১. শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা (Establishes Discipline): ট্রেডিং স্ট্র্যাটেজি আপনাকে শৃঙ্খলাপরায়ন হতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে শিখিয়ে দেয় কখন ট্রেডে প্রবেশ করতে হবে, কখন প্রস্থান করতে হবে এবং কখন বাজারের বাইরে থাকতে হবে। আবেগ (যেমন: লোভ, ভয়, হতাশা) ট্রেডিংয়ে সবচেয়ে বড় শত্রু। একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল আপনাকে আবেগপ্রবণ হয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া থেকে বিরত রাখে এবং যুক্তিসঙ্গতভাবে ট্রেড করতে সাহায্য করে।

২. ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা (Risk Management): একটি কার্যকর কৌশল আপনাকে আপনার ঝুঁকি সীমিত করতে সাহায্য করে। এটি আপনাকে প্রতিটি ট্রেডে আপনার মূলধনের কতটুকু ঝুঁকি নেবেন (যেমন: মোট মূলধনের ১-২%), কোথায় স্টপ-লস (Stop-Loss) সেট করবেন এবং কখন ক্ষতি স্বীকার করবেন তা নির্ধারণ করতে শেখায়। ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা ছাড়া ট্রেড করা মানে আপনার মূলধনকে বিপদে ফেলা।

৩. এন্ট্রি ও এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণ (Defines Entry and Exit Points): কৌশল আপনাকে সুস্পষ্টভাবে বলে দেয় কোন শর্তগুলো পূরণ হলে আপনি ট্রেডে প্রবেশ করবেন এবং কোন শর্তগুলো পূরণ হলে আপনি ট্রেড থেকে বেরিয়ে আসবেন। এটি আপনাকে "সঠিক সময়ে" ট্রেড করতে সাহায্য করে। এতে করে আপনি সম্ভাব্য মুনাফা অর্জনের জন্য ট্রেড ধরে রাখতে পারবেন এবং বড় ক্ষতি থেকে নিজেকে রক্ষা করতে পারবেন।