যুক্তরাজ্যের কর্মীরা চাইলে চাকরিদাতা প্রতিষ্ঠানের কাছে সপ্তাহে চারদিন কাজ করার আবেদন জানাতে পারবেন। দেশটির সরকার নতুন যে কর্মপরিকল্পনা হাতে নিয়েছে, তাতে চাকরিজীবীদের জন্য এ সুযোগ রাখার আলোচনা রয়েছে। সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, অনেক প্রতিষ্ঠানকে এ ধরনের সুযোগ রাখতে চাপ প্রয়োগ করা হচ্ছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ব্রিটিশ শিক্ষামন্ত্রী জ্যাকুই স্মিথ। তবে অন্যান্য কর্মদিবসে অতিরিক্ত কাজ করার বিপরীতে সপ্তাহে তিনদিন ছুটি রাখার সুযোগ রাখা হতে পারে। স্থানীয় এলবিসি রেডিওতে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা মনে করি, বেশি ছুটি কাটানোর বিষয়টি উৎপাদনের জন্য ইতিবাচক।’ উদাহরণ দিতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘আপনি সপ্তাহে পাঁচদিন আট ঘণ্টা করে অফিস করার চেয়ে সপ্তাহে চারদিন ১০ ঘণ্টা করে অফিস করতে পারবেন। উভয় ক্ষেত্রেই কিন্তু আপনাকে সপ্তাহে ৪০ ঘণ্টা সময় দিতে হচ্ছে। কিন্তু একদিন বেশি ছুটি পাওয়ার কারণে আপনাকে আগের মতো চাইল্ডকেয়ারের পেছনে অর্থ খরচ করতে হবে না। আপনি পরিবারের সঙ্গে আরো বেশি সময় কাটাতে পারবেন। আর এতে করে কাজের প্রতি মানুষের আগ্রহ বাড়বে। সাক্ষাৎকারে শিক্ষামন্ত্রীর কাছে জানতে চাওয়া হয়, শিক্ষকদের ক্ষেত্রে কী হবে, তাদের পক্ষে তো এ পদ্ধতিতে কাজ করা সম্ভব নয়। জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘এটা ঠিক যে অনেকের জন্য এটা করা সম্ভব হবে না। কিন্তু যাদের ক্ষেত্রে করার সুযোগ আছে, তাদের বঞ্চিত করা উচিত হবে না।’
চারদিনের কর্মদিবস চাপিয়ে দেয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেছে দেশটির বিজনেস অ্যান্ড ট্রেড ডিপার্টমেন্ট। এ বিভাগের এক মুখপাত্র বলেন, ‘চাকরিজীবী কিংবা চাকরিদাতা কারো ওপরই চার কর্মদিবস চাপিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা আমাদের নেই। চাকরির নীতিমালায় কোনো পরিবর্তন আনা হলে সে বিষয়ে অবশ্যই আলোচনা করা হবে।’
নতুন যে নীতিমালার কথা বলা হচ্ছে, সেটার নাম, ‘আওয়ার মেইক ওয়ার্ক পে’। ওই মুখপাত্র বলেন, ‘এ পরিকল্পনার মূল উদ্দেশ্য হলো উৎপাদনশীলতা বাড়ানো। সেই সঙ্গে ব্যবসার ভালো পরিবেশ তৈরি করা, যেন সেটা টেকসই অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। অনেক চাকরিদাতা এরই মধ্যে পরিবারবান্ধব কর্মপরিবেশ তৈরি করেছে, কারণ তারা জানে এর মধ্য দিয়ে কর্মীদের মনোবল ও সক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।’