[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1657673612.png[/IMG]
নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে সম্ভবত বিশ্বে সবচেয়ে দীর্ঘ লকডাউন বাস্তবায়ন করেছে চীন। দীর্ঘ তিন বছর সেই বিধিনিষেধ উঠেছে। গত বছর চীন সরকার সংক্রমণসংক্রান্ত বিধিনিষেধ তুলে নেয়ার পর বাড়ির বাইরে বের হতে শুরু করেন দেশটির নাগরিকরা। এতে অভ্যন্তরীণ পর্যটন যেমন বেড়েছে, তেমনি বেড়েছে বিদেশে বেড়ানোর পরিমাণও। ফলে বিশ্বের বড় হোটলে চেইনগুলোও তাকিয়ে রয়েছে চীনা পর্যটকদের দিকে। চলতি বছর চীন প্রবৃদ্ধির মূল চালিকাশক্তি হবে বলেও ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা। বিশ্বখ্যাত হিলটন হোটেলের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ক্রিস নেসেট্টা বলেন, ‘*চীনের পর্যটকদের ভ্রমণের উল্লেখযোগ্য প্রভাব এরই মধ্যে দেখা যাচ্ছে। প্রত্যাশা করা হচ্ছে, বছরের দ্বিতীয়ার্ধে আরো বেশি পর্যটকের দেখা মিলবে।’ বিশ্বের পাঁচটি সর্ববৃহৎ হোটেল গ্রুপের মধ্যে চারটিই জানিয়েছে, ২০২২ সালের শেষটুকু ভালো গেছে। ম্যারিয়ট, হিলটন, উইনডাম ও ইন্টারকন্টিনেন্ট লে আগের বছরের তুলনায় ২০২২ সালের আয় ভালো ছিল। একইভাবে চলতি বছর প্রবৃদ্ধি ভালো হবে বলেও প্রত্যাশা করছে প্রতিষ্ঠানগুলো। বিশ্বের সবচেয়ে বড় হোটেল কোম্পানি ম্যারিয়ট জানিয়েছে, ২০২২ সালে তাদের নিট মুনাফা ছিল ২৪০ কোটি ডলার, যা ২০২১ সালের ১১০ কোটি ডলারের দ্বিগুণের বেশি। হিলটনের নিট মুনাফা তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩০ কোটি ডলার। একই সময়ে উইনডামের নিট মুনাফা হয়েছে ৩৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার, যা ২০২১ সালে ছিল ২৪ কোটি ৪০ লাখ ডলার।
২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধি নিয়ে আশাবাদ সৃষ্টি হলেও বিশ্বজুড়ে মূল্যস্ফীতি ও মন্দার শঙ্কায় পর্যাপ্ত পর্যটকের প্রবাহ নিয়ে শঙ্কাও কাটছে না। ইউএস ট্রাভেল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, গত বছর পর্যটন খাতের প্রবৃদ্ধির পেছনে অবদান ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পর্যকটদের। যাদের মাধ্যমে মহামারীপূর্ব সময়ের প্রায় ৯৬ শতাংশ পুনরুদ্ধার হয়েছিল। এবার ভ্রমণকারীদের তালিকায় চীনা পর্যটকরা যুক্ত হওয়ায় ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধি আরো বেশি হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।