দীর্ঘদিন ধরেই চীনের সঙ্গে সীমান্ত বিরোধ চলছে ভারতের। ২০২০ সালের মাঝামাঝিতে প্রতিবেশী দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের মধ্যে সংঘাত এ বিরোধে নতুন মাত্রা যোগ করে। প্রভাব পড়ে দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কেও। এ পরিপ্রেক্ষিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি চীনা পণ্যের নির্ভরতা কমানোর আহ্বান জানান। এর পরও ২০২১-২২ অর্থবছরে বেইজিংয়ের সঙ্গে নয়াদিল্লির বাণিজ্য ঘাটতি ৭ হাজার ৭০০ কোটি ডলারের রেকর্ড স্পর্শ করেছে। এটিকে সরকারের ‘আত্মনির্ভর ভারত’ অর্জনের পথে বড় একটি ধাক্কা হিসেবে অভিহিত করেছেন বিশ্লেষকরা। খবর দ্য প্রিন্ট।

চীনের জেনারেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশ অব কাস্টমসের (জিএসিসি) তথ্য অনুসারে, ২০২১ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের মার্চ পর্যন্ত চীনে ২ হাজার ৬৪৬ কোটি ডলারের পণ্য রফতানি করেছে ভারত। অন্যদিকে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি থেকে ১০ হাজার ৩৪৭ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি করেছে দেশটি।

ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পরিসংখ্যান সরবরাহ করেছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, গত অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে চীনের সঙ্গে দেশটির বাণিজ্য ঘাটতি প্রায় ৬ হাজার ৫৩৪ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে। এ ঘাটতির পরিমাণ আগের অর্থবছরের তুলনায় অনেক বেশি। এর আগে ২০২০-২১ অর্থবছরে ৪ হাজার ৪০২ কোটি ডলার, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৪ হাজার ৮৬৫ কোটি ডলার এবং ২০১৮-১৯ অর্থবছরে চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্য ঘাটতির পরিমাণ ছিল ৫ হাজার ৩৫৭ কোটি ডলার। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ ঘাটতি ৬ হাজার কোটি ডলারের মাইলফলক ছাড়িয়েছিল। সে সময় ভারতের এ ঘাটতি ছিল ৬ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। এর পেছনে চীনে ভারতের আকরিক লোহা ও তুলা রফতানিতে উল্লেখযোগ্য হ্রাসকে দায়ী করা হয়েছিল। তবে ২০১৮-১৯ থেকে ২০২০-২১ পর্যন্ত বাণিজ্য ঘাটতি নিম্নমুখী প্রবণতায় ছিল।

বণিক বার্তা