স্বল্পমেয়াদী ট্রেডিং (Short-Term Trading) হল একটি ট্রেডিং কৌশল যেখানে ট্রেডাররা অল্প সময়ের মধ্যে—সাধারণত কয়েক মিনিট থেকে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে—মূল্য পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে লাভ অর্জনের চেষ্টা করেন। এই কৌশলটি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উপর নির্ভর করে। স্বল্পমেয়াদী ট্রেডিংয়ের কিছু জনপ্রিয় কৌশল: স্ক্যাল্পিং (Scalping): এই কৌশলে ট্রেডাররা খুব ছোট মূল্য পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে দ্রুত লাভ অর্জনের চেষ্টা করেন। তারা প্রতিদিন বহু ট্রেড করেন এবং প্রতিটি ট্রেড কয়েক সেকেন্ড থেকে কয়েক মিনিটের মধ্যে সম্পন্ন হয়। এই কৌশলটি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং কঠোর ঝুঁকি নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজন হয়। ডে ট্রেডিং (Day Trading): এই কৌশলে ট্রেডাররা একই দিনে পজিশন খোলেন এবং বন্ধ করেন, অর্থাৎ তারা রাতারাতি কোনো পজিশন ধরে রাখেন না। তারা ইন্ট্রাডে মূল্য পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে লাভ অর্জনের চেষ্টা করেন। সুইং ট্রেডিং (Swing Trading): এই কৌশলে ট্রেডাররা কয়েক দিন থেকে কয়েক সপ্তাহ পর্যন্ত পজিশন ধরে রাখেন, যাতে তারা মাঝারি মেয়াদী মূল্য পরিবর্তনের উপর ভিত্তি করে লাভ অর্জন করতে পারেন। তারা প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ এবং বাজারের প্রবণতা পর্যবেক্ষণ করে এন্ট্রি এবং এক্সিট পয়েন্ট নির্ধারণ করেন। ব্রেকআউট ট্রেডিং (Breakout Trading): এই কৌশলে ট্রেডাররা একটি নির্দিষ্ট রেঞ্জ থেকে মূল্য বেরিয়ে যাওয়ার সময় পজিশন নেন, আশা করেন যে মূল্য একটি নতুন প্রবণতা শুরু করবে। তারা সাধারণত সাপোর্ট এবং রেজিস্ট্যান্স স্তর পর্যবেক্ষণ করে এন্ট্রি পয়েন্ট নির্ধারণ করেন। IG রিভার্সাল ট্রেডিং (Reversal Trading): এই কৌশলে ট্রেডাররা বাজারের প্রবণতা পরিবর্তনের সময় পজিশন নেন, অর্থাৎ যখন একটি আপট্রেন্ড ডাউনট্রেন্ডে বা ডাউনট্রেন্ড আপট্রেন্ডে পরিবর্তিত হয়। তারা সাধারণত ওভারবট বা ওভারসোল্ড পরিস্থিতি চিহ্নিত করে এন্ট্রি পয়েন্ট নির্ধারণ করেন। স্বল্পমেয়াদী ট্রেডিংয়ে সফল হতে হলে ট্রেডারদেরকে প্রযুক্তিগত বিশ্লেষণ, দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ, এবং কার্যকর ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার উপর দক্ষতা অর্জন করতে হয়। তারা সাধারণত স্টপ-লস অর্ডার ব্যবহার করে সম্ভাব্য ক্ষতি সীমিত করেন এবং লাভজনক ট্রেডের জন্য নির্দিষ্ট লক্ষ্য নির্ধারণ করেন। Sources