[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/234120223.jpg[/IMG]
নতুন প্রযুক্তিতে মেট্রো স্টেশন পরিষ্কার করার পাশাপাশি জনবল ও পানির ব্যবহার কমানোর লক্ষ্য নিয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই কর্তৃপক্ষ, যা সহজ করে দিয়েছে রোবট ক্লিনার ড্রোন। এ রোবটগুলো স্টেশনের ভেতর প্রোগ্রাম করা পথে চলে। কাজের শুরুতে কোন কোন জায়গা পরিষ্কার করা দরকার তা তারা সেন্সরের মাধ্যমে শনাক্ত করে। সে অনুযায়ী তৈরি ম্যাপ অনুসরণ করে ধুলা, ময়লা ও আবর্জনা ভ্যাকুয়াম বা ঝাড়ু দিয়ে সরিয়ে দেয়। অনেক ড্রোনে ইউভি লাইট বা স্প্রে সিস্টেম থাকে, যা রেলিং বা বেঞ্চের মতো জায়গাগুলোর জীবাণু মেরে ফেলে। এছাড়া ব্যাটারির চার্জ ফুরিয়ে এলে ড্রোনগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজ নিজ চার্জিং স্টেশনে ফিরে যায়। ফলে এখন আগের তুলনায় ঘন ঘন ও ভালোভাবে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা সম্ভব হচ্ছে। মেট্রো ও ট্রাম অপারেটর এবং রক্ষণাবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান কেওলিস এমএইচআইয়ের সহযোগিতায় এ উদ্যোগ নিয়েছে অঞ্চলটির রোডস অ্যান্ড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (আরটিএ)। বলা হচ্ছে, ভবিষ্যতে যোগাযোগ ব্যবস্থায় নিরাপত্তা বৃদ্ধি, সম্পদের সর্বোত্তম ব্যবহার ও পরিবেশ রক্ষার প্রতিশ্রুতির অংশ হিসেবে এ উদ্যোগ। আগে যেখানে প্রতিটি স্টেশন পরিষ্কারে ১৫ জন কর্মী লাগত, এখন ড্রোন ব্যবহারে তা কমে দাঁড়িয়েছে আটজনে। ফলে শ্রমশক্তির প্রয়োজন কমেছে ৫০ শতাংশ। এছাড়া উঁচু স্থানে কাজের ঝুঁকিও অনেক কমেছে। দুবাই রেলের মেইনটেন্যান্স ইউনিটের পরিচালক মোহাম্মদ আল আমিরি বলেন, ‘আমরা নতুন প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিরাপত্তা বাড়াতে ও টেকসই পরিবেশ নিশ্চিত করতে চাই। সে অঙ্গীকারের প্রতিফলন এ পরীক্ষামূলক উদ্যোগ। ড্রোন ব্যবহারে কম পানি খরচ হয়, যা পরিবেশবান্ধব। এটি কর্মীদের নিরাপদে কাজের সুযোগও তৈরি করে।’ অবশ্য এও বলা হচ্ছে, কিছু ক্ষেত্রে পুরনো পদ্ধতি ব্যবহার করে বেশ ভালোভাবে সাফসুতরা করা যায়। তা সত্ত্বেও ড্রোন ব্যবহার ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির সঙ্গে অভিযোজনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আরটিএ ও কেওলিস এমএইচআই বর্তমানে আরো কার্যকর হাইব্রিড মডেল নিয়ে কাজ করছে।