Log in

View Full Version : সাপ্তাহিক মার্কেট আপডেট, ২০২৫



Rakib Hashan
2025-05-26, 04:54 PM
২৬মে- ১ জুন, ২০২৫ মার্কেটের পূর্বাভাস: FOMC-এর কার্যবিবরণী, কোর PCE সূচক, মার্কিন জিডিপি
http://forex-bangla.com/customavatars/1259026610.jpg
চলতি সপ্তাহে মার্কেটে ব্যাপক অস্থিরতা দেখা যেতে পারে। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্রে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। দ্বিতীয়ত, ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ট্রাম্পের শুল্ক আরোপ সংক্রান্ত অনিশ্চয়তা নিরসনের সম্ভাবনা রয়েছে। এটি চলতি মাসের শেষ সপ্তাহ, যখন ডলারের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদনগুলো প্রকাশিত হয়। ফলে, দ্রুতই নতুন করে EUR/USD পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতা শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

সোমবার সোমবারের অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডারে আপাতদৃষ্টিতে তেমন কিছু নেই। কেবল ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্ডে এবং বুন্দেসব্যাংক প্রেসিডেন্ট জোয়াখিম নাগেলের বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। তাছাড়া, মেমোরিয়াল ডে উপলক্ষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে মার্কেট বন্ধ থাকবে। তবে এর মানে এই নয় যে EUR/USD পেয়ারের মূল্য একই রেঞ্জের মধ্যেই থাকবে। প্রথমত, ট্রেডাররা রবিবার (০৮:৪০ EST) অনুষ্ঠিত জেরোম পাওয়েলের বক্তৃতার প্রতিক্রিয়া জানাবে। এর চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হলো ট্রাম্পের সেই বিবৃতি, যেখানে তিনি ১ জুন থেকে ইউরোপীয় পণ্যের ওপর ৫০% শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছেন। এই ঘোষণা শুক্রবার মার্কিন সেশনের শেষ দিকে আসে, ফলে সোমবার EUR/USD-এর উপর এই ঘোষণার প্রভাব অব্যাহত থাকতে পারে। সপ্তাহান্তে ব্রাসেলস এই বিবৃতিতে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায়। ইইউ-র বাণিজ্য কমিশনার মারোস শেফচোভিচ বলেন, ইইউ-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য "অতুলনীয়" এবং এটি "পারস্পরিক সম্মানভিত্তিক হওয়া উচিত, হুমকি নয়।" তিনি আরও জানান, ইইউ নিজেদের স্বার্থ রক্ষার জন্য প্রস্তুত রয়েছে, যা ইঙ্গিত করে যে এপ্রিল থেকেই পাল্টা ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। সারসংক্ষেপে, যদিও ক্যালেন্ডারে তেমন কিছু নেই ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি রয়েছে, সপ্তাহের শুরুতে এই পেয়ারের মূল্যের অস্থিরতার মাত্রা অনেকটাই বাড়তে পারে।

