+ Reply to Thread
Results 1 to 5 of 5

Thread: সাপ্তাহিক মার্কেট আপডেট, ২০২৫

  1. #1 Collapse post
    Senior Member Rakib Hashan's Avatar
    Join Date
    Jan 2018
    Posts
    1,044
    Accrued Payments
    1,388.45 USD
    Thanks
    1,708
    Thanked 2,402 Times in 499 Posts
    SubscribeSubscribe
    subscribed: 1

    সাপ্তাহিক মার্কেট আপডেট, ২০২৫

    ২৬মে- ১ জুন, ২০২৫ মার্কেটের পূর্বাভাস: FOMC-এর কার্যবিবরণী, কোর PCE সূচক, মার্কিন জিডিপি
    [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1259026610.jpg[/IMG]
    চলতি সপ্তাহে মার্কেটে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। দ্বিতীয়ত, ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা নিরসনের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ, যখন ডলারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়। ফলে, দ্রুতই নতুন করে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

    সোমবার সোমবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে আপাতদৃষ্টিতে তেমন কিছু নেই। কেবল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে এবং বুন্দেসব্যাংক প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেলের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া, মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্কেট বন্ধ থাকবে। তবে এর মানে এই নয় যে EUR/USD পেয়ারের মূল্য একই রেঞ্জের মধ্যেই থাকবে। প্রথমত, ট্রেডাররা রবিবার (০৮:৪০ EST) অনুষ্ঠিত জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার প্রতিক্রিয়া জানাবে। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ট্রাম্পের সেই বিবৃতি, যেখানে তিনি ১ জুন থেকে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছেন। এই ঘোষণা শুক্রবার মার্কিন সেশনের শেষ দিকে আসে, ফলে সোমবার EUR/USD-এর উপর এই ঘোষণার প্রভাব অব্যাহত থাকতে পারে। সপ্তাহান্তে ব্রাসেলস এই বিবৃতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। ইইউ-র বাণিজ্য কমিশনার মারোস শেফচোভিচ বলেন, ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য "অতুলনীয়" এবং এটি "পারস্পরিক সম্মানভিত্তিক হওয়া উচিত, হুমকি নয়।" তিনি আরও জানান, ইইউ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রস্তুত রয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে এপ্রিল থেকেই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সারসংক্ষেপে, যদিও ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি রয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অনেকটাই বাড়তে পারে।

    মঙ্গলবার মঙ্গলবার মার্কিন সেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ট্রেডারদের মূল দৃষ্টি থাকবে এপ্রিলের ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর। মার্চে ৭.৫% বৃদ্ধির পর, এপ্রিলে ৭.৯% হ্রাসের পূর্বাভাস রয়েছে। পরিবহন ব্যতীত অর্ডার ০.১% হ্রাস পেতে পারে। কনফারেন্স বোর্ড থেকে কনজ্যুমার কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ভোক্তা আস্থা সূচকও প্রকাশিত হবে। সূচকটি টানা পাঁচ মাস ধরে কমেছে, এপ্রিলের ফলাফল ছিল ৮৬.০, যা মে ২০২০-এর পর সর্বনিম্ন। মে মাসের পূর্বাভাস ৮৭.১ হলেও, যদি এটি আবারও হ্রাস পায় (৮৬.০-এর নিচে আসে), তাহলে ডলার চাপের মুখে পড়তে পারে। এর আগে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স ৫০.৮-এ নেমে আসে, যা ছিল ২০২২ সালের জুনের পর সর্বনিম্ন। ভোক্তা আস্থা সূচকের দুর্বল ফলাফল ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বাড়িয়ে তুলবে, বিশেষ করে যখন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা ও নতুন শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

    বুধবার বুধবার মে মাসের FOMC-এর বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। ওই বৈঠকে ফেড নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনেনি। জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন, নতুন শুল্ক অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে তা স্পষ্ট নয়, তাই তারা অপেক্ষা করছে। প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি কমে যাওয়ার বিষয়টিও তিনি গুরুত্ব দেননি। মিনিটসেও একই ধরনের বার্তা প্রত্যাশিত: বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে। যত বেশি উদ্বেগ থাকবে, তত বেশি ডলারের ওপর চাপ বাড়বে। তবে মিনিটসের প্রভাব তখনই দৃশ্যমান হবে যদি তা পাওয়েলের মন্তব্য বা অফিসিয়াল বিবৃতি থেকে ভিন্ন হয়। আজ রিচমন্ড ফেড ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচকও প্রকাশিত হবে। এপ্রিলে এই সূচক ছিল -১৩, মে মাসে এটি -৯-এ উন্নীত হতে পারে, তবে তা এখনো নেতিবাচক থাকবে। এই প্রতিবেদন তখনই ডলারকে সহায়তা করতে পারে যদি এটি অপ্রত্যাশিতভাবে ইতিবাচক মানে চলে আসে, যে সম্ভাবনা কম। এছাড়া, ফেডের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার (ভোটাধিকারসম্পন্ন) এবং মিনিয়াপলিস ফেডের প্রেসিডেন্ট নিল কাশকারি (চলতি বছরে ভোটাধিকার নেই) বক্তৃতা দেবেন।

    বৃহস্পতিবার ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক অনুমানে দেখা যায় প্রথম প্রান্তিকে দেশটির জিডিপির ০.৩% সংকোচন ঘটেছে, যদিও ২০২৪-এর প্রথম প্রান্তিকে ২.৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। বিশ্লেষকরা আশা করছেন দ্বিতীয় অনুমানে একই চিত্র দেখা যাবে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল নিম্নমুখী হয়, তবে ডলার আরও চাপের মধ্যে পড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতা সংক্রান্ত আলোচনা ফিরে আসবে। তবে মার্কেটে দুর্বল প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, কারণ প্রথম প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সংকোচনের প্রধান কারণ ছিল ৪১% আমদানি বৃদ্ধি, যেটা নতুন শুল্কের আগে কোম্পানিগুলোর স্টক মজুদের ফলাফল। তাই ফলাফল সংশোধন করা হলেও এর প্রভাব স্বল্পমেয়াদি হতে পারে। এছাড়া এপ্রিল মাসের পেন্ডিং হোম সেলস বা অপেক্ষামান আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্চে ৬.১% বৃদ্ধির পর, এপ্রিলের জন্য ১.০% হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

    শুক্রবার সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে এপ্রিলের কোর PCE প্রাইস ইনডেক্স প্রকাশিত হবে — এটি মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য ফেডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফেব্রুয়ারিতে ৩.০%-এ পৌঁছানোর পর, মার্চে এটি ২.৬%-এ নেমে আসে। এপ্রিলের পূর্বাভাস হলো ২.৮%। এটি ফেডের ধৈর্যশীল দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করবে, অর্থাৎ জুন ও জুলাইয়ে নীতিগত কোনো পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনা বাড়বে। ফেডের অবস্থান যদিও "হকিশ বা কঠোর" হতে পারে, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে — যেখানে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হচ্ছে — সেক্ষেত্রে এর প্রভাব সীমিত হতে পারে। স্ট্যাগফ্লেশন বা অর্থনৈতিক স্থবিরতার আশঙ্কা ডলারের ওপর চাপ বজায় রাখবে।

    উপসংহার এই সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট রয়েছে ও সেইসাথে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে বাণিজ্যযুদ্ধ সম্পর্কিত পরিস্থিতি সবকিছুকে ছাপিয়ে যাবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি হয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা গঠনমূলকভাবে পুনরায় শুরু হয় — উদাহরণস্বরূপ, যদি ট্রাম্প ৫০% শুল্ক আরোপের হুমকি থেকে সরে আসেন — তাহলে ডলার শুধু পুনরুদ্ধারই নয়, এটির মূল্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। এই ক্ষেত্রে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1080–1.1190 রেঞ্জে ফিরে যেতে পারে। তবে যদি বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়ে — বিশেষ করে যদি ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেন এবং ইইউ পাল্টা ব্যবস্থা নেয় — তাহলে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1440 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে (D1 টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের উপরের সীমা)। বর্তমান মার্কেটের সিগন্যাল বিবেচনায় রেখে বলা যায়, বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনাই বেশি

    Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/411477

    Though trading on financial markets involves high risk, it can still generate extra income in case you apply the right approach. By choosing a reliable broker such as InstaForex you get access to the international financial markets and open your way towards financial independence. You can sign up here.


