[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1290562160.jpg[/IMG]
শ্রমবাজারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্যাংক অব কানাডার গভর্নর টিফ ম্যাকলেম। হালনাগাদ এ প্রযুক্তির বিষয়ে তিনি সতর্ক করে জানান, দীর্ঘমেয়াদে নতুন কর্মসংস্থান তৈরির পরিবর্তে এআইয়ের কারণে উল্টো মানুষ চাকরি হারাবে। সম্প্রতি টরন্টোয় অনুষ্ঠিত ন্যাশনাল ব্যুরো অব ইকোনমিক রিসার্চের এক সম্মেলনে অংশ নিয়েছিলেন টিফ ম্যাকলেম। ওই সময় তিনি বলেন, ‘অর্থনীতিতে এআই আরো বেশি প্রতিষ্ঠিত এবং এর প্রভাবগুলো আরো রূপান্তরধর্মী হলে এটি তৈরির চেয়ে কর্মসংস্থানকে ধ্বংস করতে পারে।’ ‘সবার জন্য উদ্বেগের বিষয়’ উল্লেখ করে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর জানান, স্বয়ংস্ক্রিয় প্রযুক্তির বিপরীতে যারা কাজ হারাবেন, তারা নতুন সুযোগ খুঁজে পেতে বেশ সমস্যার মুখে পড়বেন।
ইকোনমিকস অব আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কনফারেন্সে শ্রমবাজারে এআইর সম্ভাব্য প্রভাব নিয়ে বোঝাপড়ার ওপর জোর দেন টিফ ম্যাকলেম। কারণ অর্থনীতিতে এআইর প্রভাব ক্রমবর্ধমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
কোম্পানিগুলো কোনো পণ্যের দাম কীভাবে নির্ধারণ করবে এর ওপর এআইর প্রভাব পড়তে পারে। টিফ ম্যাকলেম বলেন, ‘এরই মধ্যে দেখা গেছে যেসব কোম্পানি ডিজিটাল পদ্ধতি অনুসরণ করে তারা ডিজিটালি পরিচালিত হয় না, এমন কোম্পানির তুলনায় বেশি ঘন ঘন দাম পরিবর্তন করে।’
এছাড়া অর্থনীতিতে প্রতিযোগিতার স্তরকেও প্রভাবিত করতে পারে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। তবে বিষয়টি এখনো অস্পষ্ট বলে মন্তব্য টিফ ম্যাকলমের। তিনি বলেন, ‘প্রাথমিকভাবে এআইনির্ভর স্টার্টআপগুলো প্রতিষ্ঠিত কোম্পানির তুলনায় বাজারে কম দামে পণ্য দিতে পারে। এতে প্রতিযোগিতা বাড়বে ও দাম কমবে। তবে এআইর ব্যবহারের ফলে বাজারে মুষ্টিমেয় কোম্পানির একচেটিয়া আধিপত্য তৈরি হতে পারে। এ পরিস্থিতিতে এআই শেষ পর্যন্ত কম প্রতিযোগিতা ও উচ্চমূল্যের দিকে পরিচালিত করবে।’