বছরের শুরুর দুই মাসে বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) বিক্রিতে মন্থর গতি দেখেছে চীন। এ সময় প্রতিদ্বন্দ্বীদে থেকে এগিয়ে থাকার দৌড়ে উল্লেখযোগ্যভাবে কমিয়েছে স্থানীয় বাজারের শীর্ষ প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডিসহ একাধিক অটোমেকার। চায়না প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশনের গতকাল দেয়া তথ্যে দেখা গেছে, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে ব্যাটারিচালিত ইভির বিক্রি ১৮ দশমিক ২ শতাংশ বেড়েছে। তবে ২০২৩ সালের একই সময়ে বৃদ্ধির হার ছিল ২০ দশমিক ৮ শতাংশ। এছাড়া নিউ এনার্জি ভেহিকলের (এনইভি) বিক্রি বেড়েছে ৩৭ দশমিক ৫ শতাংশ। ২০২৩ সালের তুলনায় এ প্রবৃদ্ধির হার সামান্য বেশি, ওই বছর বৃদ্ধির হার ছিল ৩৬ দশমিক ২ শতাংশ। এ সময় গাড়ির বিক্রিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলেছে মূল্যছাড়। সামগ্রিকভাবে যাত্রীবাহী গাড়ির বাজারে প্রবৃদ্ধি ঘটেছে ১৬ দশমিক ৩ শতাংশ। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1043627850.jpg[/IMG]
প্রতিবেদনে বলা হয়, জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে মোট গাড়ি বিক্রির ৩৩ দশমিক ৫ শতাংশ হিস্যা ছিল এনইভির। এক বছর আগের একই সময়ে এ হার ছিল ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ। এছাড়া পেট্রলচালিত গাড়ির বিক্রি বেড়েছে ৭ দশমিক ৮ শতাংশ। ২০২৪ সালের প্রথম দুই মাসে চীনে মোট ৩১ লাখ ৬০ হাজার মিলিয়ন যাত্রীবাহী গাড়ি বিক্রি হয়েছে। চায়না প্যাসেঞ্জার কার অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি কুই ডংশু জানান, গাড়ির দামের ওপর বিক্রি নির্ভর করেছে। কারণ কিছু ইভির দাম পেট্রলচালিত গাড়ির কাছাকাছি হওয়ায় বিক্রির ওপর চাপ ফেলেছে। অবশ্য প্রতিদ্বন্দ্বীদে তুলনায় বিস্তৃত সংখ্যক মডেলজুড়ে দাম কমিয়েছে বিওয়াইডি। ১৩টি মডেলের দাম কমিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বিওয়াইডির মোট বিক্রির ৯৩ শতাংশ ছিল এসব গাড়ি। এসব গাড়ির গড় দাম কমেছে ১৭ শতাংশ। এর মধ্যে ইউয়ান প্লাস ক্রসওভার ও অটো থ্রির দাম কমে প্রায় ১২ শতাংশ। এছাড়া ইভি সিগালের দাম কমে সর্বনিম্ন ৫ শতাংশ।

বিওয়াইডির সঙ্গে দাম কমানোর যুদ্ধে এক ডজন অটোমেকার যোগ দেয়। এদের মধ্যে রয়েছে গিলি অটো ও লিপমোটর। বেশির ভাগ কোম্পানিই ৯-১৭ শতাংশ পর্যন্ত মূল্যছাড় দেয়। বিওয়াইডি বিশ্বের সবচেয়ে বড় ইভি বিক্রেতা, তবে বাজারের বড় অংশ চীনকেন্দ্রিক। এটি ফেব্রুয়ারিতে ১৯ শতাংশ গাড়ি বিদেশে রফতানি করেছে। ২০২৩ সালে বিদেশে রফতানির পরিমাণ ছিল ৮ শতাংশ। কার অ্যাসোসিয়েশনের তথ্য দেখায়, ফেব্রুয়ারিতে চীন থেকে যাত্রীবাহী গাড়ি রফতানি ১৮ শতাংশ বেড়েছে, সংখ্যায় ২ লাখ ৯৮ হাজার ইউনিট। এর মধ্যে এনইভির হিস্যা ছিল ২৬ দশমিক ৪ শতাংশ।প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের বাজারে কিছুটা মন্থর হলেও দেশটির অটো রফতানি ক্রমবর্ধমান হারে বাড়ছে। ভর্তুকি ও কর সুবিধা পাওয়ায় অস্ট্রেলিয়ার মতো বাজারে নতুন ইভি মডেলের প্রবেশ সহজ হয়েছে।