  2. #2 Collapse post
    Senior Member Montu Zaman's Avatar
    Join Date
    Feb 2018
    Posts
    1,587
    Accrued Payments
    2,079.65 USD
    Thanks
    1,877
    Thanked 2,775 Times in 629 Posts
    SubscribeSubscribe
    subscribed: 0
    ১৬ জুন (সাপ্তাহিক প্রাক-পর্যালোচনা। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক)
    [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/687975572.jpg[/IMG]
    গত সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং অনিশ্চয়তার মধ্যেই শেষ হয়। মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক উত্তেজনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুক্রবার EUR/USD পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয় এবং 1.1632-এর বহু বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেল থেকে নিম্নমুখী হয়। তবে মার্কিন সেশন শেষ হওয়ার আগে বিয়ারিশ প্রবণতার চাপ হ্রাস পায় এবং ক্রেতারা ধীরে ধীরে অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে শুরু করে। বলা যায়, মার্কেট মাঝপথে স্থবির হয়ে গেছে—ট্রেডাররা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর প্রভাব পুরোপুরিভাবে বিশ্লেষণ করে উঠতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে ডলারের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছিল, তবে তা দ্রুতই দুর্বল হয়ে যায়। শুক্রবারের শেষে ডলার সূচক 98.00 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়, যদিও দিনের শুরুতে ডলার সূচকের দর 98.58-এর স্থানীয় উচ্চতায় পৌঁছেছিল। EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট একই প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়েছে—সপ্তাহ শেষে এই পেয়ারের মূল্য 1.1551 লেভেলে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়। নিঃসন্দেহে, মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক সংঘাত সামগ্রিকভাবে মার্কেট এবং EUR/USD পেয়ারের ওপর প্রভাব ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হয়, তবে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা উপকৃত হবে। এর বিপরীতে, যদি সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ে (যেমন—ইরান হরমুজ প্রণালী অবরোধ করে অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানে), তবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডাররা সতর্ক অবস্থানে থাকবে এবং এই পেয়ারের দর 1.14–1.15 রেঞ্জের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। বর্তমানে, ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের উপর মিসাইল হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। তবে উত্তেজনা নিরসনের কিছু ইঙ্গিতও দেখা যাচ্ছে। যেমন—ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না এমন একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত। পাশাপাশি, তেহরান ঘোষণা দিয়েছে যে, যদি ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হয়, তবে তারাও হামলা বন্ধ করবে। একদিকে এটি শান্তির ইঙ্গিত দেয়, তবে অন্যদিকে একটি জটিলতা রয়েছে—কারণ ইসরায়েলের হামলার আগেই তেহরান বলেছিল, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না, কিন্তু তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতেও রাজি নয়। ইরান শান্তিপূর্ণ জ্বালানি উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ নিউক্লিয়ার ফুয়েল সাইকেল বজায় রাখতে চায়। এমনকি আরাকচি উল্লেখ করেছেন যে, কোনো পারমাণবিক চুক্তিই "ইরানকে তার পারমাণবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।" অন্যদিকে, ইরানের প্রতিপক্ষ—বিশেষ করে ইসরায়েল—এখনো মনে করে যে ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। তাই ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতিক বক্তব্যে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাবনা কম। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, IDF যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ও অস্ত্র ব্যবস্থার ক্ষয়ক্ষতি সাধনের প্রচেষ্টায় আঘাত অব্যাহত রাখবে। তবুও কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাই পুরোপুরি বাতিল করা যাচ্ছে না—বিশেষ করে এখন যখন ইরানের অবস্থানে কিছুটা নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলার পর তেহরান একাধিকবার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা এখন অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো সেই অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একই সময়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে একটি চুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন, আবার একই সঙ্গে হুমকি দিচ্ছেন—যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানে, তাহলে তিনি "পূর্ণ শক্তি" দিয়ে তার জবাব দেবেন। অর্থাৎ, মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতের ফলাফল এখনো অনিশ্চিত এবং যেকোনো মোড় ঘন ঘন EUR/USD-এর মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। অন্য সব মৌলিক প্রভাবক পেছনের সারিতে চলে যাবে—শুধুমাত্র FOMC-এর জুন মাসের বৈঠক এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, যার ফলাফল বুধবার প্রকাশিত হবে। বেশিরভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, ফেডারেল রিজার্ভ তাদের সকল আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখবে। CME ফেডওয়াচ টুল অনুসারে, এই সম্ভাবনার হার 99.6%। তাই ট্রেডারদের পুরো মনোযোগ ফেডের প্রতিনিধিদের বিবৃতি এবং ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে কেন্দ্রীভূত হবে। বিশেষত ট্রেডাররা আগ্রহ নিয়ে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে ফেডের মূল্যায়ন খতিয়ে দেখবে। যেমন—মার্কিন শ্রম বাজার সংক্রান্ত মোটামুটি ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে, যদিও চমকপ্রদ কিছু ছিল না: দেশটির বেকারত্বের হার 4.2%-এ স্থির ছিল এবং নন-ফার্ম পেরোলের সংখ্যা 139K বেড়েছে (এপ্রিল মাসে ছিল 147K)। অন্যান্য প্রতিবেদনের ফলাফল মিশ্র ছিল: ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সার্ভিসেস ISM সূচক সংকোচনের অঞ্চলে চলে গেছে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বৈত ধরণের ছিল: হেডলাইন CPI এবং PPI বেড়েছে, কিন্তু কোর CPI অপরিবর্তিত ছিল এবং কোর PPI 3.0%-এ কমে এসেছে। এদিকে, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা এখনো 5.1%-এ রয়েছে, যা ফেডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার অনেক উপরে অবস্থান করছে। নিঃসন্দেহে, ফেডের জুন মাসের বৈঠকের ফলাফল EUR/USD-এর মূল্যের উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা সৃষ্টি করবে—বিশেষ করে যদি পাওয়েল স্ট্যাগফ্লেশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, কারণ CPI/PPI বাড়ছে অথচ ISM সূচকে সংকোচন দেখা যাচ্ছে। একই সময়ে, চীনের সঙ্গে ঘোষিত বাণিজ্য চুক্তি চলমান থাকা সত্ত্বেও চীনা পণ্যের ওপর 55% শুল্ক বজায় থাকছে। তবে, যদি ফেড ইতিবাচক অবস্থান বজায় রাখে এবং মূল মুদ্রাস্ফীতির স্থিতিশীলতা ও কোর PPI-এর মন্থরতার বিষয়টি তুলে ধরে, তবে ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারে। এ সপ্তাহে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মঙ্গলবার, 17 জুন যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল সেলস ভলিউম প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে মোট রিটেইল সেলস 0.6%-এ হ্রাস পেতে পারে, যা এপ্রিল মাসে 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছিল। অটোমোবাইল বিক্রি বাদ দিয়ে রিটেইল সেলস 0.2% বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে (এপ্রিল মাসে ছিল 0.1%)। এছাড়াও, মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে সূচকটি কোনো প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে না, অর্থাৎ এপ্রিলের মতোই থাকবে। এই ফলাফল ডলারের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচকের দুর্বলতা বিবেচনায়। মঙ্গলবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা হলো ZEW ইনডেক্স। জার্মান বিজনেস সেন্টিমেন্ট সূচক এই মাসে 34.8-এ পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগের মাসে 25.2 ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচক 23.5-এ পৌঁছাতে পারে, যা মে মাসে 11.6 ছিল। ফেডের জুনের বৈঠকের পাশাপাশি, বুধবার মার্কিন বিল্ডিং পারমিট সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এপ্রিল মাসে এই সূচক 4.7% হ্রাস পেয়েছিল, এবং মে মাসেও 5.1% হ্রাসের পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবার ট্রেডাররা ফিলাডেলফিয়া ফেডারেল রিজার্ভের ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্সের দিকে মনোযোগ দেবে। যদিও এটি একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, তবে এটি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও বিস্তৃত অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারে, বিশেষ করে যদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন হ্রাস পায়। জুনের সূচকটি -1.2 পয়েন্ট হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মে মাসে -4.0 ছিল।

    Though trading on financial markets involves high risk, it can still generate extra income in case you apply the right approach. By choosing a reliable broker such as InstaForex you get access to the international financial markets and open your way towards financial independence. You can sign up here.


