[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1041646671.jpg[/IMG]
লাক্সারি কারের জগতে কাস্টমাইজ পরিষেবা এখন মর্যাদার প্রশ্ন হয়ে উঠেছে। সেই মিছিলে শামিল হলো যুক্তরাজ্যের বৃহত্তম বিলাসী গাড়ি নির্মাতা জাগুয়ার ল্যান্ড রোভার (জেএলআর)। ধনী গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে পছন্দসই পেইন্ট পরিষেবা সম্প্রসারণে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার বিনিয়োগের ঘোষণা দিয়েছে কোম্পানিটি। এর অংশ হিসেবে যুক্তরাজ্য ও স্লোভাকিয়ায় স্থাপন করা হচ্ছে নতুন পেইন্ট অবকাঠামো। ভারতের টাটা গ্রুপের মালিকানাধীন জাগুয়ার জানিয়েছে, কাস্টম পেইন্ট অপারেশন দ্বিগুণেরও বেশি সম্প্রসারণের পরিকল্পনা করা হচ্ছে। রেঞ্জ রোভার এসভি গ্রাহকরা চাইলে ব্যক্তিগত জেট বা ইয়টের সঙ্গে মিলিয়ে রঙ করতে পারবেন। এর আগে কাস্টমাইজ গাড়িতে বড় অংকের বিনিয়োগের পদক্ষেপ নেয় রোলস-রয়েস। জানুয়ারির শুরুতে কোম্পানিটি জানায়, কাস্টমাইজড সংস্করণ তৈরির জন্য ৩০ কোটি পাউন্ড বিনিয়োগ করবে। জেএলআরের স্পেশাল ভেহিকল অপারেশনস বিভাগের পরিচালক জামাল হামিদি বলেন, ‘রেঞ্জ রোভার গ্রাহকরা তাদের গাড়িকে আরো এক্সক্লুসিভ কাস্টম পেইন্ট এবং উন্নত রঙের প্যালেট দিয়ে সাজানোর দিকে ঝুঁকছেন। আমাদের সক্ষমতা বাড়ানোর মাধ্যমে রেঞ্জ রোভার ও অন্যান্য ব্র্যান্ডের গ্রাহকদের ক্রমবর্ধমান চাহিদা পূরণ করতে পারব।’ কোম্পানিটি বলেছে, এ পরিকল্পনা জ্বালানি ও পানি ব্যবহার হ্রাস করতে এবং পেইন্ট অপচয় কমাতে সহায়তা করবে। এদিকে রোলস-রয়েস জানিয়েছে, কাস্টম মডেলের চাহিদা মেটানোর জন্য তারা গুডউড কারখানা এবং বৈশ্বিক সদর দপ্তর সম্প্রসারণ করছে, যা ব্র্যান্ডটির সম্পূর্ণ ব্যাটারিচালিত যানবাহন নিয়ে ভবিষ্যৎ পরিকল্পনার অংশ। গত মাসে জাগুয়ার নতুন বিদ্যুচ্চালিত কনসেপ্ট কার উন্মোচন করেছে, যা বিতর্কের সৃষ্টি করে। সামাজিক মাধ্যমে কেউ কেউ নতুন টাইপ জিরো জিরো মডেলকে ‘রোমাঞ্চকর’ ও ‘অত্যন্ত চমৎকার’ অভিহিত করেছেন। আবার অনেকে ‘নির্বোধ’ বলে বর্ণনা করে ‘নতুনভাবে নকশার’ আহ্বান জানিয়েছেন। তবে জাগুয়ার বলেছে, এ প্রতিক্রিয়া প্রত্যাশা অনুযায়ী ছিল। কারণ তারা ব্র্যান্ডটিকে পুনর্গঠনের চেষ্টা করছে এবং ধীরগতির বিক্রয় বাড়ানোর প্রচেষ্টায় রয়েছে। এক্ষেত্রে নতুন আলোচনা তাদের পরিচিতির জন্য সহায়ক।