স্মার্টফোনের যন্ত্রাংশ উৎপাদন থেকে শুরু করে অ্যাসেম্বল, বাজারজাতের দিক থেকে বিশ্বের অন্যতম বাজার চীন। ১৯৮৭ সালে দেশটিতে প্রথম ওয়্যারলেস টেলিফোন কমিউনিকেশন পরিষেবা চালু হয়। এরপর ধীরে ধীরে বৈশ্বিক বাজারের শীর্ষে উঠে আসে দেশটি। তবে বিভিন্ন সমস্যা ও প্রতিবন্ধকতার কারণে ধীরে ধীরে স্মার্টফোন খাতের সে স্বর্ণযুগ হারাচ্ছে দেশটি। খবর প্রোম্যাগাজিন ও রয়্যালসব্লু।

বাজার গবেষণাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠান আইডিসির তথ্যানুযায়ী, চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে চীনের স্মার্টফোনের বাজারজাত ১৪ দশমিক ৭ শতাংশ কমেছে। অন্যদিকে শাওমি, ভিভো, অপোসহ যেসব মাল্টি বিলিয়নেয়ার প্রযুক্তিপ্রতিষ্ ানকে দেশটির প্রযুক্তি খাতের মেরুদণ্ড আখ্যা দেয়া হয়েছিল তারাও উল্লেখযোগ্য হারে বিক্রি কমার কথা জানিয়েছে।

বাজারের শীর্ষস্থান হারানোর পেছনে বেশকিছু কারণ রয়েছে। এর মধ্যে কভিড-১৯ মহামারীর কারণে আরোপিত বিধিনিষেধ, চিপ সংকট, বিভিন্ন প্রযুক্তিপ্রতিষ্ ানের উৎপাদন স্থগিত ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্কের অবনতি উল্লেখযোগ্য। এসব বিষয় পেরিয়ে দেশটি স্মার্টফোন উৎপাদনকারীরা দীর্ঘদিন থেকে যে আশঙ্কা প্রকাশ করে আসছিল সেটি এখন চাক্ষুষ। গত ১০ বছরে নতুন নতুন ক্রেতা ও উন্নত ডিভাইসের চাহিদার মাধ্যমে চীনের স্মার্টফোন বাজার শীর্ষে উঠেছিল। বর্তমানে তা বিলীনের পথে।

এক দশক আগেও চীন মোবাইল ন্যাশনে পরিণত হতে চেয়েছিল। দেশটি রাষ্ট্রীয় অর্থায়নের মাধ্যমে প্রায় প্রতিটি গ্রামে ফোরজি নেটওয়ার্কের বেজ স্টেশন স্থাপন করেছিল। এর মাধ্যমে অপো ও ভিভো প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাজার হাজার মানুষের কাছে তাদের বিভিন্ন আকর্ষণীয় ডিজাইনের স্মার্টফোন বিক্রি করেছে। এর মধ্যে অনেকেই এর আগে কখনো টাচস্ক্রিন ফোন ব্যবহার করেনি। অন্যদিকে অ্যাপল, স্যামসাং ও মটোরোলার মতো প্রতিষ্ঠান প্রযুক্তিপ্রেমী অধিবাসীদের আকৃষ্ট করার জন্য প্রিমিয়াম সেগমেন্টের স্মার্টফোন বাজারজাত করেছে। তবে পরবর্তী সময়ে পণ্যের ত্রুটি, বিপণনের ক্ষেত্রে ভুল উদ্যোগ ও ভু-রাজনৈতিক চাপের কারণে প্রতিষ্ঠানগুলো বাজার হারায়।

বণিক বার্তা