতির প্রভাব কমাতে উচ্চ বোনাস ও করপোরেট ভাতা দেয়ার হার বাড়ায় এ প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছে। তবে মন্ত্রণালয় এটিকে সাময়িক পুনরুদ্ধার হিসেবে দেখছে। এক সরকারি কর্মকর্তা জানান, সময়ের সঙ্গে প্রকৃত মজুরির পরিমাণও কমতে থাকবে। অন্য এক নথির তথ্যানুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটির পারিবারিক গড় ব্যয় ১ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। দুই বছর ধরে ব্যয় বাড়ছে। মূলত কভিড-১৯-এর সংক্রমণ রোধে যে বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছিল, সেগুলো শিথিল করায় অধিবাসীদের কার্যক্রম বাড়ছে।
অভ্যন্তরীণ বিষয় ও যোগাযোগ মন্ত্রণালয় জানায়, গত বছর দুই বা একাধিক সদস্যের একটি পরিবার প্রতি মাসে গড়ে ২ লাখ ৯০ হাজার ৮৬৫ ইয়েন ব্যয় করেছে। অন্যান্য খাতের হিসেবে ভ্রমণের চাহিদা বাড়ায় শিক্ষা ও বিনোদন খাতে ব্যয় ৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, উড়োজাহাজ ও ট্রেন ব্যবহার বাড়ায় যাতায়াতের পাশাপাশি যোগাযোগ ক্ষেত্রে ব্যয় ৬ শতাংশ বেড়েছে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/709559236.jpg[/IMG]