প্রতিনিয়ত আধুনিকায়নের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে ব্যাংক খাত। অনলাইন কিংবা মোবাইল ব্যাংকিংয়ে ঝুঁকছে গ্রাহক। ইন্টারনেটভিত্তিক পরিষেবা বিস্তৃত করছে ব্যাংকগুলোও। জনপ্রিয়তা হারাচ্ছে তথাকথিত শাখাভিত্তিক ব্যাংকিং পরিষেবা। আবেদন কমে যাওয়ায় বন্ধ করে দেয়া হচ্ছে একের পর এক শাখা। সম্প্রতি প্রকাশিত এক সমীক্ষায় উঠে এসেছে, ২০১৫ সালের জানুয়ারির পর থেকে এখন পর্যন্ত যুক্তরাজ্যের প্রায় অর্ধেক ব্যাংক শাখা হারিয়ে গেছে কিংবা বন্ধের জন্য নির্ধারিত হয়েছে। খবর দ্য গার্ডিয়ান।

তবে এ প্রবণতায় নতুন এক ঝুঁকি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। তাদের মতে, এ প্রবণতার কারণে বয়স্ক বা দুর্বল জনগোষ্ঠী ব্যাংকিং ব্যবস্থার বাইরে চলে যেতে পারে। এটি ইন্টারনেটভিত্তিক পরিষেবার বাইরে থাকা জনগোষ্ঠীর জীবনযাপনকে কঠিন করে তুলছে।

ব্রিটিশ আর্থিক ম্যাগাজিন হুইচ?-এর বরাত দিয়ে ব্রিটিশ সংবাদ সংস্থা পিএ মিডিয়া জানিয়েছে, গত সাত বছরে যুক্তরাজ্যজুড়ে ৪ হাজার ৭৩৫টি ব্যাংক শাখা বন্ধ বা বন্ধের জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। ২০১৫ সালের জানুয়ারিতে সংখ্যাটি পুরো ব্যাংক শাখার ৪৮ শতাংশের সমান।

গত কয়েক বছর অনেক বড় ব্যাংকও শাখা কমিয়ে এনেছে। ব্যাংকগুলোর দাবি অনুযায়ী, গ্রাহকরা অনলাইন ও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ব্যাংকিং কার্যক্রম সম্পন্ন করছে। অন্যদিকে তারা প্রচলিত কাউন্টার পরিষেবা ত্যাগ করছে। কিছু বিশ্লেষক জানিয়েছেন, কভিড-১৯ মহামারী ডিজিটাল ব্যাংকিংয়ে এ স্থানান্তরকে ত্বরান্বিত করেছে। এজন্য মহামারীর পর ব্যাংক শাখার কার্যক্রম গুটিয়ে আনার হার কয়েক গুণ বেড়ে গেছে।

বণিক বার্তা