কানাডার বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি ছিল। এছাড়া অন্তর্নিহিত মূল্যের চাপও রয়ে গেছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, মূল্যস্ফীতি যেহেতু কমছে না, ফলে বোঝা যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক শিগগিরই সুদহার কমাবে না। কানাডার মূল্যস্ফীতির হার রয়টার্সের অর্থনীতিবিদদের জরিপের সঙ্গেও মিলে গেছে। মাসিক ভিত্তিতে ভোক্তাপণ্যের দামও পূর্বাভাসের সঙ্গে মিলেছে, যা নভেম্বর থেকে দশমিক ৩ শতাংশ কমেছে। মূল্যস্ফীতি ডিসেম্বরে বেড়ে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হয়, যা নভেম্বরে ছিল ৩ দশমিক ১ শতাংশ। ডেসজার্ডিনস গ্রুপের ম্যাক্রো কৌশলের প্রধান রয়েস মেন্ডেসের মতে, ব্যাংক অব কানাডা (বিওসি) সিপিআই (কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স) ট্রিম ও সিপিআই মিডিয়ান বেড়েছে। এছাড়া ২ দশমিক ৯ শতাংশ পূর্বাভাসের চেয়ে পরবর্তী প্রান্তিকে বার্ষিক মূল্যস্ফীতি ৩ দশমিক ৬ শতাংশ বেশি ছিল। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1138304703.jpg[/IMG]
তিনি বলেন, ‘উচ্চ মূল্যস্ফীতি কানাডিয়ানদের জন্য একটি হতাশার কারণ। তারা আশা করেছিল সুদহার কমানো হবে।’ ২০২১ সালের মার্চ থেকে শিরোনাম মূল্যস্ফীতি বিওসির লক্ষ্যমাত্রা ১-৩ শতাংশকে ছাড়িয়ে গেছে। বিওসির মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে গত বছরের মার্চ থেকে জুলাইয়ের মধ্যে ২২ বছরের সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ মূল নীতির হার বাড়িয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরবর্তী সুদহার ২৪ জানুয়ারি ঘোষণা করা হবে। আর্থিক বাজার ধারণা করছিল, বিওসি মার্চে সুদহার কমানো শুরু করবে। তবে সে সম্ভাবনা এখন কমে আসছে। কিন্তু তারা এখনো আশাবাদী যে এপ্রিলে তা ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমে আসতে পারে।
এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় এ বছর সুদহার বেশি। এর পেছনে মূল কারণ উচ্চ পেট্রলের দাম। এছাড়া বিমান ভাড়া, জ্বালানি তেল, যাত্রীবাহী যান ও ভাড়াও বাড়ছে। খাদ্য ক্রয়ের পরিমাণ ৪ দশমিক ৭ শতাংশ বেড়েছে। টিডি সিকিউরিটিজের প্রধান কানাডা কৌশলবিদ অ্যান্ড্রু কেলভিন বলেছেন, মূল মূল্যস্ফীতির বাড়ার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে ব্যাংক অব কানাডার আরো সুদহার কমানোর বিষয়টি এখনো বিবেচনায় রাখতে হবে। কেলভিন আরো বলেন, ‘বিওসিকে সম্ভবত আর্থিক নীতি শিথিল করার কথা বিবেচনা করার আগে একটু সতর্ক হতে হবে, কেবল অর্থনীতিতে এখনো কিছু অন্তর্নিহিত মূল্যস্ফীতিমূলক প্রবণতা রয়েছে।’
জ্বালানি ও খাদ্যের দাম বাদ দিলে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতির হার নভেম্বরে ৩ দশমিক ৫ থেকে কমে ৩ দশমিক ৪ শতাংশ হয়েছে। বিওসি পূর্বে পূর্বাভাস দিয়েছিল দেশটির মূল্যস্ফীতি ২০২৫ সালের শেষ নাগাদ লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছতে পারবে। কিন্তু ব্যাংকটির গভর্নর টিফ ম্যাকলেম ২০২৩ সালের শেষে জানায় এ বছরের শেষে তা লক্ষ্যমাত্রায় পৌঁছানো দরকার।