পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে রাশিয়ার জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়ানোর সক্ষমতা ব্যাহত হবে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এ কারণে দেশটিকে ওপেক প্লাসের জ্বালানি তেল উত্তোলন চুক্তি থেকে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে ওপেকের বিভিন্ন সদস্য দেশ। গতকাল ওপেকের প্রতিনিধিদের বরাত দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

সংশ্লিষ্টদের ভাষ্যমতে, রাশিয়াকে গ্রুপের চুক্তি থেকে বাদ দিলে অন্য সদস্য দেশগুলোর জন্য আরো বেশি মাত্রায় ও দ্রুতগতিতে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল উত্তোলনের সুযোগ তৈরি হবে। যদিও জোটটির খুব কম সদস্যই আছে, যারা বর্তমান চুক্তি অনুসারে খুব দ্রুত উত্তোলন বাড়ানোর সক্ষমতা রাখে।

রাশিয়াকে গ্রুপ থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি অথবা প্রতীকী পদক্ষেপ। কারণ বর্তমানে ইউক্রেনে হামলার প্রতিক্রিয়া ও পশ্চিমা দেশগুলোর নিষেধাজ্ঞার কারণে অনেকেই রুশ জ্বালানি পণ্য প্রত্যাহার করছে। যদিও এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম রয়েছে। বিশেষ করে ভারত ও চীন সাম্প্রতিক সময়ে রাশিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে। বর্তমানেও এসব দেশ আমদানি অব্যাহত রেখেছে। অন্যদিকে দেশীয় জ্বালানি সংকট কাটিয়ে উঠতে রাশিয়ামুখী হয়ে উঠছে শ্রীলংকাও।

ওপেক প্লাসের চুক্তি অনুযায়ী, প্রতি মাসেই অন্যান্য সদস্য দেশের মতো জ্বালানি তেল উত্তোলন বাড়ানোর কথা রয়েছে রাশিয়ার। কিন্তু একের পর এক আমদানি প্রত্যাহারের কারণে চলতি বছর দেশটিতে জ্বালানি তেল উত্তোলন প্রায় ৮ শতাংশ কমতে পারে বলে জানিয়েছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশ ওপেক বিশেষ করে সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রতি জ্বালানি তেল উত্তোলন আরো বেশি মাত্রায় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে আসছে। উদ্দেশ্য আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত জ্বালানি তেল ও গ্যাসোলিনের দাম কমিয়ে আনা। কিন্তু এখন পর্যন্ত এ আহ্বানকে প্রত্যাখ্যান করে আসছে জোটটি।

বণিক বার্তা