গত বছর চীনের শীর্ষ বিক্রীত বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির (ইভি) ব্র্যান্ড ছিল বিওয়াইডি। বিশ্বের গাড়ির বাজারে চীনা ব্র্যান্ডটি যুক্তরাষ্ট্রের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা টেসলাকে ছাড়িয়ে গেছে। ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে টেসলার চেয়ে বেশি গাড়ি বিক্রি করেছে। বিওয়াইডি জানিয়েছে, ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে ৫ লাখ ২৬ হাজার বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিক্রি করেছে। মূলত সুদহার বেড়ে যাওয়ায় টেসলার বাজার চাহিদা কমেছে। যার কারণে ক্রেতাদের ঋণ নেয়াও কঠিন হয়ে পড়েছে। তবে ২০২৩ সালে সামগ্রিকভাবে টেসলার মোট বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির বিক্রির পরিমাণ বেশি। টেসলা জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালে মোট ১৮ লাখ বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিক্রি করেছে। চতুর্থ প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৫০০ ইউনিট বিক্রি করেছে, যা ২০২২ সালের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বেশি।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1379307145.jpg[/IMG]
বিশ্লেষকদের প্রত্যাশার চেয়ে ২০২৩ সালের শেষে বিক্রয় পরিমাণ ভালো ছিল। ওয়েডবুশ সিকিউরিটিজের ড্যান ইভস জানান, টেসলা এটিকেই তাদের বড় জয় হিসেবে দেখছে। তবে টেসলা জানিয়েছে, তাদের প্রত্যাশার তুলনায় বিক্রি কমেছে। ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে ইলন মাস্ক আশাবাদ ব্যক্ত করে জানিয়েছিলেন, টেসলা ২০২৩ সালে প্রায় ২০ লাখ বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি বিক্রি করতে পারে। গত বছর টেসলা ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে বেশ কয়েকবার তাদের বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির দাম কমিয়েছে। বিওয়াইডির বিক্রি বৃদ্ধির মাধ্যমে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির বাজার কতটা প্রতিযোগিতাপূর্ণ তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এ অবস্থায় টেসলার পক্ষে আবারো ইভি শিল্পকে নেতৃত্ব দেয়া বেশ কঠিন হয়ে যাবে বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকরা।
বিওয়াইডি জানিয়েছে, ২০২৩ সালে বিওয়াইডি ৩০ লাখেরও বেশি বৈদ্যুতিক ও হাইব্রিড গাড়ি বিক্রি করেছে। যার মধ্যে প্রায় ১৬ লাখ শুধু ব্যাটারিচালিত বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি ছিল। বিওয়াইডির চিফ এক্সিকিউটিভ ওয়াং চুয়ানফু ১৯৯৫ সালে শেনঝেনে তার চাচাত ভাইয়ের সঙ্গে বিওয়াইডি কোম্পানিটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রথমে তারা ইলেকট্রনিকসে ব্যবহৃত রিচার্জেবল ব্যাটারি তৈরি করার কাজ শুরু করে। এর পরে ২০০২ সালে স্টক মার্কেটে বিওয়াইডি শেয়ার বিক্রি শুরু করে। এর পরে রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন গাড়ি প্রস্তুতকারক কিনচুয়ান অটোমোবাইল কোম্পানিকে কিনে নেয়ার মাধ্যমে তারা গাড়ি নির্মাণ কার্যক্রম শুরু করে।
বিশ্লেষকদের মতে, বিওয়াইডির প্রাথমিক ব্যাটারির ব্যবসা তার প্রবৃদ্ধি তৈরিতে সহায়তা করেছে। স্থানীয়ভাবে ব্যাটারি তৈরি করার ফলে তারা সাশ্রয়ী মূল্য ধরে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। বিওয়াইডির নিজস্ব ব্যাটারি ব্যবসার কারণে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ির দাম কমাতে পেরেছে। ফলে শুধু ডিসেম্বরেই তাদের বিক্রি বেড়েছে প্রায় ৭০ শতাংশ।