Smd
2022-11-03, 11:36 AM
18483
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যায়। ভারতে জ্বালানি তেল সরবরাহে সৌদি আরব ও ইরাককে হটিয়ে শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেছে রাশিয়া। কেবল অক্টোবর মাসেই ভারতে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের রপ্তানি বেড়েছে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ব্যারেল শতকরা হিসেবে এই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। এতদিন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের জন্য মূলত সৌদি আরব ও ইরাকের ওপর নির্ভর করত ভারত কিন্তু জ্বালানি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থা ভোরটেক্সা এবং ভারতের বিষয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে অক্টোবর মাসে মোট যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে ভারত শতকরা হিসেবে তার ২২ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। একই সময়ে ইরাক থেকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সৌদি থেকে ১৬ শতাংশ সরবরাহ ভারতে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে এতদিন রাশিয়ার তেলের বৃহৎ ক্রেতা ছিল ইউরোপের দেশগুলো। তবে অক্টোবরে ইউরোপকে হটিয়ে সেই স্থান দখল করেছে ভারত। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়ার জ্বালানি তেলও রয়েছে। ইইউয়ের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার হার শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে ইউরোপ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির হিসেবে গত মাসে শীর্ষে ছিল চীন। ভোরাটেক্সার তথ্য অনুযায়ী অক্টোবরে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করেছে দেশটি। ইউক্রেনে অভিযানের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা চলতি বছরের মার্চের দিকে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে থাকে। এ সময় নতুন বাজার খুঁজতে মিত্রভাবাপন্ন বিভিন্ন দেশের কাছে হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রির প্রস্তাব দেয় মস্কো। যেসব দেশ প্রথমেই এ প্রস্তাব লুফে নিয়েছিল সেসবের মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানিমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য কোনো প্রকার নৈতিক সংকটে ভুগছে না ভারত। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে গেলে সাধারণ লোকজন ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হবে। যেহেতু আমরা তাদের কাছে দায়বদ্ধ— তাই জনস্বার্থেই আমরা রাশিয়া থেকে তেল কিনছি।
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পরে তেলের বাজার অস্থিতিশীল হয়ে যায়। ভারতে জ্বালানি তেল সরবরাহে সৌদি আরব ও ইরাককে হটিয়ে শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেছে রাশিয়া। কেবল অক্টোবর মাসেই ভারতে রাশিয়ার জ্বালানি তেলের রপ্তানি বেড়েছে ৯ লাখ ৪৬ হাজার ব্যারেল শতকরা হিসেবে এই বৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। এতদিন পর্যন্ত জ্বালানি তেলের জন্য মূলত সৌদি আরব ও ইরাকের ওপর নির্ভর করত ভারত কিন্তু জ্বালানি পণ্যের আন্তর্জাতিক বাজার পর্যবেক্ষক সংস্থা ভোরটেক্সা এবং ভারতের বিষয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরটি জানিয়েছে অক্টোবর মাসে মোট যে পরিমাণ জ্বালানি তেল আমদানি করেছে ভারত শতকরা হিসেবে তার ২২ শতাংশই এসেছে রাশিয়া থেকে। একই সময়ে ইরাক থেকে ২০ দশমিক ৫ শতাংশ এবং সৌদি থেকে ১৬ শতাংশ সরবরাহ ভারতে এসেছে বলে এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছে। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে এতদিন রাশিয়ার তেলের বৃহৎ ক্রেতা ছিল ইউরোপের দেশগুলো। তবে অক্টোবরে ইউরোপকে হটিয়ে সেই স্থান দখল করেছে ভারত। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর বিশেষ সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়ার ওপর একগুচ্ছ অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ইউরোপীয় দেশগুলোর জোট ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। এসব নিষেধাজ্ঞার মধ্যে রাশিয়ার জ্বালানি তেলও রয়েছে। ইইউয়ের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ডিসেম্বর থেকে রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার হার শূণ্যের কোঠায় নামিয়ে আনবে ইউরোপ। রাশিয়া থেকে তেল আমদানির হিসেবে গত মাসে শীর্ষে ছিল চীন। ভোরাটেক্সার তথ্য অনুযায়ী অক্টোবরে প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ ব্যারেল রুশ তেল আমদানি করেছে দেশটি। ইউক্রেনে অভিযানের জেরে যুক্তরাষ্ট্র ও তার পশ্চিমা মিত্ররা চলতি বছরের মার্চের দিকে রাশিয়ার তেল বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করতে থাকে। এ সময় নতুন বাজার খুঁজতে মিত্রভাবাপন্ন বিভিন্ন দেশের কাছে হ্রাসকৃত মূল্যে তেল বিক্রির প্রস্তাব দেয় মস্কো। যেসব দেশ প্রথমেই এ প্রস্তাব লুফে নিয়েছিল সেসবের মধ্যে ভারত অন্যতম। ভারতের কেন্দ্রীয় জ্বালানিমন্ত্রী হরদীপ সিং পুরি চলতি সপ্তাহে এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন রাশিয়ার কাছ থেকে তেল কেনার জন্য কোনো প্রকার নৈতিক সংকটে ভুগছে না ভারত। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়ে গেলে সাধারণ লোকজন ব্যাপক ভোগান্তির শিকার হবে। যেহেতু আমরা তাদের কাছে দায়বদ্ধ— তাই জনস্বার্থেই আমরা রাশিয়া থেকে তেল কিনছি।