মঙ্গলবার মঙ্গলবার মার্কিন সেশনে কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। ট্রেডারদের মূল দৃষ্টি থাকবে এপ্রিলের ডিউরেবল গুডস অর্ডার সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ওপর। মার্চে ৭.৫% বৃদ্ধির পর, এপ্রিলে ৭.৯% হ্রাসের পূর্বাভাস রয়েছে। পরিবহন ব্যতীত অর্ডার ০.১% হ্রাস পেতে পারে। কনফারেন্স বোর্ড থেকে কনজ্যুমার কনফিডেন্স ইনডেক্স বা ভোক্তা আস্থা সূচকও প্রকাশিত হবে। সূচকটি টানা পাঁচ মাস ধরে কমেছে, এপ্রিলের ফলাফল ছিল ৮৬.০, যা মে ২০২০-এর পর সর্বনিম্ন। মে মাসের পূর্বাভাস ৮৭.১ হলেও, যদি এটি আবারও হ্রাস পায় (৮৬.০-এর নিচে আসে), তাহলে ডলার চাপের মুখে পড়তে পারে। এর আগে ইউনিভার্সিটি অব মিশিগানের কনজ্যুমার সেন্টিমেন্ট ইনডেক্স ৫০.৮-এ নেমে আসে, যা ছিল ২০২২ সালের জুনের পর সর্বনিম্ন। ভোক্তা আস্থা সূচকের দুর্বল ফলাফল ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব বাড়িয়ে তুলবে, বিশেষ করে যখন মুদ্রাস্ফীতি বৃদ্ধির প্রত্যাশা ও নতুন শুল্ক নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে।

বুধবার বুধবার মে মাসের FOMC-এর বৈঠকের মিনিট বা কার্যবিবরণী প্রকাশিত হবে। ওই বৈঠকে ফেড নীতিগত কোনো পরিবর্তন আনেনি। জেরোম পাওয়েল বলেছিলেন, নতুন শুল্ক অর্থনীতিতে কী প্রভাব ফেলবে তা স্পষ্ট নয়, তাই তারা অপেক্ষা করছে। প্রথম প্রান্তিকে জিডিপি কমে যাওয়ার বিষয়টিও তিনি গুরুত্ব দেননি। মিনিটসেও একই ধরনের বার্তা প্রত্যাশিত: বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি, তবে ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে, বিশেষ করে বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে। যত বেশি উদ্বেগ থাকবে, তত বেশি ডলারের ওপর চাপ বাড়বে। তবে মিনিটসের প্রভাব তখনই দৃশ্যমান হবে যদি তা পাওয়েলের মন্তব্য বা অফিসিয়াল বিবৃতি থেকে ভিন্ন হয়। আজ রিচমন্ড ফেড ম্যানুফ্যাকচারিং ইনডেক্স বা উৎপাদন সূচকও প্রকাশিত হবে। এপ্রিলে এই সূচক ছিল -১৩, মে মাসে এটি -৯-এ উন্নীত হতে পারে, তবে তা এখনো নেতিবাচক থাকবে। এই প্রতিবেদন তখনই ডলারকে সহায়তা করতে পারে যদি এটি অপ্রত্যাশিতভাবে ইতিবাচক মানে চলে আসে, যে সম্ভাবনা কম। এছাড়া, ফেডের গভর্নর ক্রিস্টোফার ওয়ালার (ভোটাধিকারসম্পন্ন) এবং মিনিয়াপলিস ফেডের প্রেসিডেন্ট নিল কাশকারি (চলতি বছরে ভোটাধিকার নেই) বক্তৃতা দেবেন।

বৃহস্পতিবার ২৯ মে যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম প্রান্তিকের জিডিপির দ্বিতীয় অনুমান প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক অনুমানে দেখা যায় প্রথম প্রান্তিকে দেশটির জিডিপির ০.৩% সংকোচন ঘটেছে, যদিও ২০২৪-এর প্রথম প্রান্তিকে ২.৪% প্রবৃদ্ধি হয়েছিল। বিশ্লেষকরা আশা করছেন দ্বিতীয় অনুমানে একই চিত্র দেখা যাবে। যদি এই প্রতিবেদনের ফলাফল নিম্নমুখী হয়, তবে ডলার আরও চাপের মধ্যে পড়তে পারে এবং অর্থনৈতিক স্থবিরতা সংক্রান্ত আলোচনা ফিরে আসবে। তবে মার্কেটে দুর্বল প্রতিক্রিয়া দেখা যেতে পারে, কারণ প্রথম প্রান্তিকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির সংকোচনের প্রধান কারণ ছিল ৪১% আমদানি বৃদ্ধি, যেটা নতুন শুল্কের আগে কোম্পানিগুলোর স্টক মজুদের ফলাফল। তাই ফলাফল সংশোধন করা হলেও এর প্রভাব স্বল্পমেয়াদি হতে পারে। এছাড়া এপ্রিল মাসের পেন্ডিং হোম সেলস বা অপেক্ষামান আবাসন বিক্রয় সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মার্চে ৬.১% বৃদ্ধির পর, এপ্রিলের জন্য ১.০% হ্রাসের পূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

