[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/506751206.jpg[/IMG]
ঢাকা: পুঁজিবাজারে টানা দরপতনে টালমাতাল হয়ে পড়ছে বিনিয়োগকারীরা। দিন যতই যাচ্ছে লোকসানের পাল্লা ততই ভারী হচ্ছে। অথচ নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলো নিরব আচরন করছেন। বাজার দেখে মনে হচ্ছে অভিবাভকহীন হয়ে পড়ছে। ফলে বিনিয়োগকারীদের পুঁজি হারানোর হাহাকার লক্ষ্য করার মতো। তেমনি লেনদেন পরিমান কমেছে গত ১ বছরের মধ্যে সর্বনিন্ম। সবমিলিয়ে পুঁজিবাজারের চলছে অস্থিরতা। পুঁজিবাজার রেগুলেটররা বলেন, চলতি বছরের শুরুতে লেনদেনসহ সূচক বেশি বেড়ে যায়। ফলে পুঁজিবাজারে শেয়ারগুলোর দর বেড়েছিল অতিরিক্ত। এই কারণে কয়েক সপ্তাহ পুঁজিবাজারে পতন কিছুটা কারেকশন হিসেবে ধরে নেয়া হচ্ছে। কারেকশনের পর সামনে ঠিক হয়ে যাবে বলেও আশা প্রকাশ তাদের।
একাধিক প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী বলেন, ইতিবাচক গতির উল্টোতে চলছে পুঁজিবাজার। ধারাবাহিক মন্দায় মুখ থুবড়ে পড়েছে পুঁজিবাজার। পুঁজি হারানোর বৃত্ত দিন দিন বড় হয়ে দিশেহারায় বিনিয়োগকারীরা। ফলে পুঁজিবাজার প্রতি অনাস্থা বাড়ছে বিনিয়োগকারীদের।
চলতি বছরের শুরু থেকে ইতিবাচক গতিতে পুঁজিবাজার এগিয়েছিল জানিয়ে তারা বলেন, চলতি বছরের শুরুর প্রায় চার সপ্তাহ উত্থানে সবাইকে পুঁজিবাজারে প্রতি বিনিয়োগ আগ্রহী করে তুলেছিল। সেই সময়ে অনেকেই নতুন করে বিনিয়োগ শুরু করে। আবার অনেকে বিনিয়োগ করবে এমন আশাও দেখায়। কিন্তু ধারাবাহিক মন্দায় তাদের সেই নতুন বিনিয়োগ এখন কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এদিকে সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে শেয়ার ক্রয়েরে চেয়ে বিক্রির চাপে দরপতন হয়েছে। এদিন দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচক কমেছে ৩০ পয়েন্ট। আর চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই) সূচক কমেছে ৬৪ পয়েন্ট।
সূচকের পাশাপাশি কমেছে অধিকাংশ কোম্পানির শেয়ারের দাম। আর লেনদেন চারশ কোটি টাকার নিচে নেমে এসেছে, যা এক বছর ১৩ দিনের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন। এর আগে, ২০২১ সালের ৫ এপ্রিল ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিল ২৩৬ কোটি ৬০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। দরপতনে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে পুঁজি হারানোর শঙ্কা বেড়েছে। তাই তারা নগদ টাকা তুলতে শেয়ার বিক্রি করে দিচ্ছেন।
ডিএসইর তথ্য মতে, রোববার ৩৭৯টি প্রতিষ্ঠানের ৯ কোটি ৬ লাখ ৪৯ হাজার ৭৯৫টি শেয়ার ও ইউনিট কেনাবেচা হয়েছে। এদিন ডিএসইতে ৫৮টি কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ২৮০টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৪১টির। ডিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩০ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৫৫৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে কমেছে ৫ দশমিক ৫৬ পয়েন্ট এবং ডিএস-৩০ সূচক কমেছে ৫ দশমিক ৪৪ পয়েন্ট।
রোববার ডিএসসিতে ৩৯৩ কোটি ৯৭ লাখ ৯২ হাজার টাকার শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। এর আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ৫২৯ কোটি ৬৯ লাখ ৪২ হাজার টাকার শেয়ার। লেনদেনে শীর্ষে ছিল বেক্সিমকো লিমিটেড। এরপর ছিল সোনালী পেপার, সালভো ক্যামিকেল, ফার্মাএইড, জিএসপি ফাইন্যান্স, ইআইপিডিসি, বিএসসি, লাফার্জ হোলসিম, স্কয়ার ফার্মা ও ইয়াকিন পলিমার লিমিটেড।
চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৬৪ দশমিক ৩৮ পয়েন্ট কমে ১৯ হাজার ৩০২ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। ২৬২টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে ৫০টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ারের দাম বেড়েছে, কমেছে ১৭৩টির, আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির। এ বাজারে ১৪ কোটি ৮৯ লাখ ৮৭ হাজার ১৫৭ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। আগের দিন লেনদেন হয়েছিল ১৮ কোটি ৯২ লাখ ৪৩ হাজার ৪৪৬ টাকার শেয়ার।