চলতি বছরের এপ্রিলে জাপানের মাসিক রফতানি তার আগের বছরের একই সময়ের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে। গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় চলতি বছরের এপ্রিলে দেশটির ৩০ শতাংশেরও বেশি বেড়েছে। এর মধ্য দিয়ে গত এক দশকের মধ্যে মাসিক রফতানিতে সর্বোচ্চ বৃদ্ধির রেকর্ডে পৌঁছেছে জাপান। সম্প্রতি রয়টার্স প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে এমনটা দেখা গেছে।

তবে গত বছরে করোনার প্রাথমিক প্রভাবের কারণে রফতানি বেশ কিছুটা কমে গিয়েছিল, যার মাধ্যমে চলতি বছরের একই সময়ে এসে রফতানিতে একটা বড় ধরনের প্রভাব পরিলক্ষিত হয়েছে। বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি বিশালাকারে অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে সক্ষম হয়েছে। এর কারণ হলো বিশ্বের অন্যান্য দেশে জাপানি পণ্যের চাহিদা বেড়েছে, যা দেশটির উৎপাদন এবং একই সঙ্গে রফতানিকে বাড়িয়ে তুলেছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের পুনরায় বৃদ্ধির মধ্যেই যখন পণ্যের ব্যবহার কমে যায় তার মধ্যেই রফতানির এমন অগ্রগতি দেখিয়েছে জাপান।

জানা যায়, জাপানের রফতানি ও অন্যান্য মৌলিক তথ্য-উপাত্তসংক্রান্ত পরবর্তী সপ্তাহের পরিসংখ্যান মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে। এতে থাকবে মেশিনারি যন্ত্রপাতির অর্ডার, ভোক্তা এবং পাইকারি দামের পরিসংখ্যান। পাশাপাশি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) মোট দেশীয় পণ্যের পরিসংখ্যানগুলোও এতে প্রকাশ করা হবে।

এদিকে রয়টার্স প্রকাশিত ১৮ অর্থনীতিবিদের এক পোলে দেখা গেছে, এপ্রিলে জাপানের রফতানি মাত্র এক বছর আগের একই সময়ের তুলনায় ৩০ দশমিক ৯০ শতাংশ বেড়েছে। ২০১০ সালের মে মাসের পর থেকে জাপানের রফতানিতে এক মাসের হিসাবে এটিই সর্বোচ্চ বৃদ্ধি।


বণিক বার্তা