[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1766033235.jpg[/IMG]
দেশের ব্যাংক খাতে রেমিট্যান্সের প্রবাহ বেশ বেড়েছে। চলতি ডিসেম্বরের প্রথম ২৮ দিনে প্রবাসী আয় এসেছে ২৪২ কোটি ডলার। প্রতি ডলারের বিনিময় হার ১২০ টাকা ধরলে চলতি মাসে ২৯ হাজার কোটি টাকারও বেশি পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা। গত বছরের ডিসেম্বরের একই সময়ে ১৯৯ কোটি ডলার রেমিট্যান্স দেশে এসেছিল। সে হিসাবে চলতি মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে প্রায় ২২ শতাংশ। এদিকে রেমিট্যান্সের উচ্চ প্রবৃদ্ধির ওপর ভর করে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেশ বেড়েছে। চলতি ডিসেম্বরেই রিজার্ভে যুক্ত হয়েছে ২৭২ কোটি বা ২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত ২৮ নভেম্বর আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী (বিপিএম৬) দেশের রিজার্ভ ছিল ১৮ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার। গতকাল এ রিজার্ভ বেড়ে ২১ দশমিক ৩৪ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। সে হিসাবে চলতি মাসেই এখন পর্যন্ত ২ দশমিক ৭২ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ বেড়েছে।
আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত পূরণে চলতি মাসে বাজার থেকে ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এ কারণে ডলারের বিনিময় হার কিছুটা বাড়লেও প্রায় তিন বছর পর রিজার্ভে বড় প্রবৃদ্ধি দেখা গেছে। বিনিময় হার স্বাভাবিক করার কথা বলে তিন বছর ধরেই রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।
২০২১-২২ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয় ৭৬২ কোটি বা ৭ দশমিক ৬২ বিলিয়ন ডলার। ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা আরো বেড়ে দাঁড়ায় ১৩ দশমিক ৫৮ বিলিয়ন ডলারে। আর ২০২৩-২৪ অর্থবছরে রিজার্ভ থেকে বিক্রি করা হয় আরো ১২ দশমিক ৭৯ বিলিয়ন ডলার। সব মিলিয়ে গত তিন বছরে রিজার্ভ থেকে প্রায় ৩৪ বিলিয়ন ডলার বিক্রি করা হয়। তবে নতুন গভর্নর আহসান এইচ মনসুর দায়িত্ব নেয়ার পর রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি বন্ধ করে দেয়ার ফলে রেমিট্যান্স ও রফতানি আয় থেকে আমদানি দায় ও বিদেশী ঋণ পরিশোধ করা হচ্ছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের পর এ দুটি খাতেই বড় প্রবৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে। চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে নভেম্বর—পাঁচ মাসে প্রবাসীরা ১১ দশমিক ১৪ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ২৬ দশমিক ৪৪ শতাংশ বেশি। আর জুলাই থেকে অক্টোবর—চার মাসে রফতানিতে ৮ দশমিক ৩৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে।