কর্মসংস্থান ডেটা (Employment Data): কী: বেকারত্বের হার (Unemployment Rate), নন-ফার্ম পেরোলস (Non-Farm Payrolls - NFP - বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য), মজুরি বৃদ্ধি ইত্যাদি। গুরুত্ব: একটি দেশের শ্রমবাজারের স্বাস্থ্য অর্থনীতির সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে প্রতিফলিত করে। কম বেকারত্বের হার এবং উচ্চ মজুরি বৃদ্ধি সাধারণত শক্তিশালী অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়, যা মুদ্রার মূল্য বাড়াতে সাহায্য করে।

খুচরা বিক্রয় (Retail Sales): কী: একটি নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে খুচরা বিক্রেতাদের দ্বারা বিক্রি হওয়া সমস্ত পণ্যের মোট মূল্য। এটি ভোক্তাদের ব্যয়ের একটি পরিমাপ। গুরুত্ব: ভোক্তা ব্যয় জিডিপির একটি বড় অংশ, তাই শক্তিশালী খুচরা বিক্রয় একটি শক্তিশালী অর্থনীতির ইঙ্গিত দেয়, যা মুদ্রার জন্য ইতিবাচক হতে পারে।

উৎপাদন ডেটা (Manufacturing Data): কী: শিল্প উৎপাদন, পারচেজিং ম্যানেজারস ইনডেক্স (Purchasing Managers' Index - PMI) ইত্যাদি, যা একটি দেশের উৎপাদন খাতের স্বাস্থ্যকে পরিমাপ করে। গুরুত্ব: শক্তিশালী উৎপাদন খাত সাধারণত অর্থনৈতিক বৃদ্ধির ইঙ্গিত দেয়।

বাণিজ্য ভারসাম্য (Trade Balance): কী: একটি দেশের রপ্তানি ও আমদানির মধ্যে পার্থক্য। গুরুত্ব: যদি রপ্তানি আমদানির চেয়ে বেশি হয় (বাণিজ্য উদ্বৃত্ত), তবে সেই দেশের মুদ্রার চাহিদা বাড়ে, যা মুদ্রার মূল্য শক্তিশালী করতে পারে। বাণিজ্য ঘাটতি হলে এর বিপরীতটা ঘটে।

ভোক্তা আস্থা (Consumer Confidence): কী: ভোক্তারা বর্তমান ও ভবিষ্যতের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে কেমন অনুভব করেন, তার একটি সমীক্ষা। গুরুত্ব: আত্মবিশ্বাসী ভোক্তারা বেশি ব্যয় করে, যা অর্থনৈতিক বৃদ্ধিকে উৎসাহিত করে।