  3. #3 Collapse post
    Senior Member Rakib Hashan's Avatar
    Join Date
    Jan 2018
    Posts
    1,044
    Accrued Payments
    1,388.45 USD
    Thanks
    1,708
    Thanked 2,402 Times in 499 Posts
    SubscribeSubscribe
    subscribed: 1
    সাপ্তাহিক পূর্বাভাস: ISM সূচক, ননফার্ম পেরোল, ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং 'বিগ, বিউটিফুল বিল'
    [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/1227255656.jpg[/IMG]
    আসন্ন সপ্তাহটি একদিকে যেমন তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় হতে চলেছে, অন্যদিকে উচ্চমাত্রার অস্থিরা দেখা যেতে পারে। অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বড় ধরনের ওঠানামার কারণ হতে পারে। এছাড়া, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত "বিগ বিউটিফুল বিল" সিনেট কর্তৃক অনুমোদনের পর মার্কিন ডলার আবারো রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসবে। সোমবার সপ্তাহের শুরুতেই মার্কিন ডলার "ঝড়ের কেন্দ্রস্থলে" পড়ে যাবে, কারণ সপ্তাহান্তে সিনেটে (শনিবার) কর ও সরকারি ব্যয় হ্রাস সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত বিল অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়: ৯৪০ পৃষ্ঠার এই বিল নিয়ে বিতর্ক শুরু করার ব্যাপারে সিনেটররা (৫১ বনাম ৪৯ ভোটে) প্রস্তুত, যেখানে প্রায় $4 ট্রিলিয়ন কর হ্রাসের সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে (৪ জুলাই পর্যন্ত) সংসদ সদস্যরা সংশোধনী প্রস্তাব দেবেন। যেহেতু বিল পরিবর্তিত হবে (এটি প্রায় নিশ্চিত), এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার প্রতিনিধি পরিষদে ফিরে আসবে এবং তারপর ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে। অতএব, শনিবারের ভোট ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগত ধাপ, তবে এটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। ডলারের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? মোটের ওপর, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক অবস্থার প্রতি উদ্বেগ বাড়ার কারণে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রাথমিক হিসেবে অনুযায়ী, বিলটি পাস হলে আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ঋণে প্রায় $3.8 ট্রিলিয়ন যুক্ত হবে (বর্তমান ঋণের পরিমাণ $36.2 ট্রিলিয়ন)। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ বিলটি শুধু ডেমোক্রেটদের নয়, কিছু রিপাবলিকানদেরও বিরোধিতার মুখে পড়েছে। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক মিত্ররাও বিরোধি শিবিরে যোগ দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইলন মাস্ক বিলটিকে "পুরোপুরি পাগলামি ও ধ্বংসাত্মক" বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন এটি লক্ষাধিক কর্মসংস্থান ধ্বংস করবে এবং কৌশলগতভাবে দেশটির ক্ষতি করবে। সিনেটের এই সিদ্ধান্তই সোমবার মার্কেটের মূল প্রভাবক হবে। এছাড়া, সোমবার এশিয়ান সেশনে চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী সূচকটি 49.5 থেকে 49.6-এ সামান্য বৃদ্ধির কথা বলা হলেও এটি সংকোচনের সীমার মধ্যেই থাকবে। যদি এটি ৫০-এর উপরে আসে, তাহলে তা ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বাড়িয়ে ইউরোকে শক্তিশালী করতে পারে, এমনকি ডলারের বিপরীতেও ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। ইউরোপীয় সেশনে, জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বেশিরভাগ বিশ্লেষক আশা করছেন জুন মাসে দেশটির বার্ষিক CPI 2.3%-এ পৌঁছাবে এবং হারমোনাইজড ইনডেক্স 2.2%-এ উঠবে। জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির ফলাফল প্রায়ই ইউরোজোনের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাই এই প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের জন্য সহায়ক হবে।
    মঙ্গলবার মঙ্গলবার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রকাশিত হবে। সূচকটি টানা চার মাস ধরে হ্রাস পাচ্ছে এবং সংকোচন সীমার নিচে রয়েছে। জুনে এটি 48.5 থেকে 48.8-এ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস, তবে এটি ৫০-এর নিচেই থাকবে। কেবলমাত্র সূচকটি যদি ৫০-এর উপরে আসে, তবেই ডলারের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। আরেকটি প্রতিবেদন হচ্ছে JOLTs (চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন), যা 7.390 মিলিয়ন থেকে 7.450 মিলিয়নে বাড়তে পারে। তবে এই সূচকটি আগের মাসের ফলাফল হওয়ায় এটির ফলাফল EUR/USD পেয়ারের উপর তেমন প্রভাব ফেলবে না। এর বিপরীতে, ইউরোজোনের CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। হেডলাইন বা প্রধান মুদ্রাস্ফীতি 2.9%-এ পৌঁছাতে পারে (যা পূর্বে 1.9% ছিল), আর কোর বা মূল মুদ্রাস্ফীতি 2.3%-এ স্থির থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) জানিয়েছে যে তারা মুদ্রানীতির নমনীয়করণ চক্র শেষ করছে, তবে অস্পষ্ট ভাষায় কিছু ব্যাখ্যার সুযোগ রেখেছে। যদি মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আসে, তাহলে এটি ইসিবির সুদের হার হ্রাসকরণ চক্র শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে। মঙ্গলবারই ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এবং ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ বক্তব্য দেবেন। পাওয়েল গত সপ্তাহেই কংগ্রেসে বক্তব্য দিয়েছেন, তাই তার বক্তব্য থেকে চমকপদ কোনো তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম—তবে তিনি ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আক্রমণের (যেখানে ট্রাম্প তাকে "সম্পূর্ণ বোকা" বলেছেন) বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেন। লাগার্ড সকালেই প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং PMI/IFO-এর ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন।

    বুধবার বুধবার ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শুক্রবারের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের পূর্বাভাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যদিও এই দুই প্রতিবেদনের ফলাফলের মাঝে সবসময় মিল থাকে না, তবে দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে সেটি মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে। এই মাসে মাত্র +105,000 কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। যদি এটি 100,000-এর নিচে নামে, তাহলে ডলারের ওপর চাপ বাড়বে। ইউরোজোনের বেকারত্বের হারও প্রকাশিত হবে, যা 6.2%-এ স্থির থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কোনো চমক না থাকলে ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনটিকে উপেক্ষা করতে পারে।

    বৃহস্পতিবার সাধারণত ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন শুক্রবার প্রকাশিত হয়। তবে ৪ জুলাই স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় এই মাসে এটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী ডলারের জন্য ইতিবাচক কিছু দেখা যাচ্ছে না। মার্কিন বেকারত্বের হার 4.3%-এ পৌঁছাতে পারে, যা আগস্ট 2024-এর পর সর্বোচ্চ। ননফার্ম পেরোল মাত্র 120,000 বাড়তে পারে, যা 200,000-এর লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক কম। যদি এটি 100,000-এর নিচে আসে, তাহলে ডলার ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হবে। গড় ঘণ্টাভিত্তিক আয় মাসিক 0.3% এবং বার্ষিক 3.8% হারে বাড়তে পারে। এই দিনেই ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচক প্রকাশিত হবে। গত মাসে এটি আকস্মিকভাবে সংকোচনে নেমে আসে (49.9 বনাম পূর্বাভাস 53.2)। এবার এটি 50.8-এ উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি এটি আবারও ৫০-এর নিচে থাকে, তাহলে ডলারের ওপর পুনরায় বড় চাপ আসতে পারে।

    টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ H4 এবং তদূর্ধ্ব প্রায় সব টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য বলিঙ্গার ব্যান্ডের মিডিয়ান বা আপার লাইনে অবস্থান করছে। এই পেয়ারের মূল্য ইচিমোকুর সব লাইনের উপরে রয়েছে, এবং H4 ও W1 চার্টে বুলিশ "প্যারেড অব লাইন্স" সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে। এই সেটআপ লং পজিশনের পক্ষে ইঙ্গিত দিচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা: 1.1800 (W1-এ আপার বলিঙ্গার ব্যান্ড)।

    Though trading on financial markets involves high risk, it can still generate extra income in case you apply the right approach. By choosing a reliable broker such as InstaForex you get access to the international financial markets and open your way towards financial independence. You can sign up here.


