[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1834828950.jpg[/IMG]
মিয়ামিতে আগামী মে মাসে নিলামে উঠবে একসময় জেনসন বাটনের মালিকানায় থাকা ব্রন জিপি কার, যার আয়োজক নিলামঘর বনহ্যামস। তবে ২০০৯ মৌসুমে যে গাড়ি চালিয়ে ফর্মুলা ওয়ানে ওয়ার্ল্ড ড্রাইভারস চ্যাম্পিয়নশিপ জিতেছিলেন বাটন, এটি সেটি নয়। আইনি জটিলতার মাধ্যমে কারটি পেয়েছিলেন তিনি। ব্রন জিপির ২০০৯ সালের এফওয়ান মৌসুম বেশ নাটকীয়। দলটি আগের মালিকদের কাছে প্রায় পরিত্যক্ত হয়ে গিয়েছিল, কিন্তু প্রকৌশলী-মালিক রস ব্রনের উদ্ভাবিত ‘ডাবল ডিফিউজার’ অ্যারোডাইনামিক ডিজাইনের কল্যাণে প্রথম সাতটি রেসের মধ্যে ছয়টিতে জয় পায়। পরে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো একই কৌশল রপ্ত করলে ব্রন জিপিকে চ্যাম্পিয়নশিপ ধরে রাখতে মরিয়া হয়ে লড়তে হয়। শেষ পর্যন্ত কঠিন প্রতিযোগিতায় রেড বুল-রেনোঁ ও সেবাস্টিয়ান ভেটেলকে পরাস্ত করে এফ১ ট্রফি নিশ্চিত করে। সে গল্প অবশ্য পুরোপুরি রূপকথা থাকেনি। চুক্তি অনুযায়ী, বাটন একটি ব্রন জিপি ০০১ গাড়ি পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ২০১০ মৌসুম শুরুর আগে ব্রন জিপি কিনে নেয় মার্সিডিস এবং বাটনের চুক্তির অর্থ পরিশোধ করলেও গাড়িটি দেয়নি। ২০১০ সালের এপ্রিলে বাটন মামলা করেন। প্রথমে মার্সিডিস বাটনকে অফ সিজনে ব্রন ফ্যাক্টরিতে তৈরি একটি রেপ্লিকা চেসিস দিতে চেয়েছিল, তবে তিনি আসল গাড়ি ছাড়া কিছুই নিতে রাজি হননি। সমস্যা হলো রস ব্রন নিজে চ্যাম্পিয়নশিপ জেতা ০০১/০২ চেসিসটি রেখে দিয়েছিলেন, আর মার্সিডিস ০৩ চেসিস নিজেদের কাছে রেখে দেয়। শেষ পর্যন্ত আদালতের আদেশে মার্সিডিস বাটনকে ০০১/০১ চেসিসটি হস্তান্তর করে, যা ২০০৯ মৌসুমের প্রথম ১৪টি রেসে রুবেন্স ব্যারিকেলো চালিয়েছিলেন। এ গাড়ি ছয়টি পডিয়াম অর্জন করে। বাটন বেশ কয়েক বছর ধরে গাড়িটি নিজের কাছেই রেখেছিলেন, তবে গত বছর এক ব্যক্তিগত সংগ্রাহকের কাছে বিক্রি করে দেন। সেই চেসিসটি বনহ্যামসের মাধ্যমে নিলামে উঠতে যাচ্ছে। নিলামঘরটি এখনো প্রারম্ভিক বা আনুমানিক বিক্রিমূল্য ঘোষণা করেনি।