[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2070859971.jpg[/IMG]
সংযুক্ত আরব আমিরাত ২০৩০ সালের মধ্যে ১৯ দশমিক ৮ গিগাওয়াট পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। সম্প্রতি আবুধাবি ইন্টারন্যাশনাল পেট্রোলিয়াম এক্সিবিশন অ্যান্ড কনফারেন্স (এডিআইপিইসি)-২০২৩-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ কথা জানান দেশটির জ্বালানি ও অবকাঠামোমন্ত্রী সুহাইল বিন মোহাম্মদ আর মাজরুই। ‘*ফাস্ট ট্র্যাকিং দি এনার্জি ট্রানজিশন’ শীর্ষক বৈঠকে অংশ নেন এডিআইপিইসির মন্ত্রী পর্যায়ের নেতারা। সেখানে আল মাজরুই বলেন, ‘*বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুতবর্ধনশীল পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদনকারী হিসেবে সংযুক্ত আরব আমিরাত অন্যতম। ২০৩০ সালের মধ্যে মোট ১৯ দশমিক ৮ গিগাওয়াট পরিবেশবান্ধব জ্বালানি উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। *আমরা বিশ্বের শীর্ষ স্বল্প কার্বন হাইড্রোজেন উৎপাদক ও সরবরাহকারী দেশ হতে চাই। ২০৩১ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১৪ লাখ টন এবং ২০৫০ সালের মধ্যে প্রতি বছর ১ কোটি ৫০ লাখ টন স্বল্প কার্বন হাইড্রোজেন উৎপাদনের লক্ষ্যে কাজ করছি। এ সময় জ্বালানি চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক সহযোগিতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।’ এডিআইপিইসি ২০২৩-এর চেয়ারম্যান ও এডিএনওসি অফশোরের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা তাইবা আল হাশেমি বলেন, ‘*২০২৩ সালের মধ্যে পৃথিবীতে নতুন আরো ৫০ লাখ মানুষের বাসস্থান হবে। ফলে নতুন এ জনসংখ্যার জন্য প্রতি বছর আরো অধিক জ্বালানির প্রয়োজন হবে।’
জলবায়ু পরিবর্তনের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় একটি জরুরি ও কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া দরকার বলেও জানান তাইবা আল হাশেমি। তিনি বলেন, ‘*দ্রুত সময়ে কার্বন নিঃসরণের মাত্রা শূন্যে নামিয়ে আনতে প্রত্যেক দেশের সরকার, শিল্পকারখানা, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান র পাশাপাশি সাধারণ মানুষেরও একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে।’
আরামকোর প্রেসিডেন্ট ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আমিন এইচ নাসের বলেন, ‘*বিশ্বের ক্রমবর্ধমান জ্বালানি চাহিদা পূরণে সহায়তার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিশীল। এ লক্ষ্যে আমাদের স্বল্প কার্বন কার্যক্রমের পরিসর বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চলমান। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে আমরা একটি পরিবেশবান্ধব ও অধিক টেকসহ জ্বালানি দিতে চাই। কেননা *জ্বালানি নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব একসঙ্গে কাজ করতে পারে বলে আমরা বিশ্বাস করি।’