  4. #4 Collapse post
    Senior Member Rassel Vuiya's Avatar
    Join Date
    Feb 2018
    Posts
    1,199
    Accrued Payments
    1,110.94 USD
    Thanks
    1,882
    Thanked 2,367 Times in 521 Posts
    SubscribeSubscribe
    subscribed: 0
    চলতি সপ্তাহজুড়ে মার্কিন ভোক্তা মূল্য সূচক ও উৎপাদক মূল্য সূচক, ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগানের ভোক্তা মনোভাব সূচক, মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা সূচক (একই বিশ্ববিদ্যালয় দ্বারা প্রকাশিতব্য), এবং আমদানি মূল্য সূচক প্রকাশিত হবে। এগুলো হলো মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি নির্ধারণে প্রধান সূচক — কেবল মাসের শেষে প্রকাশিতব্য কোর PCE সূচক এই তালিকা থেকে বাদ রয়েছে। তবে, অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে এমন কিছু অন্যান্য ইভেন্ট রয়েছে যা EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট সৃষ্টি করতে পারে, বর্তমানে এই পেয়ারের মূল্য 70-পয়েন্টের রেঞ্জের মধ্যে ওঠানামা করছে।

    সোমবার সপ্তাহটি শুরু হবে চীনের বৈদেশিক বাণিজ্য সংক্রান্ত প্রতিবেদন দিয়ে। জুন মাসে দেশটির আমদানি বৃদ্ধির হার পূর্ববর্তী মাসের 4.8%-এর তুলনায় বার্ষিক ভিত্তিতে 5.0%-এ পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। আমদানি মে মাসে 3.4%-এ হ্রাসের পর 1.3% বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বাভাস ছাড়িয়ে যায় বা তার বেশি হয়, তবে তা নির্দেশ করবে: বহির্বিশ্বের চাহিদা স্থিতিশীল রয়েছে; অভ্যন্তরীণ চাহিদা পুনরুদ্ধারের পথে রয়েছে। এই ধরনের ফলাফল সামগ্রিকভাবে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বাড়িয়ে ইউরোকে পরোক্ষভাবে সহায়তা করতে পারে। ট্রেডারদের জন্য আরেকটি আগ্রহের বিষয় হতে পারে বুন্ডেসব্যাংকের মাসিক প্রতিবেদন। যদিও ব্যাংকটির হকিশ বা কঠোর অবস্থান ইউরোকে সমর্থন দিতে পারে, তবে সাধারণত এই প্রতিবেদনের ফলাফল EUR/USD-এর ওপর সীমিত প্রভাব ফেলে।

    মঙ্গলবার এই দিনটি EUR/USD ট্রেডারদের জন্য সপ্তাহের সবচেয়ে ব্যস্ত দিন হতে পারে। দিনটি শুরু হবে চীনের দ্বিতীয় প্রান্তিকের জিডিপি প্রতিবেদন দিয়ে —যা একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা যা ঝুঁকি গ্রহণ না করার বা ঝুঁকি গ্রহণ করার প্রবণতার মাধ্যমে ডলার পেয়ারের মূল্যের প্রবল অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। স্মরণযোগ্য যে, প্রথম প্রান্তিকে চীনের অর্থনীতি 5.4% হারে বৃদ্ধি পায়, যা অধিকাংশ বিশ্লেষকের পূর্বাভাস ছাড়িয়ে গিয়েছিল। অন্যান্য উপাদানগুলোও পূর্বাভাস অতিক্রম করে, যা নির্দেশ করে যে প্রণোদনা পদক্ষেপ কার্যকর ছিল, যদিও প্রান্তিকে ভিত্তিতে মাত্র 1.2% বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী দ্বিতীয় প্রান্তিকে জিডিপি বৃদ্ধি পেয়ে 5.1%-এ পৌঁছাতে পারে। এটি চীনে ধীর কিন্তু স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধিকে নির্দেশ করবে। যদি ফলাফল 5.0%-এর নিচে আসে, তবে তা প্রণোদনার প্রভাব স্বল্পমেয়াদি এবং দুর্বল ছিল বলে ইঙ্গিত দেবে, যেখানে আমদানি ঝুঁকি এবং অভ্যন্তরীণ ভোগ ব্যয়ের দুর্বলতা রয়ে গেছে। তবে, যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল পূর্বের ফলাফলের সমতুল্য বা বেশি হয়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতার বৃদ্ধি থেকে ব্যাপক সুবিধা পাবে। ইউরোপীয় সেশনে ZEW সূচকসমূহ প্রকাশিত হবে। ইতিবাচক প্রবণতা আশা করা হচ্ছে: জার্মানির অর্থনৈতিক মনোভাব সূচক 50.8-এ পৌঁছাতে পারে, যা মার্চের পর সর্বোচ্চ। এটি টানা তৃতীয় মাসের বৃদ্ধিকে নির্দেশ করবে। ইউরোজোনের ক্ষেত্রে এই সূচক 37.8 পর্যন্ত উঠতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। এই ফলাফলগুলো ইউরোকে সমর্থন করবে, কারণ ZEW থেকে প্রকাশিত প্রতিবেদনের শক্তিশালী ফলাফল ইসিবিকে অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের নীতি অবলম্বনের জন্য আরও যুক্তি প্রদান করবে, এবং সুদের হার অপরিবর্তিত রাখতে সহায়ক হবে। মার্কিন সেশনে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মার্কিন মুদ্রাস্ফীতি সূচক ভোক্তা মূল্য সূচক (CPI) প্রকাশিত হবে। বিশ্লেষকরা আশা করছেন: হেডলাইন CPI বার্ষিক ভিত্তিতে 2.4% থেকে 2.6%-এ উঠবে। কোর CPI 2.8% থেকে 2.9%-এ উন্নীত হবে, যা তিন মাসের স্থিতাবস্থার অবসান ঘটাবে। তাত্ত্বিকভাবে, এই ফলাফল ডলারকে সমর্থন দিতে পারে। তবে, ফেডের জুন মাসের সভার কার্যবিবরণীতে (গত সপ্তাহে প্রকাশিত) দেখা গিয়েছে যে ফেডের সদস্যরা শুল্ক-জনিত মুদ্রাস্ফীতির প্রভাবকে "অস্থায়ী বা সীমিত" হিসেবে বিবেচনা করছেন। বেশিরভাগ সদস্য এখনও নমনীয় মুদ্রানীতির পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেছে। ফলে, CPI-এর মাঝারি মাত্রার বৃদ্ধি ডলারের জন্য সীমিত বা সাময়িকভাবে সহায়তা প্রদান করতে পারে। বিপরীতে, যদি আসন্ন প্রতিবেদনের ফলাফল প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়, তবে ডলার প্রবল চাপের মধ্যে পড়তে পারে, কারণ সেপ্টেম্বরে সুদের হার কমানোর সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। মঙ্গলবারের প্রধান বক্তাগণ: ফেডের গভর্নর মাইকেল ব্যার এবং মিশেল বোম্যান।

    বুধবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মুদ্রাস্ফীতি নির্ধারণে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ সূচক — উৎপাদক মূল্য সূচক (PPI) প্রকাশ করা হবে। পূর্বাভাস: হেডলাইন PPI বার্ষিক ভিত্তিতে 2.6% থেকে 2.8% উঠতে পারে। কোর PPI (খাদ্য ও জ্বালানি বাদে) 3.0% থেকে 3.2%-এ উন্নীত হতে পারে। এই প্রতিবেদনের ফলাফল ভোক্তা মূল্য সূচকের ফলাফলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হতে পারে বা তার বিপরীতও হতে পারে, যা নির্ভর করছে ফলাফলের ওপর। এছাড়াও বুধবার: মার্কিন শিল্প উৎপাদনের ফলাফল প্রকাশিত হবে: মে-তে সূচকটির 0.2% পতনের পর জুনে 0.1% বৃদ্ধির পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে। যদি ফলাফল নেতিবাচক, বিশেষ করে যদি ISM উৎপাদন সূচক টানা চার মাস সংকোচনের মধ্যে থাকে, তাহলে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা বাড়তে পারে। ফেডের বেইজ বুক (আঞ্চলিক অর্থনীতির পর্যালোচনা) প্রকাশিত হবে — তথ্যবহুল হলেও সাধারণত মার্কেটে এর প্রভাব সীমিত।

    বৃহস্পতিবার এদিন EUR/USD-র জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনে হবে জুন মাসের মার্কিন খুচরা বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন: মে মাসে দুর্বল ফলাফল প্রকাশের পর, বিশ্লেষকরা প্রত্যাবর্তনের আশা করছেন: মূল খুচরা বিক্রয় 0.2% (পূর্ববর্তী -0.9%) বাড়বে, গাড়ি বাদে খুচরা বিক্রি 0.3% (পূর্ববর্তী -0.3%) বাড়বে। পূর্বাভাস অনুযায়ী ফলাফল হলে তা দুর্বল হলেও ক্রমবর্ধমান ভোক্তা কার্যক্রম নির্দেশ করবে, যা কিছুটা ডলারকে সমর্থন দিতে পারে। এছাড়াও বৃহস্পতিবার: সাপ্তাহিক বেকার ভাতা আবেদনের সংখ্যা প্রকাশিত হবে: যা গত 4 সপ্তাহে ধারাবাহিকভাবে হ্রাস পেয়েছে, সর্বশেষ ছিল 227,000। এই সপ্তাহের পূর্বাভাস: 234,000। যদি তা 250,000 ছাড়িয়ে যায় (জুনের সর্বোচ্চ), তবে তা ডলারের ওপর চাপ ফেলতে পারে। আমদানি মূল্য সূচক: বার্ষিক ভিত্তিতে 0.7% বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। এটি কেবল তখনই EUR/USD পেয়ারের উপর প্রভাব ফেলবে যদি তা CPI এবং PPI-এর ফলাফলের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়। ফিলাডেলফিয়া ফেড উৎপাদক সূচক: টানা দুই মাস নেতিবাচক ফলাফল প্রদর্শনের পর +0.4 বৃদ্ধির আশা করা হচ্ছে। ডলার ক্রেতাদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ যে যাতে সূচকটি ইতিবাচক ফলাফল প্রদর্শন করে, বিশেষ করে যদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল আউটপুট বা শিল্প উতপাদন হতাশ করে।

    শুক্রবার সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং 18 জুলাইয়ে ইউনিভার্সিটি অফ মিশিগান থেকে ভোক্তা মনোভাব সূচক প্রকাশিত হবে: জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত এই সূচক 52.2-এ নেমে এসেছিল এবং মে-তেও সেই জায়গায় স্থির ছিল। জুনে তা 60.7-এ পৌঁছে পুনরুদ্ধার শুরু করে। জুলাইয়ের পূর্বাভাস: 61.4, যা ক্রমাগত পুনরুদ্ধারের ইঙ্গিত দেয়। বিশেষ নজর থাকবে একই বিশ্ববিদ্যালয়ের মুদ্রাস্ফীতির প্রত্যাশা সংক্রান্ত প্রতিবেদনের দিকে: এটি এপ্রিল-এ 6.5%–6.6%-এ পৌঁছেছে (1981 সালের পর সর্বোচ্চ), পরে জুনে 5.0%-এ নেমে আসে। যদি জুলাইয়ে প্রত্যাশা আবার বৃদ্ধি পায়, তবে তা ডলারের জন্য নেতিবাচক হিসেবে বিবেচিত হতে পারে, কারণ স্ট্যাগফ্লেশন বা অর্থনৈতিক স্থবিরতার আশঙ্কা আবার মাথাচাড়া দিতে পারে।

    Though trading on financial markets involves high risk, it can still generate extra income in case you apply the right approach. By choosing a reliable broker such as InstaForex you get access to the international financial markets and open your way towards financial independence. You can sign up here.