শুক্রবার সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিংয়ে এপ্রিলের কোর PCE প্রাইস ইনডেক্স প্রকাশিত হবে — এটি মুদ্রাস্ফীতি পরিমাপের জন্য ফেডের কাছে গুরুত্বপূর্ণ সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়। ফেব্রুয়ারিতে ৩.০%-এ পৌঁছানোর পর, মার্চে এটি ২.৬%-এ নেমে আসে। এপ্রিলের পূর্বাভাস হলো ২.৮%। এটি ফেডের ধৈর্যশীল দৃষ্টিভঙ্গিকে শক্তিশালী করবে, অর্থাৎ জুন ও জুলাইয়ে নীতিগত কোনো পরিবর্তন না আসার সম্ভাবনা বাড়বে। ফেডের অবস্থান যদিও "হকিশ বা কঠোর" হতে পারে, তবে বর্তমান প্রেক্ষাপটে — যেখানে মুদ্রাস্ফীতি বাড়ছে কিন্তু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি মন্থর হচ্ছে — সেক্ষেত্রে এর প্রভাব সীমিত হতে পারে। স্ট্যাগফ্লেশন বা অর্থনৈতিক স্থবিরতার আশঙ্কা ডলারের ওপর চাপ বজায় রাখবে।

উপসংহার এই সপ্তাহে গুরুত্বপূর্ণ মৌলিক ইভেন্ট রয়েছে ও সেইসাথে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক প্রতিবেদনও প্রকাশিত হবে, তবে বাণিজ্যযুদ্ধ সম্পর্কিত পরিস্থিতি সবকিছুকে ছাপিয়ে যাবে। যদি যুক্তরাষ্ট্র-চীনের মধ্যে বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি হয় এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে আলোচনা গঠনমূলকভাবে পুনরায় শুরু হয় — উদাহরণস্বরূপ, যদি ট্রাম্প ৫০% শুল্ক আরোপের হুমকি থেকে সরে আসেন — তাহলে ডলার শুধু পুনরুদ্ধারই নয়, এটির মূল্য নতুন উচ্চতায় পৌঁছাতে পারে। এই ক্ষেত্রে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1080–1.1190 রেঞ্জে ফিরে যেতে পারে। তবে যদি বাণিজ্য উত্তেজনা আরও বাড়ে — বিশেষ করে যদি ট্রাম্প শুল্ক আরোপ করেন এবং ইইউ পাল্টা ব্যবস্থা নেয় — তাহলে EUR/USD পেয়ারের মূল্য 1.1440 পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে (D1 টাইমফ্রেমে বলিঙ্গার ব্যান্ডের উপরের সীমা)। বর্তমান মার্কেটের সিগন্যাল বিবেচনায় রেখে বলা যায়, বাণিজ্য উত্তেজনা বৃদ্ধির সম্ভাবনাই বেশি

Read more: https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/411477

Montu Zaman
2025-06-16, 05:04 PM
১৬ জুন (সাপ্তাহিক প্রাক-পর্যালোচনা। মধ্যপ্রাচ্য পরিস্থিতি এবং ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠক)
http://forex-bangla.com/customavatars/687975572.jpg
গত সপ্তাহের শেষ দিনের ট্রেডিং অনিশ্চয়তার মধ্যেই শেষ হয়। মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক উত্তেজনায় প্রতিক্রিয়া জানিয়ে শুক্রবার EUR/USD পেয়ার তীব্র দরপতনের শিকার হয় এবং 1.1632-এর বহু বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লেভেল থেকে নিম্নমুখী হয়। তবে মার্কিন সেশন শেষ হওয়ার আগে বিয়ারিশ প্রবণতার চাপ হ্রাস পায় এবং ক্রেতারা ধীরে ধীরে অবস্থান পুনরুদ্ধার করতে শুরু করে। বলা যায়, মার্কেট মাঝপথে স্থবির হয়ে গেছে—ট্রেডাররা ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে যুদ্ধ শুরুর