পুরনো নকশায় ফিউশন এনে বাজারে হালকা গড়নের গাড়ি আনতে চলেছে হোন্ডা। প্যাডেলচালিত এ গাড়িতে লাইসেন্সধারী চালকের প্রয়োজন পড়বে না। সাইকেল ও ট্রাকের সমন্বয়ে তৈরি এ ফাস্টপোর্ট ই-কোয়াড কোয়াড্রিসাইকেল শুরুতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের সড়কে চলাচল করবে। হোন্ডা আশা করছে, চার চাকার প্যাডেলচালিত গাড়িটি যানজটের সমস্যায় নাকাল ঘনবসতিপূর্ণ শহরগুলোয় কাজে লাগবে। এতে সহায়ক হিসেবে রয়েছে বিদ্যুচ্চালিত ব্যবস্থা। আমেরিকান হোন্ডা মোটরের বিজনেস ডেভেলপ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট হিরোকাজু হারা জানান, খাদ্য, প্যাকেজ ও অন্যান্য সামগ্রী ডেলিভারির জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত এ ই-কোয়াড। শুরুতে বাজার হিসেবে নিউইয়র্ক সিটি ও লস অ্যাঞ্জেলেসের মতো শহুরে কেন্দ্রগুলোকে বিবেচনা করছে কোম্পানিটি। ই-কোয়াড দুটি আকারে আসছে। বড় আকারের একটি প্রটোটাইপ সম্পূর্ণ লোড নিয়ে ৩৭ কিলোমিটার পর্যন্ত চলতে পারে এবং সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ২০ কিলোমিটার। নতুন কোয়াড্রিসাইকেলটি আমেরিকান হোন্ডার স্টার্টআপ হোন্ডা নিউ বিজনেস ইনোভেশন ল্যাবে তৈরি হয়েছিল ২০২৩ সালে। আপাতত ওহাইওর একটি প্লান্ট ছোট ব্যাচে বিশেষায়িত গাড়িগুলো উৎপাদন হবে। এতে কাজ করছে ফুয়েল সেল গাড়ি ও রেস কার তৈরির অভিজ্ঞতাসম্পন্ন প্রকৌশলীদের একটি দল। পরিকল্পনা অনুসারে, যুক্তরাষ্ট্র-ইউরোপভিত্তিক লজিস্টিকস ও ডেলিভারি কোম্পানিগুলোর কাছে নতুন কোয়াড্রিসাইকেল সরবরাহ করবে হোন্ডা এবং আগামী গ্রীষ্মে পুরোদমে উৎপাদন শুরু হবে। মার্কিন শহরগুলোয় যানজট গুরুতর একটি সমস্যা। গত জানুয়ারিতে নিউইয়র্কে উচ্চ-যানজটপূর্ণ অঞ্চলে গাড়ির ওপর বিশেষ টোল ধার্য করা হয়। এতে ব্যক্তিগত যানবাহন কমে গণপরিবহনে যাত্রী বেড়েছে। তা সত্ত্বেও যানজট সেখানে এখনো সমস্যা। লস অ্যাঞ্জেলেসেও একই ধরনের সমস্যা রয়েছে। ২০২৮ সালের গ্রীষ্মকালীন অলিম্পিক ও প্যারা-অলিম্পিকসের সময় দেড় কোটির বেশি দর্শক আসবে বলে আশা করা হচ্ছে। এসব শহরে ডেলিভারি ভ্যান ও ট্রাকগুলো সহজেই যানজটে আটকে যেতে পারে, অন্যদিকে দুই চাকার গাড়ির কার্গো ধারণক্ষমতা সীমিত। হোন্ডার ই-কোয়াড এমনভাবে তৈরি হয়েছে যেন এটি দুই চাকার গাড়ির মতো ভারী যানজটের মধ্য দিয়ে যেতে পারে, অথচ একটি বহন করবে সাইকেল বা স্কুটারের চেয়ে বেশি মালামাল। এমনকি ই-কোয়াডের বড় মডেলটি বাইসাইকেল লেন ব্যবহার করে ২৯৫ কিলোগ্রাম পর্যন্ত বোঝা বহন করতে পারে, যা একটি মিনিট্রাকের প্রায় সমান।