কভিড-১৯ মহামারীতে স্মরণকালের বিপর্যস্ত অবস্থায় পড়ে বিশ্ব। প্রাদুর্ভাব কমাতে আরোপিত বিধিনিষেধে স্থবির হয়ে পড়ে অর্থনীতি। বিশ্বজুড়ে ঘরবন্দি হয়ে পড়ে মানুষ। উল্লেখযোগ্য হারে কমে যায় ভোক্তা ব্যয়। পাশাপাশি সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হয় বিপুল পরিমাণ প্রণোদনা। ফলে মানুষের হাতে নগদ অর্থের সঞ্চয় বেড়েছে। নতুন একটি সমীক্ষা অনুসারে, এ সঞ্চয় ২০২২ সালে বৈশ্বিক জিডিপি প্রবৃদ্ধিতে অতিরিক্ত ৩ শতাংশীয় পয়েন্ট অবদান রাখতে পারে।

মাস্টারকার্ড ইকোনমিকস ইনস্টিটিউটের সমীক্ষা অনুসারে, যদি এ সঞ্চয়গুলো দ্রুত ব্যবহার করা হয় তবে আগামী বছর জিডিপিতে ৪ দশমিক ৫ শতাংশীয় পয়েন্টেরও বেশি যুক্ত হতে পারে। ২০২০ সালে সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রবণতা নিয়ে বিশ্লেষণ শুরু করেছিল আর্থিক পরিষেবা সংস্থাটি। চলতি বছর পারিবারিক সঞ্চয়ের হার মহামারীর আগের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ভোক্তারা তাদের সঞ্চয় থেকে কত দ্রুত বা ধীরে ব্যয় করবে তা বিশ্ব অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

গ্লোবাল ইকোনমিক আউটলুক ২০২২ শীর্ষক প্রতিবেদনে মাস্টারকার্ড ইকোনমিকস ইনস্টিটিউট জানিয়েছে, সঞ্চয় ও ব্যয়, সরবরাহ চেইন, ডিজিটাল রূপান্তর, বিশ্বব্যাপী ভ্রমণ ও অর্থনৈতিক ঝুঁকির একটি ক্রমবর্ধমান তালিকা আগামী বছর বিশ্ব অর্থনীতিকে রূপ দিতে পারে।

বণিক বার্তা