প্রভাব পুরোপুরিভাবে বিশ্লেষণ করে উঠতে পারেনি। প্রাথমিকভাবে ডলারের ব্যাপক চাহিদা সৃষ্টি হয়েছিল, তবে তা দ্রুতই দুর্বল হয়ে যায়। শুক্রবারের শেষে ডলার সূচক 98.00 লেভেলের কাছাকাছি থাকা অবস্থায় লেনদেন শেষ হয়, যদিও দিনের শুরুতে ডলার সূচকের দর 98.58-এর স্থানীয় উচ্চতায় পৌঁছেছিল। EUR/USD পেয়ারের মূল্যের মুভমেন্ট একই প্রতিচ্ছবি পরিলক্ষিত হয়েছে—সপ্তাহ শেষে এই পেয়ারের মূল্য 1.1551 লেভেলে থাকা অবস্থায় ট্রেডিং শেষ হয়। নিঃসন্দেহে, মধ্যপ্রাচ্যের সামরিক সংঘাত সামগ্রিকভাবে মার্কেট এবং EUR/USD পেয়ারের ওপর প্রভাব ফেলবে। উদাহরণস্বরূপ, যদি ভূরাজনৈতিক উত্তেজনা প্রশমিত হয়, তবে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি আগ্রহ বৃদ্ধি পাওয়ায় EUR/USD পেয়ারের ক্রেতারা উপকৃত হবে। এর বিপরীতে, যদি সংঘাত আরও ছড়িয়ে পড়ে (যেমন—ইরান হরমুজ প্রণালী অবরোধ করে অথবা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লক্ষ্যবস্তুর ওপর আঘাত হানে), তবে EUR/USD পেয়ারের ট্রেডাররা সতর্ক অবস্থানে থাকবে এবং এই পেয়ারের দর 1.14–1.15 রেঞ্জের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকতে পারে। বর্তমানে, ইরান ও ইসরায়েল একে অপরের উপর মিসাইল হামলা চালিয়েই যাচ্ছে। তবে উত্তেজনা নিরসনের কিছু ইঙ্গিতও দেখা যাচ্ছে। যেমন—ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি জানিয়েছেন, ইরান পারমাণবিক অস্ত্র থাকবে না এমন একটি চুক্তি স্বাক্ষরের জন্য প্রস্তুত। পাশাপাশি, তেহরান ঘোষণা দিয়েছে যে, যদি ইসরায়েলের হামলা বন্ধ হয়, তবে তারাও হামলা বন্ধ করবে। একদিকে এটি শান্তির ইঙ্গিত দেয়, তবে অন্যদিকে একটি জটিলতা রয়েছে—কারণ ইসরায়েলের হামলার আগেই তেহরান বলেছিল, তারা পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায় না, কিন্তু তারা ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ করতেও রাজি নয়। ইরান শান্তিপূর্ণ জ্বালানি উৎপাদনের জন্য সম্পূর্ণ নিউক্লিয়ার ফুয়েল সাইকেল বজায় রাখতে চায়। এমনকি আরাকচি উল্লেখ করেছেন যে, কোনো পারমাণবিক চুক্তিই "ইরানকে তার পারমাণবিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না।" অন্যদিকে, ইরানের প্রতিপক্ষ—বিশেষ করে ইসরায়েল—এখনো মনে করে যে ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করছে। তাই ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাম্প্রতিক বক্তব্যে তাৎক্ষণিকভাবে উত্তেজনা প্রশমনের সম্ভাবনা কম। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মতে, IDF যুদ্ধবিমানগুলো ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা ও অস্ত্র ব্যবস্থার ক্ষয়ক্ষতি সাধনের প্রচেষ্টায় আঘাত অব্যাহত রাখবে। তবুও কূটনৈতিক সমাধানের সম্ভাবনাই পুরোপুরি বাতিল করা যাচ্ছে না—বিশেষ করে এখন যখন ইরানের অবস্থানে কিছুটা নমনীয়তা দেখা যাচ্ছে। ইসরায়েলের হামলার পর তেহরান একাধিকবার বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পারমাণবিক আলোচনা এখন অপ্রাসঙ্গিক। কিন্তু সাম্প্রতিক মন্তব্যগুলো সেই