[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/884239460.jpg[/IMG]
বন্দর ব্যবহার করে অন্য দেশে পণ্য রফতানির জন্য বাংলাদেশকে ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিয়েছিল ভারত। আকস্মিকভাবে গত ৮ এপ্রিল তা বাতিল করে দেয়া হয়। তার এক সপ্তহ পরই অর্থাৎ ১৫ এপ্রিল স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে সুতা আমদানি বন্ধ ঘোষণা করে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সর্বশেষ গত শনিবার স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাকসহ আরো বেশকিছু পণ্য আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা জারি করে ভারত সরকার, যা তাৎক্ষণিকভাবে কার্যকর করা হয়। এর ফলে বন্দরে বন্দরে আটকা পড়ে বাংলাদেশী পণ্যের ট্রাক। বিশ্লেষকরা বলছেন, গত পাঁচ দশকের সম্পর্কে প্রতিবেশী দেশ দুটির মধ্যে এভাবে আর কখনই একের পর এক পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা দিতে দেখা যায়নি। বাংলাদেশ ও ভারতের অখণ্ড ভূখণ্ড। তাই পারস্পরিক নির্ভরশীলতাও অনেক বেশি, যার বাস্তবায়ন ঘটে বাণিজ্যের মাধ্যমে। তবে প্রবল আন্দোলনের মুখে গত আগস্টে শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে প্রতিবেশী দেশ দুটির সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। কয়েক মাস ধরে চলা বাগ্*যুদ্ধের পর বাংলাদেশ-ভারত একে অপরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। দুই দেশের রাজনৈতিক টানাপড়েন এখন সরাসরি প্রভাব ফেলছে ব্যবসা-বাণিজ্যে, বিশেষ করে পোশাক শিল্পে; যার মূল্য গুনতে হচ্ছে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ুলোকে।