[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2124793033.jpg[/IMG]
যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) পর এবার চীন থেকে বৈদ্যুতিক গাড়ি আমদানিতে বাড়তি শুল্ক আরোপ করতে চলেছে কানাডা। দেশটি চীনা স্টিল ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানির ক্ষেত্রেও ২৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের পরিকল্পনা করেছে। কানাডা তাদের পশ্চিমা মিত্রদেশগুলোর মতো একই সুরে অভিযোগ তুলে বলেছে যে, চীন বৈদ্যুতিক গাড়ি শিল্পে ভর্তুকি দেয়। সেকারণে গাড়ি প্রস্তুতকারকরা বাজারে অন্যায় সুবিধা পাচ্ছে। চীন বলছে, কানাডার শুল্কারোপের এই সিদ্ধান্ত বাণিজ্য সুরক্ষাবাদ। এতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার নিয়ম ভঙ্গ হচ্ছে। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, “আমরা দেশের গাড়িশিল্পের রূপান্তর ঘটিয়ে আগামী দিনের গাড়ি তৈরিতে বিশ্ববাজারে নেতৃত্বের আসনে যাচ্ছি। কিন্তু চীনের মতো দেশ এই খাতে বিশ্ববাজারে নিজেদের অন্যায় সুবিধা দেওয়ার পথ বেছে নিয়েছে।” বিবিসি জানায়, চীনের উৎপাদিত বৈদ্যুতিক গাড়িতে কানাডা যে শুল্ক আরোপ করেছে, তা আগামী ১ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে এবং ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামে তারা যে শুল্ক আরোপ করেছে, তা আগামী ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যকর হবে। চীনের কমার্স মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, কানাডার এই পদক্ষেপ বৈশ্বিক অর্নৈতিক ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক ও বাণিজ্য নীতি মারাত্মকভাবে ক্ষুন্ন করেছে। তারা বলছে, চীন অবিলম্বে কানাডাকে তাদের ভুল কার্যকলাপ শুধরানোর আহ্বান জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পর কানাডাই চীনের দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্য অংশীদার। মে মাসে যুক্তরাষ্ট্র বলেছিল, তারা চীনের উৎপাদিত বৈদ্যুতিক গাড়িতে শুল্ক চার গুণ বাড়িয়ে ১০০ শতভাগে উন্নীত করবে। এর আগে ইউরোপীয় ইউনিয়ন বৈদ্যুতিক গাড়িতে শুল্ক বাড়িয়ে ৩৬ দশমিক ৩ শতাংশে উন্নীত করার পরিকল্পনা জানায়। কানাডা সরকারের এই শুল্কারোপ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের কোম্পানি টেসলাও বাদ পড়বে না। চীনের সাংহাই কারখানায় টেসলার উৎপাদিত বৈদ্যুতিক গাড়িগুলো কানাডার বাজারে ঢুকতে গেলে শতভাগ শুল্কের মুখে পড়বে।