অবস্থান পরিবর্তনের ইঙ্গিত দিচ্ছে। একই সময়ে, ডোনাল্ড ট্রাম্প ইসরায়েল-ইরানের মধ্যে একটি চুক্তির জন্য চাপ দিচ্ছেন, আবার একই সঙ্গে হুমকি দিচ্ছেন—যদি ইরান যুক্তরাষ্ট্রের ওপর আঘাত হানে, তাহলে তিনি "পূর্ণ শক্তি" দিয়ে তার জবাব দেবেন। অর্থাৎ, মধ্যপ্রাচ্যের এই সংঘাতের ফলাফল এখনো অনিশ্চিত এবং যেকোনো মোড় ঘন ঘন EUR/USD-এর মূল্যের অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে। অন্য সব মৌলিক প্রভাবক পেছনের সারিতে চলে যাবে—শুধুমাত্র FOMC-এর জুন মাসের বৈঠক এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম, যার ফলাফল বুধবার প্রকাশিত হবে। বেশিরভাগ বিশ্লেষক মনে করেন, ফেডারেল রিজার্ভ তাদের সকল আর্থিক নীতিমালা অপরিবর্তিত রাখবে। CME ফেডওয়াচ টুল অনুসারে, এই সম্ভাবনার হার 99.6%। তাই ট্রেডারদের পুরো মনোযোগ ফেডের প্রতিনিধিদের বিবৃতি এবং ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েলের বক্তব্যের দিকে কেন্দ্রীভূত হবে। বিশেষত ট্রেডাররা আগ্রহ নিয়ে সাম্প্রতিক গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক সূচক নিয়ে ফেডের মূল্যায়ন খতিয়ে দেখবে। যেমন—মার্কিন শ্রম বাজার সংক্রান্ত মোটামুটি ইতিবাচক ফলাফল পরিলক্ষিত হয়েছে, যদিও চমকপ্রদ কিছু ছিল না: দেশটির বেকারত্বের হার 4.2%-এ স্থির ছিল এবং নন-ফার্ম পেরোলের সংখ্যা 139K বেড়েছে (এপ্রিল মাসে ছিল 147K)। অন্যান্য প্রতিবেদনের ফলাফল মিশ্র ছিল: ম্যানুফ্যাকচারিং এবং সার্ভিসেস ISM সূচক সংকোচনের অঞ্চলে চলে গেছে। মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদনের ফলাফল দ্বৈত ধরণের ছিল: হেডলাইন CPI এবং PPI বেড়েছে, কিন্তু কোর CPI অপরিবর্তিত ছিল এবং কোর PPI 3.0%-এ কমে এসেছে। এদিকে, ইউনিভার্সিটি অব মিশিগান কর্তৃক প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশা এখনো 5.1%-এ রয়েছে, যা ফেডের 2%-এর লক্ষ্যমাত্রার অনেক উপরে অবস্থান করছে। নিঃসন্দেহে, ফেডের জুন মাসের বৈঠকের ফলাফল EUR/USD-এর মূল্যের উল্লেখযোগ্য অস্থিরতা সৃষ্টি করবে—বিশেষ করে যদি পাওয়েল স্ট্যাগফ্লেশন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, কারণ CPI/PPI বাড়ছে অথচ ISM সূচকে সংকোচন দেখা যাচ্ছে। একই সময়ে, চীনের সঙ্গে ঘোষিত বাণিজ্য চুক্তি চলমান থাকা সত্ত্বেও চীনা পণ্যের ওপর 55% শুল্ক বজায় থাকছে। তবে, যদি ফেড ইতিবাচক অবস্থান বজায় রাখে এবং মূল মুদ্রাস্ফীতির স্থিতিশীলতা ও কোর PPI-এর মন্থরতার বিষয়টি তুলে ধরে, তবে ডলার কিছুটা সহায়তা পেতে পারে। এ সপ্তাহে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ সামষ্টিক অর্থনৈতিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। মঙ্গলবার, 17 জুন যুক্তরাষ্ট্রের রিটেইল সেলস ভলিউম প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে মোট রিটেইল সেলস 0.6%-এ হ্রাস পেতে পারে, যা এপ্রিল মাসে 0.1% বৃদ্ধি পেয়েছিল। অটোমোবাইল বিক্রি বাদ দিয়ে রিটেইল সেলস 0.2% বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে (এপ্রিল মাসে ছিল 0.1%)। এছাড়াও, মঙ্গলবার