  5. #5 Collapse post
    Senior Member Montu Zaman's Avatar
    Join Date
    Feb 2018
    Posts
    1,587
    Accrued Payments
    2,079.65 USD
    Thanks
    1,877
    Thanked 2,775 Times in 629 Posts
    SubscribeSubscribe
    subscribed: 0
    সাপ্তাহিক পর্যালোচনা: শুল্কের আখ্যান, ইসিবির বৈঠক, PMI এবং IFO সূচক
    [IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/94670695.jpg[/IMG]
    সামনে জুলাই মাসের শেষ দিকের সপ্তাহ অপেক্ষা করছে। এ সপ্তাহের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডারদের জন্য বড় কোনো ইভেন্টের আধিক্য নেই। মূল মনোযোগ থাকবে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠেয় ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠকের ওপর। PMI এবং IFO সূচকগুলোর ফলাফলও আলোচনার কেন্দ্রে থাকবে। তাত্ত্বিকভাবে, মৌলিক প্রেক্ষাপটের প্রতি প্রতিক্রিয়া দেখিয়ে ইউরোর ট্রেডিংয়ের পরিস্থিতি নির্ধারিত হওয়ার কথা, যেখানে ডলার পার্শ্ব চরিত্রে থাকবে। তবে, ক্যালেন্ডারভিত্ত ক ইভেন্ট ছাড়াও এমন কিছু ইভেন্টের উপস্থিতি রয়েছে যা পূর্বানুমান করা কঠিন হলেও অনেক সময় ডলার পেয়ারের উপর বেশি প্রভাব ফেলে। সেই কারণে, EUR/USD পেয়ারের ক্ষেত্রে মার্কিন ডলারই মূল প্রবণতা নির্ধারণকারী ভূমিকা পালন করতে পারে। শুল্কের বিষয়টি আবারো আলোচনায় উঠে এসেছে। ঘোষিত ১ আগস্টের সময়সীমা শেষ হতে মাত্র দুই সপ্তাহেরও কম সময় বাকি থাকায় মার্কেটে অনিশ্চয়তা বাড়তে পারে। ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতোমধ্যেই জুলাইয়ের শুরুতে আলাদা আলাদা শুল্কহার ঘোষণা করেছেন এবং বলেছেন যে সার্বজনীয় 10% শুল্কহারের মেয়াদ আর বাড়ানো হবে না। ফলে, "আলোচনার ফলাফল" EUR/USD এবং অন্যান্য ডলার পেয়ারের ওপর ব্যাপক প্রভাব ফেলবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান, ভারত, কানাডা এবং দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি করতে সক্ষম হয়, তাহলে মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে এবং EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা আবারও এই পেয়ারের মূল্যকে 1.17 এরিয়া টেস্ট করার দিকে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে পারে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে এরকম একটি ইতিবাচক পরিস্থিতির কোনো বাস্তবভিত্তিক সম্ভাবনা নেই। বরং, ফিন্যান্সিয়াল টাইমসের তথ্য অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনায় নতুন কিছু দাবি পেশ করেছেন, যার মধ্যে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর 15% থেকে 20% পর্যন্ত সর্বনিম্ন শুল্ক আরোপের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। পাশাপাশি, তিনি ইউরোপীয় গাড়ির ওপর 25% শুল্ক বজায় রাখার দাবিও জানিয়েছেন।

