ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটে ট্রেডিংয়ের পরামর্শ, ১৪ অক্টোবর
বিটকয়েনের মূল্য গতকাল $116,000 লেভেলে পৌঁছেছিল, তবে আবারও এই পেয়ার বিক্রির প্রবণতা শুরু হয়। আগের দিনের তুলনায় ইথেরিয়ামের মূল্যেরও অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পুনরুদ্ধারের পর দরপতন শুরু হয়। চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে তীব্রতর বাণিজ্য সংঘাত এখনও ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেটগুলোর উপর, বিশেষ করে ক্রিপ্টোকারেন্সি মার্কেটের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দা এবং অনিশ্চয়তা বৃদ্ধির শঙ্কায় ট্রেডাররা অতিরিক্ত সতর্কতা অবলম্বন করছেন এবং উচ্চ-ঝুঁকিপূর্ণ অ্যাসেট থেকে নিজেদের বিনিয়োগ সরিয়ে নিচ্ছেন। জনপ্রিয়তা বাড়লেও, আজও অনেক বিনিয়োগকারীর দৃষ্টি থেকে ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলো উচ্চ ভোলাটিলিটিসম্পন্ গঠনগতভাবে স্পেকুলেটিভ ইনস্ট্রুমেন্ট হিসেবেই বিবেচিত। বাণিজ্যিক উত্তেজনার মধ্যেই মার্কিন ডলারের নিরবচ্ছিন্ন দর বৃদ্ধি ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলোর উপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে। ঐতিহ্যগতভাবে, ডলারের মূল্য বাড়লে বিনিয়োগকারীরা বিকল্প অ্যাসেট যেমন ডিজিটাল মুদ্রার প্রতি আগ্রহ হারান। অর্থনৈতিক অস্থিরতার সময়ে, অনেক বিনিয়োগকারী মূলধন সরিয়ে ডলারকেই নিরাপদ আশ্রয় হিসেবে বেছে নেন। তবে বাণিজ্য যুদ্ধের প্রভাব ক্রিপ্টো মার্কেটে শুধুই নেতিবাচক দিক দিয়ে সীমাবদ্ধ নয়। কিছু বিশ্লেষকের মতে, দীর্ঘমেয়াদে এই ধরনের বৈশ্বিক বাণিজ্য সংঘাতের ফলে ঐতিহ্যবাহী আর্থিক ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়লে, ক্রিপ্টোকারেন্সি ুলো তার প্রত্যক্ষ সুবিধাভোগী হতে পারে। ক্রিপ্টোকারেন্সি বিকেন্দ্রীকৃত প্রকৃতির কারণে, এগুলো বৈচিত্র্য বৃদ্ধিতে ইচ্ছুক এবং ভূ-রাজনৈতিক ঝুঁকি থেকে সুরক্ষার জন্য নিরাপদ বিকল্প খুঁজতে থাকা বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি সম্ভাব্য আকর্ষণীয় ইনস্ট্রুমেন্ট হয়ে উঠতে পারে। নিকট ভবিষ্যতে বাণিজ্য সংঘাতই সম্ভবত ক্রিপ্টো মার্কেটের জন্য মূল প্রভাবক হিসেবে থাকবে। যদি উত্তেজনা আরও তীব্র হয়, তাহলে দরপতন অব্যাহত থাকতে পারে; অন্যদিকে উত্তেজনা হ্রাস পেলে মার্কেটে পুনরুদ্ধার শুরু হতে পারে। ট্রেডারদের প্রতিনিয়ত মার্কেট সংশ্লিষ্ট সংবাদ পর্যবেক্ষণ করা এবং বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় মৌলিক প্রেক্ষাপটকে বিবেচনায় রাখা উচিত। দৈনিক কৌশল হিসেবে, আমি বিটকয়েন এবং ইথেরিয়ামের যেকোনো বড় ধরনের দরপতনের ক্ষেত্রে ট্রেডিং করব—মাঝারি মেয়াদে মার্কেটে বুলিশ প্রবণতা এখনো কার্যকর রয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে। স্বল্পমেয়াদি ট্রেডিং কৌশল হিসেবে আমি নিম্নলিখিত কৌশলসমূহ অনুসরণ করব:
বিটকয়েন বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: বিটকয়েনের মূল্য $114,400-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে $113,000-এর এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি এটি কিনব। মূল্য $114,400-এর লেভেলে কাছাকাছি পৌঁছালে আমি অবিলম্বে লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বাউন্সের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে ক্রয় করার আগে, নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের নিচে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর পজিটিভ জোনে রয়েছে। পরিকল্পনা 2: যদি $112,100 লেভেলের ব্রেকআউট হয়ে মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেলে থেকে বিটকয়েন কেনার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের $113,000 এবং $114,400-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: বিটকয়েনের মূল্য $110,700-এর লেভেলে দরপতনের লক্ষ্যে $112,100-এর লেভেলে পৌঁছালে আমি এটি বিক্রি করব। মূল্য $110,700-এর লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি বিটকয়েনের শর্ট পজিশন ক্লোজ করব এবং রিবাউন্ডের ক্ষেত্রে অবিলম্বে লং পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে বিক্রির আগে নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের উপরে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর নেগেটিভ জোনে রয়েছে। পরিকল্পনা 2: যদি $113,000 লেভেলের ব্রেকআউট হয়ে মূল্য ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কেটে কোন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেলে থেকে বিটকয়েন বিক্রির আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের $112,100 এবং $110,700-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
ইথেরিয়াম বাই সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: ইথেরিয়ামের মূল্য $4180-এর লেভেলে বৃদ্ধির লক্ষ্যে $4098-এর লেভেলে পৌঁছালে আমি এটি কিনব। মূল্য $4180-এর লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি ইথেরিয়ামের লং পজিশন ক্লোজ করব এবং বাউন্সের ক্ষেত্রে শর্ট পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে ক্রয় করার আগে, আমি নিশ্চিত করব যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের নিচে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর পজিটিভ জোনে রয়েছে। পরিকল্পনা 2: যদি $4030 লেভেলের ব্রেকআউট হয়ে মূল্য নিম্নমুখী হওয়ার ক্ষেত্রে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে ইথেরিয়াম কেনার আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং মূল্যের $4098 এবং $4180-এর দিকে যাওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
সেল সিগন্যাল পরিকল্পনা 1: ইথেরিয়ামের মূল্য $3935-এর লেভেলে দরপতনের লক্ষ্যে $4030-এর এন্ট্রি পয়েন্টে পৌঁছালে আমি ইথেরিয়াম বিক্রি করব। মূল্য $3935 লেভেলের কাছাকাছি পৌঁছালে আমি শর্ট পজিশন ক্লোজ করব এবং বাউন্সের ক্ষেত্রে অবিলম্বে লং পজিশন ওপেন করব। ব্রেকআউটের ক্ষেত্রে বিক্রির আগে নিশ্চিত করুন যে 50-দিনের মুভিং এভারেজ বর্তমানে মূল্যের উপরে রয়েছে এবং অওসাম অসিলেটর নেগেটিভ জোনে রয়েছে। পরিকল্পনা 2: যদি মূল্য $4098-এর লেভেল ব্রেক করার ফলে মার্কেটে কোনো প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি না হয়, তাহলে সেই লেভেল থেকে ইথেরিয়াম বিক্রির আরেকটি সুযোগ পাওয়া যেতে পারে এবং $4030 এবং $3935-এর দিকে দরপতনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা যেতে পারে।
Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/427225