প্রকাশিত হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী, মে মাসে সূচকটি কোনো প্রবৃদ্ধি দেখা যাবে না, অর্থাৎ এপ্রিলের মতোই থাকবে। এই ফলাফল ডলারের ওপর চাপ তৈরি করতে পারে, বিশেষ করে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং সূচকের দুর্বলতা বিবেচনায়। মঙ্গলবার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকাশনা হলো ZEW ইনডেক্স। জার্মান বিজনেস সেন্টিমেন্ট সূচক এই মাসে 34.8-এ পৌঁছাতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগের মাসে 25.2 ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সামগ্রিক ইকোনোমিক সেন্টিমেন্ট সূচক 23.5-এ পৌঁছাতে পারে, যা মে মাসে 11.6 ছিল। ফেডের জুনের বৈঠকের পাশাপাশি, বুধবার মার্কিন বিল্ডিং পারমিট সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। এপ্রিল মাসে এই সূচক 4.7% হ্রাস পেয়েছিল, এবং মে মাসেও 5.1% হ্রাসের পূর্বাভাস রয়েছে। শুক্রবার ট্রেডাররা ফিলাডেলফিয়া ফেডারেল রিজার্ভের ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাক্টিভিটি ইনডেক্সের দিকে মনোযোগ দেবে। যদিও এটি একটি স্বল্প গুরুত্বসম্পন্ন প্রতিবেদন, তবে এটি সামগ্রিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি আরও বিস্তৃত অন্তর্দৃষ্টি দিতে পারে, বিশেষ করে যদি ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশন হ্রাস পায়। জুনের সূচকটি -1.2 পয়েন্ট হ্রাস পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যা মে মাসে -4.0 ছিল। (https://www.instaforex.com/bd/forex_analysis/413739)

Rakib Hashan
2025-06-30, 07:16 PM
সাপ্তাহিক পূর্বাভাস: ISM সূচক, ননফার্ম পেরোল, ইউরোজোনের মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং 'বিগ, বিউটিফুল বিল'
http://forex-bangla.com/customavatars/1227255656.jpg
আসন্ন সপ্তাহটি একদিকে যেমন তথ্যবহুল ও আকর্ষণীয় হতে চলেছে, অন্যদিকে উচ্চমাত্রার অস্থিরা দেখা যেতে পারে। অর্থনৈতিক ক্যালেন্ডার অনুযায়ী একাধিক গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা EUR/USD পেয়ারের মূল্যের বড় ধরনের ওঠানামার কারণ হতে পারে। এছাড়া, ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত "বিগ বিউটিফুল বিল" সিনেট কর্তৃক অনুমোদনের পর মার্কিন ডলার আবারো রাজনৈতিক উত্তেজনার কেন্দ্রবিন্দুতে চলে আসবে। সোমবার সপ্তাহের শুরুতেই মার্কিন ডলার "ঝড়ের কেন্দ্রস্থলে" পড়ে যাবে, কারণ সপ্তাহান্তে সিনেটে (শনিবার) কর ও সরকারি ব্যয় হ্রাস সংক্রান্ত একটি বিতর্কিত বিল অনুমোদন দেয়া হয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়: ৯৪০ পৃষ্ঠার এই বিল নিয়ে বিতর্ক শুরু করার ব্যাপারে সিনেটররা (৫১ বনাম ৪৯ ভোটে) প্রস্তুত, যেখানে প্রায় $4 ট্রিলিয়ন কর হ্রাসের সিদ্ধান্ত অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তী ধাপে (৪ জুলাই পর্যন্ত) সংসদ সদস্যরা সংশোধনী প্রস্তাব দেবেন। যেহেতু বিল পরিবর্তিত হবে (এটি প্রায় নিশ্চিত), এটি চূড়ান্ত অনুমোদনের জন্য আবার প্রতিনিধি পরিষদে