[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1111498273.jpg[/IMG]
বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি (ইভি) নির্মাতার তালিকায় লুসিডের অবস্থান এখনো ততটা মজবুত নয়। ২০২১ সালে এয়ার সেডান মডেল বাজারে নিয়ে আসে মার্কিন কোম্পানিটি। এতে পরিচিতি বৃদ্ধি কিংবা গ্রাহক আকর্ষণের মতো উল্লেখযোগ্য কোনো সাফল্য আসেনি। ফলে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে নতুন উদ্ভাবনের দিকে মনোযোগ দিতে বাধ্য হয়। এবার ইভি কোম্পানি হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর মন্ত্র হয়ে এল লুসিডের ‘গ্র্যাভিটি এসইউভি’। আশা করা হচ্ছে, এয়ার সেডানের চেয়ে ছয় গুণ বেশি বিক্রি হবে নতুন মডেলটি। সম্প্রতি সৌদি আরবের বিনিয়োগ পেয়েছে লুসিড। এর পরই গ্র্যাভিটি এসইউভি বাজারে আনার ঘোষণা দেয়। কোম্পানিটি যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনার কারখানায় উৎপাদন বাড়ানোর পরিকল্পনাও নিয়েছে। সিইও পিটার রলিনসন জানান, গ্রাহকদের চাহিদা উৎপাদন সক্ষমতাকে ছাড়িয়ে যেতে পারে। এ বছরের শেষ নাগাদ গ্র্যাভিটি এসইউভির ধারাবাহিক উৎপাদন শুরু হবে। তবে গ্রাহকদের কাছে কবে নাগাদ সরবরাহ শুরু হবে তা জানা যায়নি। পিটার রলিনসন আরো জানান, লুসিড বর্তমানে ক্র্যাশ টেস্টিং করছে। এছাড়া মার্কিন এনভায়রনমেন্টাল প্রটেকশন এজেন্সি থেকে রেঞ্জ টেস্টিং ও ক্যালিফোর্নিয়া এয়ার রিসোর্সেস বোর্ডের কাছ থেকে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে। এদিকে আগামী ৭ নভেম্বর লুসিডের তৃতীয় প্রান্তিকের (জুলাই-সেপ্টেম্বর) আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করা হবে। একই দিন গ্র্যাভিটি এসইউভির জন্য ক্রয়াদেশ নেয়া শুরু করবে কোম্পানিটি। লুসিড জানিয়েছে, গ্র্যাভিটি গ্র্যান্ড ট্যুরিং মডেলটি ৮০০-এর বেশি হর্সপাওয়ারের ইঞ্জিনবিশিষ্ট। এটি একবার চার্জে ৪৪০ মাইলের বেশি পথ চলতে সক্ষম। চলতি বছর ইভির চাহিদা প্রত্যাশার চেয়ে কম থাকায় লুসিডের শেয়ারের দাম কমছে। কোম্পানিটির শেয়ারদর প্রায় ৪০ শতাংশ কমে গেছে। গত সোমবার ১ শতাংশের কম বেড়ে কোম্পানির শেয়ারমূল্য ২ ডলার ৫২ সেন্টে উন্নীত হয়।