সরকারের দায়দেনা অর্থনীতিতে বড় চ্যালেঞ্জ হিসেবে অবস্থান পাকাপোক্ত করছে। ক্রমবর্ধমান দায়দেনা পরিস্থিতি অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার প্রতি চোখ রাঙাচ্ছে। শুধু বিদেশি ঋণ নয়, দেশের অভ্যন্তর থেকে নেওয়া ঋণও সরকারের দায়দেনা বাড়িয়ে চলেছে। বাজেটে অর্থের জোগান দিতে সরকারকে এখন আগের চেয়ে বেশি ঋণ নিতে হচ্ছে। ফলে বাড়ছে ঋণ পরিশোধের চাপ। পাশাপাশি ডলার-সংকট ও ডলারের বাড়তি দাম সরকারকে ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে আরও বেশি চাপে ফেলেছে। [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1387646651.jpg[/IMG]
সরকারি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, পাঁচ বছরেই অভ্যন্তরীণ ঋণ দ্বিগুণ হয়েছে। অন্যদিকে চলতি অর্থবছরের বাজেটে বিদেশি ঋণের সুদ পরিশোধ বাবদ যত অর্থ রাখা হয়েছিল, ১০ মাসেই সেই বরাদ্দ শেষ হয়ে গেছে। গত এক দশকে বিদেশি ঋণ পরিশোধ বেড়েছে ১০৮ শতাংশ। চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো বিদেশি ঋণ পরিশোধ ৩০০ কোটি ডলার বা ৩ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে।
এর পাশাপাশি ডলারের চলমান সংকটের কারণে বিনিয়োগ থেকে পাওয়া মুনাফা এবং পণ্য ও সেবা বিক্রির অর্থ নিজেদের দেশে নিতে সমস্যায় পড়েছে বেশ কিছু বিদেশি কোম্পানি। আটকে থাকা এমন অর্থের পরিমাণ প্রায় ৫০০ কোটি ডলার, যা দেশের জন্য একধরনের দায়।