ফিরে আসবে এবং তারপর ট্রাম্পের স্বাক্ষরের জন্য পাঠানো হবে। অতএব, শনিবারের ভোট ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রক্রিয়াগত ধাপ, তবে এটিই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়। ডলারের প্রতিক্রিয়া কেমন হবে? মোটের ওপর, যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক অবস্থার প্রতি উদ্বেগ বাড়ার কারণে ডলারের ওপর চাপ সৃষ্টি হচ্ছে। প্রাথমিক হিসেবে অনুযায়ী, বিলটি পাস হলে আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ঋণে প্রায় $3.8 ট্রিলিয়ন যুক্ত হবে (বর্তমান ঋণের পরিমাণ $36.2 ট্রিলিয়ন)। রাজনৈতিক দ্বন্দ্বও ডলারের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, কারণ বিলটি শুধু ডেমোক্রেটদের নয়, কিছু রিপাবলিকানদেরও বিরোধিতার মুখে পড়েছে। এমনকি ট্রাম্পের সাবেক মিত্ররাও বিরোধি শিবিরে যোগ দিয়েছেন। উদাহরণস্বরূপ, ইলন মাস্ক বিলটিকে "পুরোপুরি পাগলামি ও ধ্বংসাত্মক" বলে মন্তব্য করেছেন এবং বলেছেন এটি লক্ষাধিক কর্মসংস্থান ধ্বংস করবে এবং কৌশলগতভাবে দেশটির ক্ষতি করবে। সিনেটের এই সিদ্ধান্তই সোমবার মার্কেটের মূল প্রভাবক হবে। এছাড়া, সোমবার এশিয়ান সেশনে চীনের ম্যানুফ্যাকচারিং বা উৎপাদন সংক্রান্ত PMI প্রকাশিত হবে। পূর্বাভাস অনুযায়ী সূচকটি 49.5 থেকে 49.6-এ সামান্য বৃদ্ধির কথা বলা হলেও এটি সংকোচনের সীমার মধ্যেই থাকবে। যদি এটি ৫০-এর উপরে আসে, তাহলে তা ঝুঁকি গ্রহণের প্রবণতা বাড়িয়ে ইউরোকে শক্তিশালী করতে পারে, এমনকি ডলারের বিপরীতেও ইউরোর দর বৃদ্ধি পেতে পারে। ইউরোপীয় সেশনে, জার্মানির মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে। বেশিরভাগ বিশ্লেষক আশা করছেন জুন মাসে দেশটির বার্ষিক CPI 2.3%-এ পৌঁছাবে এবং হারমোনাইজড ইনডেক্স 2.2%-এ উঠবে। জার্মানির মুদ্রাস্ফীতির ফলাফল প্রায়ই ইউরোজোনের সামগ্রিক মুদ্রাস্ফীতির প্রবণতার সাথে সঙ্গতিপূর্ণ হয়, তাই এই প্রতিবেদনের ইতিবাচক ফলাফল EUR/USD পেয়ারের ক্রেতাদের জন্য সহায়ক হবে।
মঙ্গলবার মঙ্গলবার একমাত্র গুরুত্বপূর্ণ প্রতিবেদন হিসেবে ISM ম্যানুফ্যাকচারিং PMI প্রকাশিত হবে। সূচকটি টানা চার মাস ধরে হ্রাস পাচ্ছে এবং সংকোচন সীমার নিচে রয়েছে। জুনে এটি 48.5 থেকে 48.8-এ বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস, তবে এটি ৫০-এর নিচেই থাকবে। কেবলমাত্র সূচকটি যদি ৫০-এর উপরে আসে, তবেই ডলারের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে। আরেকটি প্রতিবেদন হচ্ছে JOLTs (চাকরির শূন্যপদ সংক্রান্ত প্রতিবেদন), যা 7.390 মিলিয়ন থেকে 7.450 মিলিয়নে বাড়তে পারে। তবে এই সূচকটি আগের মাসের ফলাফল হওয়ায় এটির ফলাফল EUR/USD পেয়ারের উপর তেমন প্রভাব ফেলবে না। এর বিপরীতে, ইউরোজোনের CPI বা ভোক্তা মূল্য সূচক সংক্রান্ত প্রতিবেদনের ফলাফল মার্কেটে আলোড়ন সৃষ্টি করতে পারে। হেডলাইন বা প্রধান মুদ্রাস্ফীতি 2.9%-এ পৌঁছাতে পারে (যা পূর্বে 1.9% ছিল), আর কোর বা মূল মুদ্রাস্ফীতি 2.3%-এ স্থির থাকবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) জানিয়েছে যে