মার্কিন পণ্য আমদানিতে শুল্ক আরোপের প্রস্তাব দিয়েছে ভারত। ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের ওপর আরোপিত মার্কিন শুল্কের বিরুদ্ধে পাল্টা ব্যবস্থা নিতেই এ পদক্ষেপ নিয়েছে এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম এ অর্থনীতি। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থাকে (ডব্লিউটিও) সোমবার দেয়া এক নোটিসে এ কথা জানায় ভারত। নোটিসে বলা হয়, আমরা যেসব ছাড় বা বাধ্যবাধকতা মেনে চলছিলাম, তা স্থগিত করে এবার যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা নির্বাচিত পণ্যের ওপর শুল্ক বাড়ানো হবে।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1976534306.jpg[/IMG]
প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউজে প্রবেশের পর থেকে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক হারে শুল্ক আরোপ করেছেন, যার বেশির ভাগ এখন স্থগিত পর্যায়ে রয়েছে। কার্যকর শুল্কের মধ্যে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়াম আমদানি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। ২০১৮ সালে প্রথম মেয়াদেও ডোনাল্ড ট্রাম্প একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন।
ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অপরিশোধিত ইস্পাত উৎপাদনকারী দেশ। ডব্লিউটিওকে তারা জানিয়েছে, ওয়াশিংটনের সুরক্ষা ব্যবস্থা দেশটিতে আমদানীকৃত ৭৬০ কোটি ডলারের ভারতীয় পণ্যের ওপর প্রভাব ফেলবে।
মার্কিন পণ্যের ওপর ভারতের প্রস্তাবিত শুল্ক এমন সময় এল, যখন দুই দেশ একটি বাণিজ্য চুক্তিতে পৌঁছার দ্বারপ্রান্তে রয়েছে। ট্রাম্পের শুল্কনীতির মুখে নয়াদিল্লি বাণিজ্য ঘাটতি দুই-তৃতীয়াংশ কমানোর প্রস্তাব দিয়েছিল। এছাড়া চীন-মার্কিন বাণিজ্য চুক্তির বিস্তারিত প্রকাশের দিনই খবরটি প্রকাশ হয়েছে।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শুল্কনীতির কারণে গত এক মাসে বাধাগ্রস্ত হয়েছে বৈশ্বিক বাণিজ্য। যার প্রধান লক্ষ্য ছিল চীন। ফলে চীনও পাল্টা যুক্তরাষ্ট্রে পণ্য আমদানি ও রফতানিতে শুল্ক আরোপ করে। এতে খোদ যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে নামে ধস।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আলোচনায় শুল্ক কমানোর মধ্য দিয়ে সমঝোতায় আসেন ট্রাম্প। এ সপ্তাহে চীনের সঙ্গে আলোচনায় বসে যুক্তরাষ্ট্র। যেখানে তারা ৯০ দিনের জন্য ১০০ শতাংশীয় পয়েন্ট শুল্ক কমিয়ে আনে।