    যদি যুক্তরাষ্ট্র এসব চুক্তি চূড়ান্ত করতে ব্যর্থ হয়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের ওপর চাপ বেড়ে যেতে পারে, বিশেষ করে যখন মার্কেটে ঝুঁকি গ্রহণ না করার প্রবণতা জোরালো হবে। ট্রেডাররা ফেডারেল রিজার্ভ সদর দপ্তরের সংস্কার নিয়ে চলমান বিতর্কের দিকেও নজর রাখবেন, যার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছেন ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল। হোয়াইট হাউস বারবার দাবি করছে যে সংস্কারের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের অপব্যবহার হচ্ছে (যদিও ঐ অর্থ ফেডের নিজস্ব বাজেট থেকে নেয়া হয়েছে, ফেডারেল বাজেট থেকে নয়), এবং কংগ্রেসের একজন প্রতিনিধি পাওয়েলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচারের অভিযোগ তুলেছেন, যেখানে তিনি নাকি কংগ্রেসকে আশ্বস্ত করেছিলেন যে এই সংস্কারে কোনো বিলাসবহুল সুবিধা অন্তর্ভুক্ত থাকবে না। যদি এই কেলেংকারি নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা আরও বেড়ে যায় অথবা ট্রাম্প পাওয়েলের নতুন উত্তরসূরির ঘোষণা করেন (যদিও এটি অপ্রত্যাশিত, কিন্তু অসম্ভব নয়), তাহলে ফেডের স্বাধীনতা নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হওয়ায় ডলারের ওপর অতিরিক্ত চাপ তৈরি হতে পারে। এবার আসা যাক সামনের সপ্তাহের ক্যালেন্ডারভিত্ত ক ইভেন্টগুলোর দিকে: এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ইভেন্ট হচ্ছে জুলাই মাসের ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বৈঠক, যা বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই অনুষ্ঠিত হবে বলে নির্ধারিত রয়েছে। একদিকে, এই বৈঠকের ফলাফল প্রায় নিশ্চিত—রয়টার্সে এক জরিপ অনুযায়ী, অংশগ্রহণকারী ৮৪ জন শীর্ষস্থানীয় অর্থনীতিবিদের মতে, ইসিবি বর্তমান আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখবে। বাণিজ্য নীতিতে চলমান অনিশ্চয়তা (বিশেষ করে যদি তখনো মার্কিন-ইইউ চুক্তি সম্পন্ন না হয়) বিবেচনায় রেখে, ইসিবি সম্ভবত সতর্ক অবস্থান গ্রহণ করবে এবং ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখবে। যদিও সুদের হার অপরিবর্তিত থাকবে, তবে যদি পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, তাহলে ইসিবি বছরের শেষভাগে আরেক দফা আর্থিক নীতিমালার নমনীয়করণের ইঙ্গিত দিতে পারে। ইসিবি শুধুমাত্র তখনই ইউরোকে সহায়তা করতে পারবে যদি তারা অপেক্ষাকৃত হকিশ—বা আরও নির্দিষ্টভাবে বললে, দৃঢ়ভাবে অপেক্ষা ও পর্যবেক্ষণের অবস্থান গ্রহণ করে। উদাহরণস্বরূপ, সম্প্রতি ইসাবেল স্নাবেল বলেছেন, নতুন করে সুদের হার হ্রাসের "সম্ভাবনা অনেক কম।" যদি ক্রিস্টিন লাগার্দের বক্তব্য এবং আলোচনার চূড়ান্ত ফলাফলে এই অবস্থান প্রতিফলিত হয়, তাহলে EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা ইউরোর শক্তিশালী হওয়ার বিষয়টি কাজে লাগিয়ে পাল্টা আক্রমণ শুরু করতে পারে। এ সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন হবে PMI এবং IFO সূচক। যদি PMI সূচকগুলোর ফলাফল বৃদ্ধি নির্দেশ করে ইতিবাচক মান প্রদর্শন করে, তাহলে এটি EUR/USD পেয়ারের উপর ব্যাপক প্রভাব ফেলতে পারে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, জার্মানির ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI 49.4-এ পৌঁছাতে পারে (পূর্বে ছিল 49.0), এবং সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI 50.2-এ পৌঁছাতে পারে (গত মাসে ছিল 49.7)। ইউরোজোনেও একই প্রবণতা প্রত্যাশিত: ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI 49.9 এবং সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত 50.9-এ পৌঁছাতে পারে। EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের সুবিধাজনক অবস্থানের জন্য, বিশেষ করে ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রতিবেদনের "ইতিবাচক ফলাফল" প্রদর্শন করতে হবে। IFO সূচক, যা পরদিন (২৫ জুলাই) প্রকাশিত হবে, যদি PMI প্রত্যাশার চেয়ে ভালো আসে, তাহলে এটি সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাবকে আরও শক্তিশালী করবে। অধিকাংশ বিশ্লেষকের মতে, জার্মানির বিজনেস ক্লাইমেট সূচক 89.2-এ পৌঁছাতে পারে, যা গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। এই সূচক গত ছয় মাস ধরে ধারাবাহিকভাবে বেড়েছে এবং জুলাই সপ্তম মাস হতে পারে। IFO বিজনেস এক্সপেকটেশন সূচকও পূর্ববর্তী 88.4 থেকে 89.2-এ পৌঁছানোর পূর্বাভাস রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের ম্যানুফ্যাকচারিং ও সার্ভিসেস PMI সূচকগুলোর দিকেও নজর রাখা উচিত। পূর্বাভাস অনুযায়ী, উভয় সূচক সামান্য হ্রাস পেতে পারে, তবে ইতিবাচক মানের ওপরে থাকবে। ডলারের ক্রেতাদের সুবিধাজনক অবস্থানের জন্য, এই সূচকগুলোকে অবশ্যই ৫০-পয়েন্টের ওপরে থাকতে হবে। টেকনিক্যাল দৃষ্টিকোণ থেকে, EUR/USD পেয়ার বর্তমানে 1.1560 এবং 1.1650 এর মাঝামাঝি প্রায় ১০০-পয়েন্ট রেঞ্জের মধ্যে ট্রেড করছে এবং দুই প্রান্ত থেকেই মূল্যের রিবাউন্ড হচ্ছে। এই রেঞ্জের নিচের প্রান্ত H4 চার্টে বলিঞ্জার ব্যান্ডের নিচের লাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ, এবং ওপরের প্রান্ত বলিঞ্জার ব্যান্ডের ওপরের লাইনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ। বর্তমানে কোনো স্পষ্ট বুলিশ বা বিয়ারিশ প্রবণতার সিগন্যাল নেই। H4 চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য বলিঞ্জার ব্যান্ডের মিডলাইনে অবস্থান করছে, যা কুমো ক্লাউডের নিচে, এবং টেনকান-সেন ও কিজুন-সেন লাইনের মাঝে অবস্থিউত। দৈনিক (D1) চার্টে, এই পেয়ারের মূল্য বলিঞ্জার ব্যান্ডের মিডলাইন ও নিচের লাইনের মাঝখানে অবস্থান করছে, যা কুমো ক্লাউডের ওপরে, তবে টেনকান-সেন ও কিজুন-সেন লাইনের ঠিক ওপরেই রয়েছে।

    Though trading on financial markets involves high risk, it can still generate extra income in case you apply the right approach. By choosing a reliable broker such as InstaForex you get access to the international financial markets and open your way towards financial independence. You can sign up here.


+ Reply to Thread

Posting Permissions

  • You may not post new threads
  • You may not post replies
  • You may not post attachments
  • You may not edit your posts
Bangladesh Forex Forum – Presentation
You are welcome to the forum serving as a virtual salon for communication of traders of all levels. Forex is a dynamically developing financial market which is open 24 hours a day. Anyone can get access to this market via a brokerage company. On this forum you can discuss the numerous advantages of trading on the currency market and all aspects of online trading on MetaTrader4 or MetaTrader5 platforms.

Bangladesh Forex Forum – Trading discussions
Every forumite can join a discussion of various issues, including those related to Forex but not limited to. The forum has been designed for sharing opinions and helpful information and is open for both professionals and beginners. Mutual assistance and tolerance are highly appreciated. If you would like to share you experience with others or deepen your knowledge of trading craft, you are most welcome to the forum threads dedicated to trading discussions.

Bangladesh Forex Forum – Dialogue between brokers and traders (about brokers)
In order to be successful on Forex, it is crucial to choose a brokerage company with due diligence. Make sure you broker is really reliable! Thus you will be impervious to many risks and will make profitable trades on Forex. On the forum a rating of brokers is represented; it is based on comments left by their customers. Post your opinion about the brokerage company you work with, it will help other traders avoid mistakes and choose a good broker.

Unleashed communication on Bangladesh Forex Forum
On this forum you can talk about not only trading issues, but any other topics you like. Offtopping is allowed in a special thread too! Humour, philosophy, social problems or practical wisdom – converse about anything you are interested in, including forex trading if you like!

Bonuses for communication on Bangladesh Forex Forum
Those who post messages on the forum can receive money bonuses and use them for trading on an account of a forum sponsor. The forum is not meant for gaining profit; however forumites can get these small bonuses as reward for the time spent on the forum and sharing views on the currency market and trading.