তারা মুদ্রানীতির নমনীয়করণ চক্র শেষ করছে, তবে অস্পষ্ট ভাষায় কিছু ব্যাখ্যার সুযোগ রেখেছে। যদি মুদ্রাস্ফীতি প্রত্যাশার চেয়ে বেশি আসে, তাহলে এটি ইসিবির সুদের হার হ্রাসকরণ চক্র শেষ হওয়ার ইঙ্গিত দিতে পারে। মঙ্গলবারই ফেডের চেয়ারম্যান জেরোম পাওয়েল এবং ইসিবির প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিন লাগার্দ বক্তব্য দেবেন। পাওয়েল গত সপ্তাহেই কংগ্রেসে বক্তব্য দিয়েছেন, তাই তার বক্তব্য থেকে চমকপদ কোনো তথ্য পাওয়ার সম্ভাবনা কম—তবে তিনি ট্রাম্পের সাম্প্রতিক আক্রমণের (যেখানে ট্রাম্প তাকে "সম্পূর্ণ বোকা" বলেছেন) বিষয়ে মন্তব্য করতে পারেন। লাগার্ড সকালেই প্রকাশিত মুদ্রাস্ফীতি প্রতিবেদন এবং PMI/IFO-এর ফলাফল নিয়ে মন্তব্য করতে পারেন।

বুধবার বুধবার ADP থেকে কর্মসংস্থান সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হবে, যা শুক্রবারের ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদনের পূর্বাভাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়। যদিও এই দুই প্রতিবেদনের ফলাফলের মাঝে সবসময় মিল থাকে না, তবে দুর্বল ফলাফল প্রকাশিত হলে সেটি মার্কেটে প্রভাব ফেলতে পারে। এই মাসে মাত্র +105,000 কর্মসংস্থান বৃদ্ধির পূর্বাভাস রয়েছে। যদি এটি 100,000-এর নিচে নামে, তাহলে ডলারের ওপর চাপ বাড়বে। ইউরোজোনের বেকারত্বের হারও প্রকাশিত হবে, যা 6.2%-এ স্থির থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। এতে কোনো চমক না থাকলে ট্রেডাররা এই প্রতিবেদনটিকে উপেক্ষা করতে পারে।

বৃহস্পতিবার সাধারণত ননফার্ম পেরোল প্রতিবেদন শুক্রবার প্রকাশিত হয়। তবে ৪ জুলাই স্বাধীনতা দিবস হওয়ায় এই মাসে এটি বৃহস্পতিবার প্রকাশিত হবে। প্রাথমিক পূর্বাভাস অনুযায়ী ডলারের জন্য ইতিবাচক কিছু দেখা যাচ্ছে না। মার্কিন বেকারত্বের হার 4.3%-এ পৌঁছাতে পারে, যা আগস্ট 2024-এর পর সর্বোচ্চ। ননফার্ম পেরোল মাত্র 120,000 বাড়তে পারে, যা 200,000-এর লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেক কম। যদি এটি 100,000-এর নিচে আসে, তাহলে ডলার ক্রেতাদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হবে। গড় ঘণ্টাভিত্তিক আয় মাসিক 0.3% এবং বার্ষিক 3.8% হারে বাড়তে পারে। এই দিনেই ISM সার্ভিসেস বা পরিষেবা সংক্রান্ত PMI সূচক প্রকাশিত হবে। গত মাসে এটি আকস্মিকভাবে সংকোচনে নেমে আসে (49.9 বনাম পূর্বাভাস 53.2)। এবার এটি 50.8-এ উঠতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যদি এটি আবারও ৫০-এর নিচে থাকে, তাহলে ডলারের ওপর পুনরায় বড় চাপ আসতে পারে।

টেকনিক্যাল বিশ্লেষণ H4 এবং তদূর্ধ্ব প্রায় সব টাইমফ্রেমে, EUR/USD পেয়ারের মূল্য বলিঙ্গার ব্যান্ডের মিডিয়ান বা আপার লাইনে অবস্থান করছে। এই পেয়ারের মূল্য ইচিমোকুর সব লাইনের উপরে রয়েছে, এবং H4 ও W1 চার্টে বুলিশ "প্যারেড অব লাইন্স" সিগন্যাল দেখা যাচ্ছে। এই সেটআপ লং পজিশনের পক্ষে ইঙ্গিত দিচ্ছে। ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার ক্ষেত্রে লক্ষ্যমাত্রা: 1.1800 (W1-এ আপার বলিঙ্গার ব্যান্ড)।