চলতি বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে (এপ্রিল-জুন) টেসলার গাড়ি বিক্রি নিম্নমুখী হয়েছে। এর পেছনে সরবরাহ ব্যবস্থার প্রতিবন্ধকতাকে দায়ী করেছে মার্কিন বিদ্যুচ্চালিত গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি। পাশাপাশি নভেল করোনাভাইরাসের প্রকোপ বাড়ার কারণে চীনের লকডাউনও এ সংকটে ইন্ধন জুগিয়েছে। সম্প্রতি টেসলা জানায়, এপ্রিল-জুন প্রান্তিকে প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৫৪ হাজারেরও বেশি গাড়ি ও এসইউভি বিক্রি করেছে। সে হিসেবে চলতি বছরের প্রথম প্রান্তিকের (জানুয়ারি-মার্চ) তুলনায় দ্বিতীয় প্রান্তিকে বিক্রি ১৮ শতাংশ কমেছে। এ সময়ে গাড়ি বিক্রি গত বছরের শেষ প্রান্তিকের চেয়েও কম ছিল।
এর আগে গত বছরের তৃতীয় প্রান্তিকে বিক্রিতে পতন হয়েছিল টেসলার। ওই সময় প্রতিষ্ঠানটি ২ লাখ ৪১ হাজার ইউনিট গাড়ি বিক্রি করেছিল।
এর আগে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে টেসলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলোন মাস্ক জানান, চীনে কভিডজনিত বিধিনিষেধের কারণে সাংহাইয়ে প্রতিষ্ঠানটির কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। টেসলার মোট বিক্রির ৪০ শতাংশ আসে চীন থেকে বলে দাবি করেছেন ওয়েডবুশের বিশ্লেষক ড্যান ইভস। লকডাউনের কারণে সাংহাইয়ের কারখানাটিতে গাড়ি উৎপাদন ৭০ হাজার কম ছিল এবার। তবে সম্প্রতি টেসলা জানিয়েছে, প্রতিকূলতা কাটিয়ে উঠেছে প্রতিষ্ঠানটি। বরং জুনে টেসলার ইতিহাসের সর্বোচ্চ গাড়ি উৎপাদন করেছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে গাড়ির সংখ্যা প্রকাশ করতে অসম্মতি জানিয়েছে টেসলা। কভিড-১৯ মহামারীর প্রাদুর্ভাব হওয়ার পর থেকে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়। এ নিয়ে ভোগান্তির শিকার হয় গাড়ি নির্মাতারা। সেমিকন্ডাক্টরের ক্রয়াদেশ বাতিল করেছিল কয়েকটি প্রতিষ্ঠান। বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ায় আবারো পুরোদমে গাড়ি বিক্রি শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানগুলো।
[IMG]http://forex-bangla.com/customavatars/2080634164.jpg[/IMG]