চলতি বছরের জুনে ভারতীয় পণ্য রফতানি গত বছরের তুলনায় ২২ দশমিক ২ শতাংশ কমেছে। রফতানির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৯৭ কোটি ডলার, যা আট মাসে সর্বনিম্ন। একই সময় আমদানি বাণিজ্য ১৭ দশমিক ৫ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ৩১০ কোটিতে। অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী বাজারে চাহিদা কমে যাওয়ায় প্রভাবিত হয়েছে রফতানি ও আমদানি। সম্প্রতি দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনে এমনটাই উঠে এসেছে। সাত মাস ধরেই নিচের দিকে নামছে ভারতের পণ্য রফতানির সূচক। তবে বিদেশে প্রেরিত চালানের হিসেবে জুনের পতন ছিল সবচেয়ে বেশি। মে মাসের বিপরীতে জুনে বাণিজ্য ঘাটতি ৮ দশমিক ৮ শতাংশ। এ ঘাটতির পরিমাণ ২ হাজার ১৩ কোটি ডলার। অর্থাৎ টানা দ্বিতীয় মাসের মতো বাণিজ্য ঘাটতি ২ হাজার কোটির ওপরে। আমদানি ও রফতানির মধ্যে ব্যবধানও রয়েছে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে। যদিও অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বিষয়টি নিয়ে ততটা উদ্বিগ্ন নন গত বছরের তুলনায়। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ৬ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে পণ্য রফতানি। তখন রফতানি সূচক ৪৫ হাজার কোটির রেকর্ড তৈরি করেছিল। অথচ ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে বিদেশে চালান পাঠানোর পরিমাণ ১৫ দশমিক ১৩ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ১০ হাজার ২০ কোটি ডলার। একই সময়ে আমদানি ১২ দশমিক ৭ শতাংশ কমে ঠেকেছে ১৬ হাজার ৩ কোটিতে ডলারে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/308695000.jpg[/IMG]
ব্যাংক অব বারোদার অর্থনীতিবিদ অদিতি গুপ্ত জানিয়েছেন, প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৫ হাজার ৭৬০ কোটি ডলার। বিপরীতে গত বছরের প্রথম প্রান্তিকে বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৬ হাজার ২৬০ কোটি ডলার। আর চলতি বছরজুড়েই বাণিজ্যের এ প্রবণতা চলতে থাকবে। বৈশ্বিক অর্থনীতির অস্থিতিশীলতার কারণে প্রভাবিত হতে থাকবে রফতানির বাজার। তবে দ্রব্যমূল্য কিছুটা স্বস্তিদায়ক হয়ে উঠতে পারে আগামী দিনগুলোয়। জ্বালানি তেল ও স্বর্ণ ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে আমদানি সূচকের অবনমন ঘটেছে ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ। মে মাসে আমদানি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছিল। স্বর্ণ আমদানি বেড়েছে ৮২ দশমিক ২ শতাংশ। আন্তর্জাতিক বাজারে মূল্য বেশি থাকলেও বেড়েছে আমদানি। গত কয়েক মাসের প্রবণতা থেকে এ কথাই প্রমাণিত হয় যে শিল্প খাতে পণ্যের আমদানি নেতিবাচক পরিস্থিতিতে ছিল। তবে বিশ্লেষকরা বর্তমানে চলমান বাণিজ্য ঘাটতিকে খুব দ্রুত অতিক্রম করতে পারার ব্যাপারে আশাবাদী।