জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা পূরণ ও জ্বালানি নিরাপত্তায় ২০৪০ সালের মধ্যে বিশ্বব্যাপী আট কোটি কিলোমিটারের পাওয়ার গ্রিড যুক্ত কিংবা পুনর্গঠনের তাগিদ দিয়েছে আন্তর্জাতিক জ্বালানি সংস্থা (আইইএ)। সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে এ কথা জানিয়েছে সংস্থাটি। ফ্রান্সের প্যারিসভিত্তিক সংস্থাটি তাদের ইলেকট্রিসিটি গ্রিড অ্যান্ড সিকিউর এনার্জি ট্রানজিশন রিপোর্টে জানিয়েছে, গ্রিডগুলোয় বার্ষিক বিনিয়োগ বর্তমানে স্থবির অবস্থায়, যা ২০৩০ সালের মধ্যে বছরে দ্বিগুণ বা ৬০ হাজার কোটি ডলারের বেশি করে হওয়া প্রয়োজন।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/573080078.jpg[/IMG]
সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ফাতিহ বিরল বলেন, ‘*বিভিন্ন দেশের সরকার ও ব্যবসায়ীরা যদি একত্রে এগিয়ে না আসেন, তাহলে সাম্প্রতিক পরিবেশবান্ধব জ্বালানির চলমান অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত হতে পারে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘*আজই আমাদের গ্রিডে বিনিয়োগ করতে হবে, নাহলে আগামীতে নিশ্চিতভাবে গ্রিডলকের মুখোমুখি হতে হবে।’
প্রতিবেদনে দেখা গেছে, বিদ্যমান বিদ্যুৎ গ্রিডগুলোয় সৌর, বায়ু, বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি এবং তাপীয় বা হিট পাম্পের মতো পরিবেশবান্ধব জ্বালানি প্রযুক্তির দ্রুত বৃদ্ধি হচ্ছে না। আইইএ জানিয়েছে, যদি গ্রিডে বিনিয়োগ ও নিয়ন্ত্রক সংস্কার পিছিয়ে থাকে, তাহলে ২০৩০-৫০ সালের মধ্যে মোট কার্বন ডাই-অক্সাইড নির্গমন প্রায় ছয় হাজার কোটি টন বেশি হতে পারে। পাশাপাশি নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের ধীরগতির কারণে জ্বীবাশ্ম জ্বালানি খরচও বেড়ে যাবে।

সংস্থাটির ভাষ্যমতে, বিশ্বব্যাপী বিদ্যুতের চাহিদা চলতি বছর ২ শতাংশের কম বাড়বে, যা গত বছর প্রায় ২ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছিল।