১. সুস্পষ্ট ট্রেডিং প্ল্যান: একটি বিস্তারিত ট্রেডিং প্ল্যান তৈরি করুন যেখানে আপনার এন্ট্রি, এক্সিট, স্টপ-লস এবং টেক-প্রফিট লেভেলগুলো নির্দিষ্ট থাকবে। আবেগ নিয়ন্ত্রণের জন্য এই প্ল্যানটি কঠোরভাবে অনুসরণ করুন।

২. কঠোর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা: এটি সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিটি ট্রেডে আপনার মূলধনের ১-২% এর বেশি ঝুঁকি নেবেন না। স্টপ-লসকে আপনার ট্রেডিংয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে নিন। যখন আপনি জানেন যে আপনার ঝুঁকি সীমিত, তখন আপনার ভয় কমবে।

৩. বাস্তবসম্মত প্রত্যাশা: ট্রেডিংকে দ্রুত অর্থ উপার্জনের মাধ্যম হিসেবে না দেখে একটি পেশা হিসেবে দেখুন। ছোট ছোট ধারাবাহিক লাভের উপর মনোযোগ দিন এবং অবাস্তব বড় লাভের স্বপ্ন পরিহার করুন।

৪. শিক্ষা ও অনুশীলন: বাজার সম্পর্কে আপনার জ্ঞান যত বাড়বে, আপনার আত্মবিশ্বাস তত বাড়বে এবং ভয় কমবে। ডেমো অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত অনুশীলন আপনাকে প্রকৃত বাজারের চাপ সামলাতে সাহায্য করবে।

৫. মানসিক প্রস্তুতি: লোকসান মেনে নিন: জানুন যে লোকসান ট্রেডিংয়ের একটি অংশ। প্রতিটি লোকসান থেকে শিখুন, কিন্তু আবেগপ্রণোদিত হবেন না। বিরতি নিন: যখন আপনি মানসিকভাবে ক্লান্ত বা আবেগপ্রবণ বোধ করেন, তখন ট্রেডিং থেকে বিরতি নিন। স্ব-পর্যবেক্ষণ: আপনার ট্রেডিং জার্নালে কেবল ট্রেডের ফলাফলই নয়, ট্রেড করার সময় আপনার মানসিক অবস্থা এবং অনুভূতিগুলোও লিখে রাখুন। এটি আপনাকে আপনার আবেগ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করবে।

৬. একটি বা দুটি প্রমাণিত কৌশল: অসংখ্য কৌশল না শিখে, একটি বা দুটি কার্যকর কৌশলকে ভালোভাবে আয়ত্ত করুন। এতে আপনার আত্মবিশ্বাস বাড়বে এবং অযথা বিভ্রান্তি দূর হবে।