যুক্তরাষ্ট্রে বিনিয়োগে আগ্রহ কমে আসছে ব্রিটিশ কোম্পানিগুলোর। সম্প্রতি এমনটিই জানিয়েছে আন্তর্জাতিক পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডেলয়েট। সংস্থাটির নতুন এক জরিপে দেখা গেছে, এখন অনেক ব্রিটিশ ব্যবসায়ী নিজ দেশ যুক্তরাজ্য ও উদীয়মান বাজার ভারতের দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। খবর রয়টার্স।
জরিপে অংশ নিয়েছেন যুক্তরাজ্যের বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর চিফ ফাইন্যান্সিয়াল অফিসাররা (সিএফও)। যুক্তরাষ্ট্রকে বিনিয়োগের জন্য আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে দেখছেন এমন কর্মকর্তাদের নিট ব্যালান্স (আগ্রহী ও অনাগ্রহী বিনিয়োগকারীদের ব্যবধান) এবার মাত্র ২ শতাংশ। অন্যদিকে ২০২৪ সালের শেষদিকে নিট ব্যালান্স ছিল ৫৯ শতাংশ। আগের পরিসংখ্যানটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয়বার প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের ঠিক আগ মুহূর্তে পরিচালিত।
এ ফলাফল মার্কিন সরকারের সাম্প্রতিক তথ্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ। সেখানে চলতি বছরের শুরুতে যুক্তরাষ্ট্রে বিদেশী প্রত্যক্ষ বিনিয়োগে (এফডিআই) উল্লেখযোগ্য পতন দেখা যায়। বিশ্লেষকদের মতে, ডোনাল্ড ট্রাম্পের সম্ভাব্য শুল্কনীতির কারণে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।
২০২৩ সালে যুক্তরাষ্ট্রে এফডিআইয়ের চতুর্থ-বৃহত্তম উৎস ছিল যুক্তরাজ্য। এর আকার ৬৩ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যকেই বেশি আকর্ষণীয় মনে করছেন ব্রিটিশ ব্যবসায়ীরা। ডেলয়েট জানিয়েছে, যুক্তরাজ্যকে বিনিয়োগের জন্য ইতিবাচকভাবে দেখা সিএফওদের অনুপাত বেড়ে হয়েছে ১৩ শতাংশ, যা আগে ছিল ঋণাত্মক ১২ শতাংশ।
ডেলয়েট ইউকের প্রধান নির্বাহী (সিইও) রিচার্ড হিউস্টন বলেন, ‘এ ফলাফল দেখায় যে যুক্তরাজ্য এখন বৈশ্বিক বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শীর্ষ গন্তব্য হয়ে উঠেছে। ব্যবসায় আস্থা ও ঝুঁকি গ্রহণের মানসিকতা বৃদ্ধিই এ বিশ্বাসকে দৃঢ় করছে।’
তবে সামগ্রিক ব্যবসায়িক আস্থা এখনো কিছুটা দুর্বল। জরিপ অনুযায়ী, আশাবাদ সূচক আগের ১৪ থেকে কমে এখন ১১ শতাংশ হয়েছে।
১৬-২৯ জুন পরিচালিত এ জরিপে ৬৬ জন সিএফও ও উচ্চপদস্থ নির্বাহী অংশ নেন। এদের মধ্যে ৩৭টি ছিল তালিকাভুক্ত কোম্পানি, যাদের সম্মিলিত বাজারমূল্য ৩৮ হাজার ৬০০ কোটি পাউন্ড বা ৪৯ হাজার ৪০০ কোটি ডলারের সমতুল্য।