নতুন বছর যুক্তরাজ্যের উৎপাদক ও শিল্পপ্রতিষ্ঠানে জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্রেক্সিটসংক্রান ত পরিবর্তনের ফলে ব্রিটিশ শিল্প-কারখানাগুলোয় ব্যয় বাড়ার আশঙ্কা করছেন শিল্পোদ্যোক্তারা কাস্টমস বিলম্ব, পরিবহন প্রতিবন্ধকতা ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতার ফলে উৎপাদন খাতের ব্যয় ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বিচ্ছেদের প্রায় দুই বছর হতে চলল। সম্প্রতি ২২৮টি প্রতিষ্ঠানের ওপর করা এক জরিপ অনুযায়ী, বেশির ভাগ প্রতিষ্ঠান বলছে, ব্রেক্সিট তাদের ব্যবসাকে মাঝারি বা উল্লেখযোগ্যভাবে ব্যাহত করেছে। অর্ধেকের বেশি প্রতিষ্ঠান সতর্ক করেছে, তারা আমদানি চেকিং ও পণ্য লেবেলিং পরিবর্তনের কারণে কাস্টমসে বিলম্বের মুখোমুখি হচ্ছে। ফলে এ বছর তারা আরো ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারে।

এদিকে মেকইউকের জ্যেষ্ঠ নির্বাহী কর্মকর্তার এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, নতুন বছরে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগ লোর জন্য সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হবে ব্রেক্সিট। এর মধ্যে কভিড-১৯ মহামারীর সংক্রমণ বাড়ায় দাম বেড়েছে কাঁচামালের। এছাড়া কাস্টমসে বিলম্ব, যুক্তরাজ্য ও ইইউর পৃথক নিয়ন্ত্রক ব্যবস্থার অতিরিক্ত ব্যয় এবং অভিবাসী কর্মীদের প্রবেশাধিকার কমে যাওয়া জরিপে শীর্ষ উদ্বেগের মধ্যে ছিল।

এদিকে ওমিক্রনের প্রকোপ বাড়ায় বছর শেষে যুক্তরাজ্যের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে শ্লথগতি দেখা গেছে। বাজারে পণ্যের চাহিদাও ঊর্ধ্বমুখী। সেন্টার ফর ইকোনমিকস অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ ও বিওডির এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, গত বছর ডিসেম্বরে প্রবৃদ্ধি ও ব্যবসায়িক আশাবাদ কমেছে। এর জন্য নভেল করোনাভাইরাসের সর্বশেষ সংক্রমণপ্রবাহকে দায়ী করছেন গবেষকরা। আইএইচএস মার্কিট ও ন্যাটওয়েস্টের এক পৃথক সমীক্ষা বলছে, যুক্তরাজ্যের ১২টির মধ্যে ১১টি অঞ্চলেই শিল্প-কারখানার কার্যক্রম কমেছে।

বণিক বার্তা