[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1999656038.jpg[/IMG]
অতিরিক্ত পর্যটনের চাপ বিষয়ে সম্প্রতি একাধিকবার শিরোনাম হয়েছে জাপান। বিশেষ করে ফুজি পর্বতের পাদদেশে দর্শনার্থীদের আচরণে বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি হয়। এখন আলোচনায় এসেছে গেইশাদের বসবাসের জন্য বিখ্যাত কিয়োটো অঞ্চল।
এখানকার জিওন জেলা শতবর্ষ-পুরনো জীবনধারার জন্য পরিচিত। কিন্তু আধুনিকতার চাপে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপনে সংগ্রাম ক্রমে বাড়ছে। শহরটির অন্যতম আকর্ষণ ধর্মীয় তীর্থস্থান ইয়াসাকা মন্দির। এর প্রধান কক্ষে রাখা প্রার্থনার ঘণ্টাটি জাতীয় সম্পদ বলে বিবেচিত হয়। সেটি এখন পর্যটক আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাত-দিন সারাক্ষণই পর্যটকরা ঘণ্টা বাজিয়ে চলেছেন বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। এ কারণে ঘণ্টাটি এখন দড়ি দিয়ে বেঁধে রাখতে হয়েছে। ৪০ বছর বয়সী এক নারী জানান, প্রার্থনা করতে গিয়েও ঠিকঠাক আচার পালনে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। তীর্থস্থানটির এক প্রতিনিধি জানান, শান্ত পরিবেশ ও এর সাংস্কৃতিক সম্পদ রক্ষার জন্য সতর্কতা অনিবার্য। এ অঞ্চলে পুরনো বাড়িগুলোয় বসবাস করেন গেইশা ও তাদের শিক্ষানবিশরা। কিন্তু পাপারাজ্জি স্টাইলে তাদের ছবি তুলতে গিয়ে গোপনীয়তা লঙ্ঘনসহ বিব্রতকর পরিস্থিতি তৈরি করছে ভ্রমণকারীরা।

এলাকাটিতে ২০১৫ সালে কিছু নিয়ম জারি করা হয়। এর মধ্যে রয়েছে হাঁটার সময় খাওয়া ও সেলফি তোলা যাবে না। এরপর ২০১৯ সালে কিছু সংরক্ষিত সড়কে ফটোগ্রাফি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তাতেও ঝামেলা থামেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। কেন না রাস্তাকে কিয়োটোর অন্যতম আকর্ষণ ধরা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দাদের একটি কাউন্সিল পর্যটকদের ব্যক্তিগত রাস্তায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সম্প্রতি কিছু জায়গায় অননুমোদিত প্রবেশের জন্য ৬০ ডলার পর্যন্ত জরিমানার হুমকি দেয়া হয়। অবশ্য অনেক বিশেষজ্ঞ বলছেন, ওভারট্যুরিজমের কোনো প্রতিষেধক নেই। কিয়োটোর মতো শহরে অবাধে হাঁটাচলা আরো সীমাবদ্ধ করে হয়তো কিছু ফল পাওয়া যেতে পারে।