অর্থনৈতিক ডেটা বিভিন্ন ধরনের হতে পারে এবং প্রতিটি ডেটার নিজস্ব গুরুত্ব রয়েছে:

১. জিডিপি (Gross Domestic Product - GDP): কী: একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সাধারণত ত্রৈমাসিক বা বার্ষিক) একটি দেশের অভ্যন্তরে উৎপাদিত সমস্ত পণ্য ও সেবার মোট বাজার মূল্য। এটি একটি দেশের অর্থনীতির আকার এবং বৃদ্ধির প্রধান পরিমাপ। গুরুত্ব: জিডিপি বৃদ্ধি একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়, যা সাধারণত মুদ্রার মূল্য বাড়ায়। যদি জিডিপি বৃদ্ধি ধীর হয় বা কমে যায়, তবে তা মন্দার ইঙ্গিত হতে পারে, যা মুদ্রার মূল্য কমাতে পারে।

২. মুদ্রাস্ফীতি (Inflation): কী: নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য ও সেবার মূল্যের সাধারণ স্তর বৃদ্ধি। এটি সাধারণত ভোক্তা মূল্য সূচক (Consumer Price Index - CPI) বা উৎপাদক মূল্য সূচক (Producer Price Index - PPI) দ্বারা পরিমাপ করা হয়।
গুরুত্ব: কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সুদের হার (Interest Rates) ব্যবহার করে। যদি মুদ্রাস্ফীতি বেশি হয়, তবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদের হার বাড়াতে পারে মুদ্রাস্ফীতি কমাতে, যা সেই দেশের মুদ্রাকে শক্তিশালী করে। বিপরীতভাবে, কম মুদ্রাস্ফীতি বা ডিফ্লেশন (deflation) সুদের হার কমানোর কারণ হতে পারে, যা মুদ্রাকে দুর্বল করে।

৩. সুদের হার (Interest Rates): কী: কেন্দ্রীয় ব্যাংক (যেমন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ, ইউরোপীয় সেন্ট্রাল ব্যাংক) দ্বারা নির্ধারিত প্রধান সুদের হার, যা ঋণ গ্রহণ এবং সঞ্চয়ের খরচকে প্রভাবিত করে। গুরুত্ব: সুদের হার মুদ্রার মূল্যের সবচেয়ে বড় চালিকাশক্তি। উচ্চ সুদের হার বৈদেশিক বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মুদ্রাকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে, ফলে এর চাহিদা বাড়ে এবং মূল্য বাড়ে। নিম্ন সুদের হার বাড়ে হলে এর উল্টোটা ঘটে।